২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুস্থ্যতা কামনায় বিএনপির দোয়া মাহফিল

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুস্থ্যতা কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বগুড়া জেলা বিএনপি - নয়া দিগন্ত

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুস্থ্যতা কামনা করে দোয়া মাহফিল করেছে বগুড়া জেলা বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বুধবার বাদ আসর শহরের বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থ্যতা ও মুক্তি কামনা করা হয়।

দোয়া মাহফিলে অংশ নেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, কেন্দ্রীয় সদস্য আলী আজগর হেনা, বগুড়া-৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন, বিএনপি নেতা ফজলুল বারী বেলাল, রেজাউল করিম বাদশা, ডাক্তার মামুনুর রশিদ মিঠু, এম আর ইসলাম স্বাধীন, অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা পপন, তাহা উদ্দিন নাহিন, একেএম তৌহিদুল আলম মামুন, সিপার আল বখতিয়ার, শাহ মেহেদী হাসান হিমু, এসএম রফিকুল ইসলাম, ফারুকুল ইসলাম ফারুক, আলী মুর রাজি তরুন, মাসুদ রানা, মাহবুব হাসান লেমন, লিটন শেখ বাঘা, আবু হাসান প্রমুখ।

আরো পড়ুন : যেসব নেতাদের বিএনপি ছাড়তে বললেন গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক, (২৩ মার্চ ২০১৯)

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যারা মামলা মোকাদ্দমায় ভয় পান তারা দয়া করে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। যারা ভয় পাবেন না তারা দায়িত্ব পালন করবেন। আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় এক অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সকাল ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচতলায় বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঢাকা জেলাধীন দোহার ও নবাবগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে অনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক।


গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ৩০ ডিসেম্বরে নির্বাচন নিয়ে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ এখন বিএনপি নয়, দেশের মানুষের দুঃশাসন চলছে। এটা থেকে রক্ষা পেতে হলে বিএনপিকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই আমি বলবো, যারা মামলা মোকাদ্দমায় ভয় পান তারা দয়া করে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। যারা ভয় পাবেন না তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, মহাসচিব ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলবো যারা মামলা মোকাদ্দমা উপেক্ষা করে রাজপথে থেকে গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে জোরদার করবে তাদের দায়িত্ব দেন।

এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে খুশির বিষয় হচ্ছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসেছেন।

তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি খালেদা জিয়ার মামলাগুলো সবই মিথ্যা। যে সব অভিযোগ তার বিরোদ্ধে মামলা হয়েছে এমন কোনো ঘটনায় ঘটেনি। টাকা যা ছিল তা তিনগুন হয়ে ব্যাংকে আছে। তারপরও দেশনেত্রীকে ঐ মামলা সাজা দেয়া হয়েছে। ইতিহাস বলে কোনো দেশে জনগণের নেতাকে মামলা, সাজা দিয়ে বেশি দিন আটকে রাখা যায় না। খালেদা জিয়াকেও রাখা যাবে না।

আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে উল্লেখ ফখরুল বলেন, আমরা প্রমাণ করবো দেশের মানুষ তাদের প্রয়োজনে গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। অনশনকারীদের পানি খেয়ে অনশন ভাঙান মির্জা ফখরুল।

অনশনে সংহতি প্রকাশ করে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটি সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement