মেয়ে অনার্স শিক্ষার্থী বাবা দাখিল পরীক্ষার্থী
- আকরাম হোসাইন, শেরপুর (বগুড়া)
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪১, আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫৪
শিক্ষার কোন বয়স নেই, দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। এসব কথা নিজের মনের মধ্যে লালন করে সুপ্ত প্রতিভাকে বিকাশের জন্য এবং বয়সটাকে তুচ্ছ করে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন পঞ্চাশোর্ধ এক শিক্ষানুগারী শফিকুল ইসলাম।
মেয়ে অনার্সের শিক্ষার্থী হলেও অনেকটা নাতি-নাতনির বয়সীদের সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রে বেশ উদ্যোম দেখা যাচ্ছিল ওই পরীক্ষার্থীকে। এবছর অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় বগুড়ার শেরপুরের শালফা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে দেখা যায় তাকে।
সরেজমিনে জানা যায়, ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের চান্দিয়ার গ্রামের মৃত সোনাউল্লাহ সেখের ৫২ বছর বয়সী ছেলে শফিকুল ইসলাম নিজেকে শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তুলতে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে শেরপুর উপজেলার হাপুনিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে লেখাপড়া করে এ বছর দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার রেজি নং ১৬৩৯১৫, রোল নং ৩০৩৪৪৩।
এ প্রসঙ্গে পরীক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম জানান, ‘পারিবারিক জীবনে আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে শেরপুর টাউনক্লাব মহিলা অনার্স কলেজে অনার্সে অধ্যায়নরত, মেজো মেয়ে ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছা কলেজে অধ্যায়রত এবং ছোট মেয়েও স্কুলে লেখাপড়া করে। পারিবারিকভাবে সকলেই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে, তাহলে আমি কেন শিক্ষার আলো থেকে বিরত থাকবো। তাই তাদের অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে আমি শিক্ষা জীবন শুরুর পর্যায়ে এবছর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি।’
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মো: ইউসুফ আলী বলেন, ‘এ কেন্দ্রে ২১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫২ বছর বয়সী শফিকুল ইসলামের দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ সমাজের অনেক স্বল্পশিক্ষিতদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা