আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে আটক ডাক্তার, বিয়ে পড়ানো হলো না কেন?
- ভাঙ্গুড়া (পাবনা) সংবাদদাতা
- ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৫৫
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারি মেডিক্যাল অফিসার ও এক সন্তানের জনক রুবেল আহমেদের (২৭) বিরুদ্ধে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। যা সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, হাজী গয়েজ উদ্দিন মহিলা মাদরাসার দ্বিতীয় বর্ষের জনৈক ছাত্রীর (১৭) সাথে রুবেলের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সেই প্রেমের টানে সাড়া দিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে স্থানীয়রা তাকে গ্রেফতার করে। এসময় গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে তার কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ জরিমানা আদায় করে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়াপাড়ায় । ভিক্টিমের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, রুবেল আহমেদ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনার দিন রাতে মেয়ের ঘরে রুবেল আহমেদের অবস্থান টের পেয়ে বাড়ির লোকজনসহ গ্রামবাসী আপত্তিকর অবস্থায় তাকে আটক করেন। পরে ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন ও বর্তমান ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদকে ডেকে এনে ধর্ষক রুবেলকে গণধোলাই দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
তখন ধর্ষক রুবেলকে ধর্ষিতার ঘরের বারান্দার খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে চলে দেনদরবার। অবশেষে ধর্ষকের কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আদায় করে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল্লাহ হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি মীমাংসার অযোগ্য হওয়ায় আমি রাতেই ঐ দরবারের স্থান ত্যাগ করি।
ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, মেয়েলি ঘটনা তাই মেয়ের চাচা রমজান আলী বিষয়টি টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করে নিয়েছেন।
ধর্ষিতার মা বলেন, আমার কোনো উপায় নেই তবে মীমাংসা হয়েছে কিন্তু কোনো টাকা হাতে পাইনি।
ধর্ষিতা বলেন, ‘আমি কোনো মীমাংসা চাই না। সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। তাই আমার দাবি তা হলো রুবেলকে আমার সাথে বিয়ে দিতে হবে, নতুবা আমি আত্মহত্যা করব।’
এ বিষয়ে জনৈক কাজি বলেন, ওই পরিবারের লোকজন ঘটনার দিন নিকাহ নিবন্ধনের জন্য আমাকে বাড়িতে ডেকে নিয়েছিল। আমি গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু টাকার বিনিময়ে বিষয়টি রফাদফা হওয়ায় আমি ভোর রাতে বাসায় ফিরে আসি।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি (তদন্ত) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার অযোগ্য। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ছাত্রলীগ নেতার দেহব্যবসা, অবশেষে পড়ল ধরা
পলাশ (নরসিংদী) সংবাদদাতা
নরসিংদীর পলাশে চাকরির প্রলোভন দিয়ে কিশোরীদের দিয়ে দেহব্যবসা করানোর চেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগের এক নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছে পলাশ থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে আনিকা মোর্শেদা নামে এক কিশোরী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাউছার হামিদ, রোকেয়া বেগম ও তার স্বামী সাব্বির হোসেন। এ ঘটনায় পুলিশ আটককৃতদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পলাশ থানার এসআই মীর সোহেল রানা।
তিনি জানান, আটককৃতরা দীর্ঘ দিন ধরে ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় বিভিন্ন অসহায় কিশোরীদের কাজের কথা বলে তাদের বিভিন্ন কায়দায় ব্লাকমেইল করে দেহব্যবসায় বাধ্য করে আসছে। তাদের কথামতো দেহব্যবসায় জড়িত না হলে তারা বিভিন্ন সময় কিশোরীদের মারধর ও অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে নানাভাবে হয়রানি করে থাকত। এরই ধারবাহিকতায় আনিকা মোর্শেদা নামে এক কিশোরীকে চাকরি দেয়ার কথা বলে তাকে ঘরে বন্দি করে দেহব্যবসা করার কথা বলে ছাত্রলীগনেতা কাউছার ও তার সহযোগীরা। দেহব্যবসায় রাজি না হলে তারা ওই কিশোরীকে মারধর শুরু করে। পরে তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই কিশোরী থানায় মামলা দিলে পুলিশ তাদের আটক করে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লা জানান, ছাত্রলীগ নেতা কাউছার বিভিন্ন সময় এলাকার অসহায় মেয়েদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অসামাজিক কাজ-কর্ম জড়িত হতে বাধ্য করত। কাউছারের মোবইল ফোনে একাধিক নারী পুরুষের অসামাজিক কাজের ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা