২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চৌহালীতে ৪ ঘন্টায় ১০ ভোট

নির্বাচন
চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার নেই। একজন আনসার সদস্য বসে অলস সময় পার করছেন। আজ দুপুর ১২টার চিত্র। - ছবি : নয়া দিগন্ত

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ৪ ঘন্টায় পড়েছে মাত্র ১০ ভোট। ভোট প্রদানে ভোটারদের মাঝে কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। ভোটার উপস্থিতিও কম। একারণে ভোট গ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তারা অলস সময় কাটাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চৌহালী উপজেলার ১নং সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২২৪৫। দুপুর ১২টার দিকে ওই কেন্দ্রের ৬নং বুথে মাত্র ১০টি ভোট পড়েছে। এসময় ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটারকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি।

একই চিত্র দেখা যায়, বেতিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে। সেখানেও ভোটার উপস্থিতি নেই। ৭নং বুথে সকাল ১০টা পর্যন্ত মাত্র ৬টি ভোট পড়েছে। ঐ কেন্দ্রের মহিলা ভোটার সংখ্যা ৩০৫৫।

কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, শুরু থেকে ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে। তবে ভোটারদের উপস্থিতি কম হওয়ায় অলস সময় কাটাতে হচ্ছে।

এদিকে স্থানীয় বিভিন্ন স্তরের মানুষদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত সময়ের নির্বাচন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একদলের প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার ভোটাররা ভোট দেয়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তাদের ধারণা এ নির্বাচনে শুধু ক্ষমতাশীন দলের প্রার্থীরাই অংশগ্রহণ করছে। দলীয় মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হবে। এজন্য ভোটাররা ভোট প্রদানে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ইউএনও মুহা: আবু তাহির জানান, বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলবে। যেহেতু এখনও অনেক সময় আছে, তাই আশা করছি ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

আরো পড়ুন :
সৈয়দপুরের ভোটকেন্দ্রগুলো ভোটারশূন্য
মো: জাকির হোসেন, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ৭৮টি উপজেলার মধ্যে নীলফামারী জেলার সব কয়টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে এ ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

কিন্তু সকাল ১১টা পর্যন্ত সৈয়দপুর উপজেলার ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বিশেষ করে সৈয়দপুর পৌর এলাকার ভোট কেন্দ্রগুলো একেবারেই ভোটারশূন্য। কোনো কোনো কেন্দ্রে এসময় পর্যন্ত একটিও ভোট পড়েনি।

আবার কোথাও কোথাও দু’একজন ভোটার ভোট দিলেও ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আগমনের কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়নি। সবখানেই শুধুমাত্র প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক ও উৎসুক শিশু-কিশোরদের আনাগোনা চোখে পড়েছে।

ভোটারশূন্য কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্বরত আনসার ও পুলিশ সদস্যরাসহ প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও অন্যান্যরা বসে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। তাদের কোনো ব্যস্ততা নেই বললেই চলে।

সৈয়দপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (বাংলা হাইস্কুল) চত্বরে গিয়ে দেখা যায় পুরো মাঠ ফাঁকা। উপজেলার ১৩ নং এই ভোটকেন্দ্রে একজন ভোটারকেও দেখতে পাওয়া যায়নি। এখানকার ৩১১৯ জন ভোটারের মধ্যে দীর্ঘ আধা ঘন্টা অপেক্ষার পরও কোনো ভোটারের আগমন ঘটেনি ভোট দেয়ার জন্য। এমনকি সাধারণ মানুষেরাও কেমন ভোট হচ্ছে তা জানার জন্য ভোট কেন্দ্রের বাইরেও কোনো রকম ভিড় করছেন না।

একই অবস্থা বিরাজ করছে অন্য কেন্দ্রগুলোতেও। পৌর এলাকায় মূলত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উৎসব আমেজ বিরাজ করে। কিন্তু এবারের ভোটে তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। যা অনেককেই অবাক করেছে।

ভোটকেন্দ্রের বাইরে অবস্থানরত এক প্রার্থীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মী জানান, এমন ভোট আগে কখনো দেখিনি। ইতিপূর্বের ভোটগুলোতে শহরের ভোটাররা সকাল সকাল ভোট দিতে আসতো। বিশেষ করে সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতো। কিন্তু এবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত এক-চতুর্থাংশ ভোট পড়বে কি না তা নিয়ে সংশয় আছে।

একই রকম মন্তব্য করেন উপস্থিত বয়স্ক কয়েকজন। তবে কয়েকজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, শহরের লোকজন ব্যস্ত থাকে তাদের কাজকর্ম নিয়ে। হয়তো অনেকেই ভেবেছেন সকালে গেলে ভিড় থাকবে। তাই বিকালে শেষ মূহূর্তে ভোট দিবেন, যখন ভিড় অনেকটা কমে যাবে। সে কারণে এখন ভোটারদের উপস্থিতি কম।


আরো সংবাদ



premium cement