রাকসু নির্বাচন : অংশ নিতে পারবে ইসি কর্তৃক নিবন্ধিত দলের ছাত্র সংগঠন
ছাত্রদলের দাবি সহাবস্থান নিশ্চিত করা- রাবি সংবাদদাতা
- ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:২০
দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলনে সাড়া মেলেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে কোনো সুরও মেলালনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে সম্প্রতি প্রশাসন থেকে ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে বসার আশ্বাস দেয়ার পরই ছাত্র সংগঠনের নড়েচড়ে বসেছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্তৃক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন এবং ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলোর কমিটির তালিকা ও গঠনতন্ত্র চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর জানান, ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে উল্লিখিত তথ্যগুলো জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পরে কোনো তথ্য জমা নেয়া হবে না। এছাড়া পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনা করা হবে।
সূত্রে জানা গেছে, বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫৬ সালে তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. ইতরাৎ হোসেন জুবেরীর কাছে ছাত্র সংসদের দাবি উত্থাপন করা হলে ১৯৫৬ সালে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম ভিপি মনিরুজ্জামান মিয়া ও জিএস পদে আব্দুর রাজ্জাক খান নির্বাচিত হন। তখন এ সংসদের নাম ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (রাসু)। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীল নাগরিক ও নেতৃত্বের গুনাবলি সম্পন্ন তৈরি করার লক্ষ্যে ১৯৬২ সালে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নামে যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে ১৯৮৯-৯০ বছর পর্যন্ত ১৪ বার নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সালে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। আর ১৯৭৫ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৮১ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল এ সংসদের নির্বাচন। সর্বশেষ ১৯৮৯-৯০ সালের নির্বাচনে ভিপি রিজভী আহম্মদ ও রুহুল কুদ্দুস বাবু জিএস ছিলেন। পরে তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে দেশে নানা অস্থিরতার অজুহাত তুলে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাকসু নির্বাচন। সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরপরই রাকসু নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হচ্ছে ছাত্র সংগঠনগুলো।
ছাত্রসংগঠনগুলোর সাথে সংলাপে বসা এবং রাকসু নির্বাচনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি পেলে আমরা অবশ্যই প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসবো। তবে আমরা রাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিষয়টি এবং হলগুলোতে ভোটগ্রহণ না করে বিভাগভিত্তিক ভোট গ্রহণের আয়োজন করা। যেখানে নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয় এবং এই বিশ^বিদ্যালয়ের নির্বাচন কলঙ্কিত না হয় সেবিষয়ে আলোচনা করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, রাকসু নির্বাচন হওয়াটা দীর্ঘদিনের দাবি। আমরা চাই দ্রুত রাকসু নির্বাচন হোক। কেননা এখন নির্বাচনের যথেষ্ট ভালো সময়। আমরা দু’দিন আগেও ভিসির কাছে রাকসু নির্বাচনের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছি।
বিMghবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ছাত্র সংগঠনের সহবস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, রাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতির আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান জরুরি বলে মনে করি। তাছাড়া নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবে তাদেরকে সকল প্রকার হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করতে প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকতে হবে এবং অনুষদভিত্তিক নির্বাচনের আয়োজন করার দাবি জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা