২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সন্তানসহ আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

-

বগুড়ার শিবগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফ্ফর হোসেন ও তার দুই ছেলেকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে নগদ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের বুড়িগঞ্জ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে তিন মাদক ব্যবসায়ীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হযেছে।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বুড়িগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন (৫৫) ও তার দুই ছেলে সুমন হোসেন (২৮) ও সাকিব হোসেনকে (২৫) সাথে নিয়ে বুড়িগঞ্জ বাজারে ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান কেনার জন্য গেলে পার্শ্ববর্তী উত্তর বিলহামলা গ্রামের মতিয়ার রহমান বুলুর ছেলে আবুল কালাম, মোহনের ছেলে এরশাদ হোসেনসহ কতিপয় যুবক তাদের ওপর হামলা করে।

এ সময় রাম দা, লোহার রড, চাকু দিয়ে তাদের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

পরে তাদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর হামলাকারীরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হাসানকে মারপিট করে তার দোকান ভাঙচুর ও বাড়িতে হামলা চালায়।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফ্ফর হোসেনের স্ত্রী শাহিনুর বেগম জানান, হামলাকারী সবাই মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। কিছুদিন আগে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

তিনি আরো বলেন, গত ২৪ অক্টোবর তারা জেল থেকে ছাড়া পায়। তাদের ধারণা আমার স্বামী পুলিশকে সহযোগিতা করে তাদের ধরিয়ে দিয়েছে।

শিবগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

আরো পড়ুন: টাঙ্গাইলে আ. লীগের ৩ নেতাকে কুপিয়ে জখম
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা, ১০ জুলাই ২০১৮

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সাতুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পুরোনো টিনসেড ঘরের নিলামকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহতদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কালিহাতী পৌর এলাকার সাতুটিয়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এর প্রতিবাদে অন্তত ৩ ঘণ্টা কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা বুধবার কালিহাতীতে আধাবেলা হরতাল আহ্বান করেছে।

স্থানীয়রা জানান, কালিহাতী পৌর এলাকার সাতুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পুরোনো টিনসেড ঘর বিদ্যালয়ের সভাপতিকে না জানিয়েই মাত্র ৬৫ হাজার টাকা মূল্য ধরে গোপনে নিলাম দেওয়া হয় বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শরীফ আহমেদ রাজুর বড় ভাই ফরিদ আহমেদকে।

এ নিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে আমিনুল ইসলাম আমিন নিজেই ফরিদ আহমেদের সাথে হাত মেলান। মঙ্গলবার সকালে আমিনুল ইসলাম আমিন তার লোকজননি সেই ঘরটি ভাঙ্গতে গেলে প্রতিপক্ষের শান্ত মিয়া, সোলায়মান ও রুমেলসহ স্থানীয় লোকজন তাদের বাধা দেন। পরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও সাতুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমিন, কালিহাতী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রতন ও পৌর শ্রমিক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাইসুল ইসলাম রাসেলকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


এ ঘটনার প্রতিবাদে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বালি বিক্ষোভ করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তারা সেখানে বিক্ষোভ করেন।

সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী বি.কম, উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ তোতা প্রমুখ।

এ সময় মোজহারুল ইসলাম তালুকদার হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার কালিহাতীতে আধাবেলা হরতালের ডাক দেন। এ ঘটনায় স্থানীয় এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারীর মদদ রয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা এমপিকে কালিহাতীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তারা কালিহাতী থানার ওসিকেও প্রত্যাহারের দাবি জানান।

পরে টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের এএসপি মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে নেতাকর্মীরা অবরোধ তুলে নেন।

এ ব্যাপারে এমপি হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী বলেন, উপজেলা প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে কতিপয় লোকজন গোপন অকশনে ভবনটি নামমাত্র মূল্যে কিনে নেয়। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমিন জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন এবং পুনরায় নিলামের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন।

পরে তিনিই আবার অভিযুক্তদের সাথে হাত মিলিয়ে ঘরটি ভাঙতে যান। এলাকাবাসী এ বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তারা ঘর ভাঙতে বাধা দেন। এটি রাজনৈতিক কোন বিষয় নয়।

এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন বলেন, সাতুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ঘরের নিলামকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন।

এ ঘটনায় প্রতিবাদে কালিহাতী বাসস্ট্যান্ডে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পরে প্রশাসন অপরাধীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।


আরো সংবাদ



premium cement