২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাষণ্ড পুত্রবধূর কাণ্ড

পাষণ্ড পুত্রবধূর কাণ্ড - ছবি : সংগৃহীত

অবশেষে রাজশাহীর তানোর উপজেলায় জহুরা বেগম নামে এক নারীকে গলাকেটে হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে নিহতের পুত্রবধূ সোনিয়া আক্তার রুমি তাকে হত্যা করেছেন। হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন রুমি। সোমবার দুপুরে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এসপি শহিদুল্লাহ জানান, তানোর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের জিতপুর গ্রামে শাশুড়ি জহুরা বেগমের সঙ্গে পুত্রবধূ সোনিয়ার পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই দ্বন্দ্ব লেগে থাকত। গত ৩ অক্টোবর রাতে জহুরা বেগমের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সোনিয়া কাঠ দিয়ে তাকে (জহুরা বেগম) মাথায় আঘাত করেন। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাকে গলাকেটে হত্যা করেন।

পরে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নিজেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে, গলায় ও মাথায় আঘাত করে চিৎকার দিতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জহুরা বেগমের লাশ ও আহত সোনিয়াকে উদ্ধার করে। তবে সোনিয়ার ভাষ্য ও ঘটনাস্থলে পাওয়া আলামতে পুলিশের সন্দেহ হয়। গত রোববার সোনিয়াকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে সোনিয়া শাশুড়ি জহুরা বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন সোনিয়া। রোববারই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলাটি তদন্তাধীন আছে। তবে ঘটনার সঙ্গে সোনিয়া আক্তার রুমিই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান এসপি।

প্রায় ২০ বছর আগে জোহরার স্বামী হেলালের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর থেকে জোহরা ছেলে জাহাঙ্গীরকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। ছেলে জাহাঙ্গীরের বিয়ের পর থেকে পুত্রবধূ রুমি ও তাদের মেয়ে জুঁই জোহরার সঙ্গে থাকতেন। ছেলে জাহাঙ্গীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুবালী ব্যাংকের নাইট গার্ড পদে চাকরি করেন।

ধর্ষণের প্রমাণ লুকাতে ভাই-বোন মিলে চুবিয়ে হত্যা করল শিশুকে
খুলনা ব্যুরো

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ উন্মেষ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী যোগিপোলের জব্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ট্রাক ড্রাইভার হালিম হাওলাদারের কন্যা সাদিয়া আক্তার শিমু (৮) পুকুরে ডুবে মারা যায়নি। প্রথমে সেটাই প্রচার করা হয়। প্রকৃতপক্ষে ধর্ষণের পর শিমুর শারিরীক অবস্থা খারাপ হওয়ায় এবং ঘটনা জানাজানির ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে সাজানো হয় পানিতে ডুবে মৃত্যুর নাটক। ঘটনার সাথে জড়িত সাদ্দামের শ্যালক হাবিবুর রহমানকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে এবং তার বোন সাদ্দামের স্ত্রী শারমিনকে (২৮) খুলনার মহেশ্বরপাশা থেকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে এসব তথ্য দেয় বলে জানা গেছে।

রোববার তাদের ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ করেন।


এ ব্যাপারে শিমুর নানা তোতা মিয়া বাদী হয়ে গত শনিবার দৌলতপুর থানায় হাবিবুর রহমান (২০) এবং মহেশ্বরপাশা সাহেবপাড়ার সাদ্দামের স্ত্রী শারমিনকে (২৮) আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১ অক্টোবর সন্ধ্যায় সাদিয়া আত্তার শিমু এবং শিমুর মামা মাহফুজকে (৬) নিহতের মামার বন্ধু সাদ্দাম ও তার স্ত্রী শারমিন মহেশ্বরপাশা সাহেবপাড়াস্থ তাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায়। রাত ১০টায় শিমুর মা আখি তাকে বাড়ি নিয়ে আসতে গেলে তারা শিমুকে না দিয়ে পরের দিন দুপুরের পর দিয়ে আসবো বলে খানিকটা জোর করে রেখে দেন।

পরের দিন ২ অক্টোবর সকালে সাদ্দাম এবং তার স্ত্রী শারমিন কাজে বাইরে চলে গেলে সাদ্দামের শালা হাবিবুর রহমান কৌশলে সাদ্দামের মেয়ে অথৈ ও মাহফুজকে বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে শিমুকে ধর্ষণ করেন। পরে শিমুর শারিরীক অবস্থা খারাপ দেখে এবং একথা বাড়িতে বলে দেয়ার হুমকি দেয়ায় শিমুকে হাবিবুর এবং তার বোন শারমিন মিলে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

তারপর তারা পানিতে ডুবে শিমুর মৃত্যু হয়েছে বলে তাড়াহুড়ো করে গোসল দিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করে। সাঁতার জানা শিমুর পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি মানতে না পেরে এবং মৃত্যুর বেশ কিছু আলামত শুনে শিমুর নানা তোতা শেখ খানজাহান আলী থানা পুলিশ এবং দৌলতপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় শিমুর লাশ ময়না তদন্তের জন্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসতে থাকে।


আরো সংবাদ



premium cement