নাটোর চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীর চার মাসের বেতন বকেয়া
- নাটোর সংবাদদাতা
- ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৯:৩২
পবিত্র ঈদ-উল-আজহাকে সামনে রেখে নাটের চিনিকলের প্রায় ৯শ কর্মকর্তা-কর্মচারীর চার মাসের বেতন বকেয়া রেখে দুই মাসের আগাম বেতন দেয়া হয়েছে।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, নাটোর চিনিকলে মৌসুমী ও স্থায়ী মিলিয়ে প্রায় নয়শ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে গত এপ্রিল মাস থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা বকেয়া পড়ে গেছে। এর মধ্যে জরুরী প্রয়োজনে অনেকেই নগদ টাকার পরিবর্তে চিনি নিয়ে শতকরা ১০ থেকে ১৮ টাকা ক্ষতি স্বীকার করে চিনি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ায় চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধার-বাঁকি করে মানবেতন জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। গত রোজার ঈদে বেতনভাতা দিতে না পারায় এবারে কর্তৃপক্ষ ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে বেতনভাতা পরিশোধের উদ্যোগ নেয়।
চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মোঃ ওয়াকার হাসান জানান, এরই অংশ হিসেবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জমানো প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) এর টাকায় কেনা এক কোটি ৮০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই ভেঙ্গে ফেলা হয়। এতে করে এক কোটি ৮০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গিয়ে দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকা পাওয়া যায়। সেই টাকা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী আগষ্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসের বেতনভাতা হিসেবে দুই কোটি ২৮ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম শিমুল বৃহস্পতিবার চিনিকলে গেট মিটিং করে এই আগাম বেতনভাতার টাকা প্রদানের উদ্বোধন করেন।
এ ব্যাপারে নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শহীদ উল্লাহ জানান, নগদ টাকা না থাকায় ঈদের কথা ভেবে বেতনভাতা পরিশোধের জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগামীতে কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় থেকে বেতনভাতার জন্য টাকার বরাদ্দ পাওয়া গেলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পিএফ’র টাকা আবারও সঞ্চয়পত্র কেনা হবে। এদিকে চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় এক বছরের বাড়ি ভাড়া বকেয়া পড়ায় বেশীর ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীগণই টাকার বদলে চিনি নিয়ে ক্ষতি করে চিনি বিক্রি করেছেন। এখনও যারা বাড়ি ভাড়ার বকেয়া টাকা নেন নাই তাদেরও সবাইকেই একইভাবে ক্ষতি করে চিনি নিয়ে পরিশোধ করতে হবে। যেহেতু অন্যরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাই অবশিষ্টদেরও একইভাবে ক্ষতি মেনে টাকা নিতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা