২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জন্মদিনে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা খুন

জন্মদিনে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা খুন - সংগৃহীত

বগুড়ায় জন্মদিনেই খুন হয়েছেন পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শাকিল ওরফে পা কাটা শাকিল ওরফে বি ক্লাস শাকিল (২৫)। এ সময় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন শাকিলের সহযোগী স্বেচ্ছাসেবকলীগের অপর নেতা বিশাল (২৫)।

শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের চকসূত্রাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি শহরের লতিফপুর কলোনির মৃত শাহজালালের ছেলে ও শহর ছাত্রদলের সভাপতি সৌরভের ছোটভাই এবং পৌর আওয়ামী লীগ নেত্রী আলেয়ার ভাতিজা।

জানা গেছে, শুক্রবার ছিল শাকিলের জন্মদিন। এদিন সন্ধ্যায় তিনি নিজ বাসভবনে পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের নিয়ে কেক কাটেন। এরপর শাকিল, বিশাল ও মিশু নামে তিন বন্ধু মোটরসাইকেলযোগে শহরের চকসূত্রাপুর সুইপার পট্টিতে যান। সেখানে পূর্ববিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা শাকিলকে রামদা দিয়ে কোপায়।

শাকিলকে উদ্ধার করতে গেলে বিশালকেও ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা। পরে মিশু দুজনকে উদ্ধার করে মোটরসাইকেলযোগে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সময় সদর থানার সামনে শাকিল মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। এ সময় পুলিশ মোটরসাইকেলসহ মিশুকে আটক করে। গুরুতর আহত দুইজনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শাকিলকে মৃত ঘোষণা করে।

তার অপর সহযোগী শহরের ১০ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশাল শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শাকিলের নামে থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। পুলিশ বলেছে, তার নামে হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগ আছে।

পুলিশ জানায়, ২০১৬ সালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ওই সময় পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হন। পরে তার ডান পা কেটে ফেলা হয়। এক মাস আগে শাকিল জামিনে মুক্তি পান। শাকিলের অপর সহযোগী বিশাল ও মিশু স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা-কর্মী। দুজনই কিছু দিন আগে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, শাকিল, বিশাল ও মিশু তিনজনই সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

আরো পড়ুন : জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে ক্ষমা নেই : ভিপি সাইফুল
বগুড়া অফিস ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:১৩


বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বগুড়া জেলা সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম আইন শৃংখলাবাহিনীর উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা জনগনের সেবক হিসেবে কাজ করুন। কোন দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন না করে সত্য ও ন্যায়েরর পথে থাকুন। তাহলে জনগন আপনাদের পাশে থাকবে । কিন্তু জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে ভবিষ্যতে ক্ষমা পাবেন না। তিনি বলেন, সরকারের সময় শেষ। তারেক রহমান যে কর্মসূচী দেবেন তা সফল করতে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। 

এ সরকারের পতন হবেই হবে। তিনি শনিবার বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের নবাব বাড়ী রোডে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিচারিক আদালত কারাগারে স্থানান্তরের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শোকরানা. আলী আজগর হেনা, লাভলী রহমান, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট একেএম হাফিজুর রহমান, ফজলুল বারী বেলাল, মাহবুবর রহমান বকুল, এম আর ইসলাম স্বাধীন, অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা পপন, পরিমল চন্দ্র দাস, স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি শাহ মেহেদী হাসান হিমু, সাধারন সম্পাদক শাহাবুল আলম পিপলু, শফিকুল ইসলাম শফিক, শ্রমিকদল সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, জাসাস সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন পশারী হিরু, আলীমুর রাজি তরুন, ছাত্রদল সভাপতি আবু হাসান, সাধারন সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, যুবদলের সাধারন সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম, খান জাহাঙ্গীর, আবু জাফর জেমস , আব্দুল মোমিন প্রমুখ। এর আগে বহু নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। এসময় রায়ট কার নিয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়।


আরো সংবাদ



premium cement