২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাণীনগরে মুণ্ডুহীন ভেড়া শাবকের জন্ম

বিচিত্র
ভেড়ার বাচ্চাটি দুই পা ও মাথাবিহীন মৃত অবস্থায় জন্ম নেয়। - ছবি : নয়া দিগন্ত

নওগাঁর রাণীনগরে একটি ভেড়া মুণ্ডুহীন মৃত একটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার চক-পারইল গ্রামে কৃষকের ঘরে এ ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসক জনতা বাচ্চাটি দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।

স্থানীয় ও উৎসুক জনতা সূত্রে জানা গেছে, চক-পারইল গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে রিপন আলী ৭টি ভেড়া লালন-পালন করে আসছিলেন। এর মধ্যে একটি ভেড়া মঙ্গলবার বিকেলে তিনটি বাচ্চা প্রসব করে। এর মধ্যে একটি বাচ্চা দুই পা ও মাথাবিহীন মৃত অবস্থায় জন্ম নেয়। বাকি দুটি বাচ্চা ভালোভাবে জন্ম নিয়েছে।

এব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আবু তালেব জানান, জন্মগত কারণে এরকম বাচ্চার জন্ম হতে পারে। এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়।

আরো পড়ুন :
মুণ্ডু ছাড়া মুরগি
নয়া দিগন্ত ডেস্ক, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
আজ থেকে ৭০ বছর আগে আমেরিকার কলোরাডোয় এক চাষি তার খামারের একটি মুরগির শিরোñেদ করেছিলেন। তার পরেও আরো ১৮ মাস বেঁচে ছিল মুরগিটি; কিন্তু মুণ্ডু ছাড়া শুধু একটি মুরগির ধড় কি আদৌ এত লম্বা সময় বেঁচে থাকতে পারে?

১৯৪৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর; কিন্তু মার্কিন মুলুকে এমন তাজ্জব করে দেয়া এক ঘটনা ঘটেছিল। খামারি লয়েড ওলসেন আর তার স্ত্রী কারা সেদিন ৪০-৫০টি মুরগি জবাই করেছিলেন; কিন্তু তার মধ্যে একটা মুরগি ছিল বেয়াড়া রকম জেদি। মুণ্ডু কাটা যাওয়ার পরও মুরগিটি নেতিয়ে না পড়ে অবিশ্রান্ত ছোটাছুটি করছিল। কিছুতেই থামছিল না। এমন কাণ্ডের পর লয়েড ও তার স্ত্রী একটি আপেলের বাক্স দিয়ে ওই রাতের মতো মুরগিটি চাপা দিয়ে রাখেন; কিন্তু কী আশ্চর্য, পরদিন সকালেও মুরগিটি দিব্বি বেঁচে ছিল।

এ দিকে ঘটনার পরদিন যখন লয়েড মুরগিগুলো নিয়ে বাজারে বেচতে যান, সাথে তিনি ওই মুণ্ডহীন মুরগিটিও নিয়ে গিয়েছিলেন।
‘আমার কাছে একটা মুরগির জ্যান্ত ধড় আছে’, বন্ধুদের এ কথা বলে আর সাথে বাজি ধরে সে দিন বেশ কয়েক গ্লাস বিয়ারও জিতে ছিলেন তিনি।

ধীরে ধীরে মুরগিটির কথা চার পাশে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় খবরের কাগজের এক সাংবাদিককে লয়েড ওলসেনের সাাৎকার নিতেও পাঠায়।

৩০০ মাইল দূরের সল্ট লেক সিটি থেকেও খবর পেয়ে ছুটে আসেন হোপ ওয়েড নামে এক সাইড-শো প্রোমোটার। তিনি লয়েডকে প্রস্তাব দেন ওই মুরগি নিয়ে তিনি যদি শো করতে বের হন তাহলে দিব্বি দুই পয়সা কামানো সম্ভব।

যেই কথা সেই কাজ। প্রথমে সল্ট লেক সিটি, তারপর ইউনিভার্সিটি অব উটাহ। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মুরগিটির নানা পরীা করেন ওর বেঁচে থাকার রহস্যটা কী, তা বুঝতে।

প্রোমোটার হোপ ওয়েড তত দিনে ওই মুণ্ডুহীন মুরগিকে ‘মিরাকল মাইক’ নামে ব্র্যান্ড করেন। বিখ্যাত ‘লাইফ’ ম্যাগাজিনের প থেকেও মিরাকল মাইকের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

মাইককে নিয়ে তত দিন সারা মার্কিন মুলুক চষে বেড়াচ্ছেন লয়েড ও কারা ওলসেন। যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই মুণ্ডুহীন মাইককে দেখতে হইচই পড়ে যায়।

মাইককে তরল খাবার খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখা হতো। ওলসেন দম্পতি একটা সিরিঞ্জে করে সেই খাবার সরাসরি খাদ্যনালীতে ঢলে দিতেন।

এক দিন ফিনিক্সের একটি মোটেলের ঘরে সেই খাদ্যনালীতে কিছু আটকেই দমবন্ধ হয়ে মাইকের শেষ দিন ঘনিয়ে আসে।

মাইকের স্মৃতিতে অবশ্য এখন বেশ কয়েক বছর ধরে কলোরাডোর ফ্রুটাতে প্রতি বছরই হেডলেস চিকেন ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা হচ্ছে। আর মুণ্ডু কাটা যাওয়ার পরও মাইক কিভাবে দেড় বছর বাঁচল বিজ্ঞানীরা তার নানা ব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছেন। ইন্টারনেট।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement