২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অজ্ঞাত রোগে তাড়াশে ২০টি গরুর মৃত্যু

তাড়াশে আরো অনেকের মতো গরু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আব্দুল লতিফ - নয়া দিগন্ত

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার একটি গ্রামে অজানা রোগে ৭ দিনে প্রায় ২০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার মাধাইনগড় ইউনিয়নের উত্তরমথুরা গ্রামে।

উত্তর মথুরাপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, দুইদিন আগে তার একটি এড়ে বাছুর হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। বাছুরটি খাওয়া ছেড়ে দেয়, পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে ওঠে। পরে তাড়াশ উপজেলা পশু হসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরও আর ভাল হয়নি। পরে মৃত্যু হয় বাছুরটির।

একই গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, অজানা রোগে তারও একটি গরু মারা গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, আমার গরুসহ গ্রামের প্রায় ১৫ থেকে ২০টি গরু অজানা রোগে মারা গেছে। তাড়াশ পশু হাসপাতাল থেকে টিকা দেয়ার পরপরই এই গরু মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে।

আরেক ভুক্তভোগী আরশেদ আলী বলেন, গত তিনদিনে আমার দুইটি বাছুর গরু মারা গেছে। কি রোগে মারা যাচ্ছে বুঝতে পারছি না। পশু হাসপাতাল থেকে কোনো ডাক্তার এখনো আমাদের খোঁজ নেয়নি। আতঙ্কের মধ্যে আছি অন্য গরুগুলো সুস্থ থাকে কিনা।

এছাড়াও ওই গ্রামের শাহিন প্রাং, শফিকুল ইসলাম, ফারুক হোসেনসহ অনেকের গরু একইভাবে মারা গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ তাড়াশ প্রাণীসম্পদ অভিদপ্তরের অবহেলায় এমনভাবে গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে। এমন কি এখনো সে রোগ প্রতিরোধে কোনো কার্যকর ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি।

এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আবু হানিফ উত্তরমথুরাপুর গ্রামের ২০টি গরুর মৃত্যুর খবর অস্বীকার করে বলেন, বাদলা রোগে কয়েকটি বাছুর গরুর মৃত্যু হয়েছে। আমাদের হাসপাতালের ডাক্তারা টিকা প্রয়োগ করেছেন। আশা করছি খুব শিগগির রোগটি নিয়ন্ত্রনে আসবে।

উল্লেখ্য, গতবছর তালম ইউনিয়নের চৌড়া গ্রামে ১২০টি গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সে ঘটনায় এখনো মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।


আরো সংবাদ



premium cement