১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেড়ায় গণধর্ষণের শিকার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী

গণধর্ষণ
বেড়ায় গণধর্ষণের শিকার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী - প্রতিকী ছবি

পাবনার বেড়ার আমিনপুর থানার বাঘলপুর গ্রামের ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। সে আলহাজ ঈমান আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুরে।

আমিনপুর থানা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার দিঘুলকান্দি গ্রামে বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি বাঘলপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। সে নাটিয়াবাড়ী থেকে কাশিনাথপুরগামী একটি সিএনজি অটোরিকশায় ওঠে। চালক কাশিনাথপুরে অটোরিকশাটি না থামিয়ে বেড়ার দিকে রওনা হয়। কিছুদূর আসার পর মহাসড়কের পাশে একটি বাবলা বাগানে নিয়ে দুই বন্ধু মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে কিশোরীটিকে কাশিনাথপুর ফুল বাগানের কাছে নামিয়ে দিয়ে তারা অটোরিকশা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে উপজেলার বি-নান্দিয়ারা গ্রামের আবুল শেখের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৬) ও একই গ্রামের মৃত আবুল সাপুড়ের ছেলে মো: আলামীন হোসাইন মুজিবের বিরুদ্ধে আমিনপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

আমিনপুর থানার ওসি (তদন্ত) মঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমকে নিয়ে ঘটনাস্থল চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। বেশ কিছু বাগান থাকায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কিশোরীটি ঘটনাস্থল চিহ্নিত করতে পারছে না। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আরো পড়ুন :
স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে রাতভর গণধর্ষণ
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা, ১৩ এপ্রিল ২০১৯
টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসটার্মিনাল সংলগ্ন লেকপাড়ে স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। বখাটেরা ওই নারীকে শহরের একাধিক স্থানে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার ভোরে পৌর এলাকার চরজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দা থেকে দুই বখাটেকে আটক এবং ওই নারীকে উদ্ধার করে। সকালে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত আরো চারজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজন শনিবার সন্ধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকী তিনজনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ওই নারী মির্জাপুরের গোড়াইয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তার স্বামী ওই এলাকায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। তাদের গত ১০মাস আগে বিয়ে হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ওই নারী তার স্বামীকে নিয়ে কালিহাতীর বাবার বাড়ি থেকে মির্জাপুর কর্মস্থলে ফিরছিলেন। কালিহাতী থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে তারা রাত ১০টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসটার্মিনালে এসে নামেন। এ সময় তিন বখাটে ওই নারীর স্বামীকে ডেকে দূরে নিয়ে বেদম মারপিট করে আটকে রাখে।

অন্যদিকে দলের কয়েকজন ওই নারীকে জোরপূর্বক লেকের পাড়ে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তারা ওই নারীকে অপর বখাটেদের হাতে তুলে দেয়। তারা তাকে কোদালিয়া এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই নারীর স্বামী রাত ১২টার দিকে বখাটেদের কবল থেকে কৌশলে পালিয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় গিয়ে ওসির কাছে ঘটনা খুলে বলেন। পরে পুলিশের চারটি দল বিভক্ত হয়ে শহরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে নারীকে উদ্ধারসহ ধর্ষণের সাথে জড়িত অভিযোগে মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, শহরের কোদালিয়ার আলমগীর হোসেনের ছেলে ইউসুফ, আব্দুর রশিদের ছেলে রবিউল ইসলাম রবিন, ফজলু মিয়ার ছেলে মফিজ, রকিবুল ইসলামের ছেলে তানজিরুল ইসলাম তাছিন, দেওলার আবুল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও বিশ্বাস বেতকার বাদশা মিয়ার ছেলে ইমন।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ইউসুফ, রবিন ও মফিজ ধষর্ণের কথা স্বীকার করেছে। উজ্জল ও হাসান নামে তাদের দুইজন সহযোগীকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক নারায়ন চন্দ্র সাহা জানান, ভিকটিমকে পরীক্ষার জন্য গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গণধর্ষণের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে দুপুরে ধর্ষিত ওই নারীর স্বামী বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত ছয়জন ও পলাতক উজ্জল ও হাসানসহ মোট আটজনকে আসামী করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশারফ হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতদের শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলেল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে তাদের মধ্য থেকে তিনজন সন্ধ্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা হচ্ছে ইউসুফ, রবিউল ইসলাম রবিন ও জাহিদুল ইসলাম। তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার সরকার। ছয় আসামীকেই জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ধর্ষিত নারী ২২ ধারায় ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে আদালতে একই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement