২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

একই পরিবারের ৪ জনের ফাঁসি

একই পরিবারের ৪ জনের ফাঁসি - ছবি : সংগ্রহ

বগুড়ার জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার একটি হত্যা মামলার রায়ে ১৯ আসামির মধ্যে দুই ভাই, পিতা ও দুই পুত্রসহ ৫ জনের ফাঁসি ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং ১০ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাহাদুর পুর গ্রামের রমজান আলীর পুত্র ইসমাইল হোসেন (৬৯) ও তার ২ পুত্র যথাক্রমে মামুন (৪৩) ও জুলফিকার (৩৫), রমজান আলীর আরেক পুত্র আব্দুর রহিম (৬০) ও ময়েন উদ্দিনের পুত্র সিরাজুল ইসলাম (৫৫)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গাবতলীর বাহাদুর পুর গ্রামের বাসিন্দা ইয়াসিন আলী মন্ডল (৬৫) নামের এক ব্যক্তি একটি সঞ্চয়ী সমিতির ৭০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গাবতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যান ও জামিনে বের হয়ে আসেন।

জেল থেকে বেরিয়েই ওই আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে ২০০৬ সালের ১৭ জুন বাহাদুরপুর গ্রামে ইয়াসিন আলীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। বাধা দিতে গেলে হামরাকারীরা ইয়াছিনকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। ওই দিনই নিহত ইয়াসিনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে গাবতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সানোয়ার হোসেন নিহত ইয়াসিনের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

দীর্ঘ শুনানী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা, সাক্ষীদের জেরার পর্ব শেষ করে বৃহষ্পতিবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ। রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি আব্দুল মতিন।

ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
নয়া দিগন্ত অনলাইন 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে তিনজনকে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: শওকত আলী এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মালবাগডাঙ্গা গ্রামের নয়ন কর্মকার রবিদাস, সোনাপট্টি গ্রামের প্রশান্ত রবিদাস (২২), চাকপাড়া গ্রামের নিতাইচন্দ্র রবিদাস, সুভাষ দাস (৪২) ও প্রশান্ত রবিদাস (২৪)।

রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে নয়ন কুমার রবিদাস ও প্রশান্ত রবিদাস উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা পলাতক রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ জুন সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলার মোড়ের একটি ডোবা থেকে পুলিশ সদর উপজেলার কালিনগর বাবলাবোনা গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুনের (২০) লাশ উদ্ধার করে।

প্রথমে তার মৃত্যুর কারণ জানা না গেলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের পর হত্যার কথা উল্লেখ থাকায় ওই বছরের ১৫ আগস্ট সদর থানার এসআই শামীম আকতার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক সারোয়ার রহমান একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসামি নয়ন প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে আয়েশা খাতুনকে ১৩ জুন ডেকে সহযোগীদের নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।


আরো সংবাদ



premium cement