নাটোরে আভ্যন্তরীণ কোন্দলে যুবলীগ নেতা খুন
- নাটোর সংবাদদাতা
- ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৩৭
নাটোর সদরের দত্তপাড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে আভ্যন্তরীণ কোন্দলে হাসান আলী খাঁ (৩০) নামে এক ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি খুন হয়েছে। নিহত হাসান খাঁ সদরের দত্তপাড়া গ্রামের মোমিন খাঁয়ের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় মেম্বার সেন্টুর সাথে ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি হাসান আলী খাঁর দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় মেম্বার সেন্টু, আওয়ামী লীগ কর্মী সালাহ উদ্দিন ও তাদের অনুসারী শাওন সজিব মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি হাসান খাঁকে কুপিয়ে জখম করে।
স্থানীয়রা দ্রুত তাকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পথেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা চলছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দীন আহম্মেদ জানান, হাসান আলীকে হত্যার ঘটনা শুনেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দত্তপাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
প্রতিপক্ষের হামলা সীতাকুণ্ডে যুবলীগ নেতা দাউদ সম্রাট নিহত
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা, (০১ জানুয়ারি ২০১৯)
সীতাকুণ্ডে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ নেতা নিহত ও অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত যুবলীগ নেতার নাম দাউদ সম্্রাট এবং আহত যুবলীগ নেতার নাম সাজ্জাদ হোসেন। গতকাল বিকেল ৪টায় পৌর সদরের ভোলাগিরি রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সম্রাট ও শহীদের গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন।
অপর দিকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন এ ঘটনার জন্য এমপি সমর্থিত শহিদ ওরফে ডাকাত শহিদকে দায়ী করছেন। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত দাউদ সম্রাট সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এবং ওই এলাকায় মৃত আবু হোসেনের ছেলে। আর সাজ্জাদ হোসেন পৌর যুবলীগ নেতা এবং একই এলাকার আলী রাজ্জাকের ছেলে। তারা দুজনেই উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম আল মামুনের অনুসারী বলে জানা গেছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মো: দিদারুল আলমকে অভিনন্দন জানানোর জন্য যুবলীগ নেতা শহিদ তার লোকজনকে নিয়ে এমপির বাড়ি যাওয়া জন্য জড়ো হচ্ছিল। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন জানান, এ সময় সন্ত্রাসী শহিদ যুবলীগ নেতা সাজ্জাদকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনা জানতে পেরে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দাউদ সম্রাটসহ ঘটনাস্থলে এসে এর প্রতিবাদ জানান। এ সময় শহিদের লোকজন সম্রাটকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তখন তাদের উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড হাসপাতালে ভর্তি করলে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ডাক্তার তাদের চমেক হাসপাতেল রেফার করেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) জহিরুল ইসলাম বলেন, বিকেলে আহত দাউদ সম্রাট ও সাজ্জাদ হোসেন নামে দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এলে ডাক্তার দাউদ সম্রাটকে মৃত ঘোষণা করেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক শিরিন বলেন, বিকেল সাড়ে চারটার সময় আহতদের মেডিক্যালে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। দাউদ সম্রাটের বুকে ও পেটে আর সাজ্জাদের মাথায় ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি দেলওয়ার হোসেন বলেন, ডাকাত শহিদ গ্রুপ ও দাউদ সম্রাট গ্রুপের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব বিরোধের কারণেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবেলায় পৌরসদরজুড়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা