২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিয়ে দিয়ে দেয়া হলো প্রেমিক যুগলের!

বিয়ে দিয়ে দেয়া হলো প্রেমিক যুগলের! - ছবি : সংগ্রহ

বগুড়ার শেরপুর থানায় এক প্রেমিক যুগলের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশের মধ্যস্থতায় দুই পরিবারের সম্মতিতে তিন লাখ টাকা দেনমোহর মূলে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। শনিবার দুপুরে পৌরসভার কাজী ডেকে থানার সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার কক্ষে রেজিস্ট্রি ও বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে চাঞ্চল্যেকর ঘটনা হিসেবে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বাগড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের ফজর আলীর ছেলে সুমন সেখের (২৩) সঙ্গে ঢাকা গাজীপুর জেলার মণিপুর এলাকার মতিন সেখের মেয়ে মাহি সেখের (২১) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘ দুই বছর ধরে যোগাযোগ অব্যাহত থাকার সূত্র ধরে গত শুক্রবার ২২ মার্চ মাহি সেখ তার এক ফুফাতো বোনকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে শেরপুর উপজেলার বাগড়া গ্রামস্থ সুমন সেখের বাড়ি এসে উঠে।

স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি জানতে পেরে থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ওই প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করে থানায় আনে। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়েতে রাজি হন। পরে কাজী ডেকে জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে উক্ত পরিমাণ টাকা দেমনোহর ধার্য করে থানায়ই তাদের বিয়ে দেয়া হয় বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।

অন্যের বউয়ের সাথে রাত কাটাতে গিয়ে ধরা খেলেন ২ সন্তানের জনক
গিয়াস উদ্দিন রানা, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ)
 
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলের গ্রামে পরকীয়া প্রেমিকার সাথে রাত কাটাতে গিয়ে আলম মিয়া (৩৫) নামে এক প্রেমিককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন গ্রামবাসী। শনিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলের জিংলিগড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

আটক আলম মিয়া উপজেলার জিংলিগড়া গ্রামের মৃত আরজ আলীর ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক তিনি।

এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে পরকীয়া প্রেমিকা রুনা আক্তার (২৫) বাদি হয়ে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে আলমকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্মপাশা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জিংলিগড়া গ্রামের মৃত আব্দুর নবীর ছেলে দিনমজুর খাইরুল ইসলাম তার স্ত্রী সন্তানকে বাড়িতে রেখে দীর্ঘদিন ধরে তিনি চট্রগ্রাম শহরে দিনমজুরের কাজ করে আসছেন। এরই সুযোগে গত প্রায় ১ বছর ধরে একই গ্রামের মৃত আরজ আলীর ছেলে আলম মিয়ার সাথে তার স্ত্রী রুনা আক্তারের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তারা গোপনে অবৈধভাবে মেলামেশা করে আসছিলেন।

পরে গত প্রায় ৬ মাস আগে তাদের এ পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি আলমের স্ত্রী গজবা বেগমের নজরে পড়ে। এ নিয়ে তখন থেকেই তারা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া-ঝাটি লেগেই থাকত। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাত নয়টার দিকে প্রেমিক আলম নিজ বসত ঘরে রাতের খাবার শেষে ঘর থেকে বেড়িয়ে গিয়ে তিনি রাতে নিজ ঘরে আর ঘুমাতে আসেননি। 
পরে শনিবার ভোর ৪টার দিকে আলম তার পরকীয়া প্রেমিকার ঘরে রাত কাটানোর বিষয়টি প্রতিবেশীরা টের পেয়ে প্রেমিকার ঘর থেকে আলমকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে আলমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।


আটক আলমের স্ত্রী গজবা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে বলেন, আমার স্বামীর সাথে রুনা প্রায় ১ বছর ধরে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং তারা অবৈধভাবে মেলামেশা করে আসলেও তাদের এ বিষয়টি গত প্রায় ৬ মাস আগে আমার কাছে ধরা পড়ে।

তিনি বলেন, রুনা আমার স্বামীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে সে আমার স্বামীর কাছ থেকে অনেক টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে। আর এ নিয়ে স্বামীর সাথে আমার প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া হতো। এখন আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে কিছু লোক দিয়ে আটকিয়ে রুনা এ নাটকটি সাজিয়েছে।

ধর্মপাশা থানার ওসি এজাজুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে বিষয়টি তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement