২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঠাকুরগাঁওয়ে নৈশ্য প্রহরী খুনের আসামী গ্রেফতার

-

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় হাস্কিং মিলে নৈশ্য প্রহরী খুনের ঘটনায় খুনি শাহ আলম ওরফে পুতু (৩২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার তাকে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতে হাজির করা হয়।
এসময় অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আর কিউ এম জুলকারনাইন ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
জানা যায়, শাহ আলম ওরফে পুতু রুহিয়া রামনাথ পুকুরপাড় মন্ডলাধাম গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে। জবানবন্দীতে শাহ আলম জানায়, দীর্ঘদিন থেকে সে বিভিন্ন এনজিও, ও দাদন ব্যবসায়িদের কাছে ঋন খেলাপী হয়ে ছিল। ঋনের কিস্তি ঠিকমত দিতে না পারায় সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে। ঘটনার দিন (১ আগষ্ট) রাতে শাহ আলম রুহিয়া পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেনের হাস্কিং মিলের নৈশ্য প্রহরী নিধুরাম বর্মন (৬৭) বেতন পেয়েছে জানতে পেরে তার কাছে টাকা চাইতে যান। পরে নিধুরাম বর্মন বেতন পায়নি এবং টাকা নেই বলে শাহ আলমকে সাফ জানিয়ে দেন।
পরে শাহ আলম তার কাছে টাকা না দিলে ধানের বস্তা দিতে বলে। কিন্তু এতেও রাজি হয়নি নিধুরাম। পরে শাহ আলম নিধুরামের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে শাহ আলম বাড়িতে গিয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুনরায় হাস্কিং মিলে এসে টাকার জন্য নিধুরামের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে শাহ আলম নিধুরাম বর্মনকে ওই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপ দিয়ে হত্যা করে। পরক্ষনেই সে নিধুরামের কক্ষে টাকা পয়সা খুজতে থাকে। কোন কিছু না পেয়ে সে নিধুরামের মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় এবং রামনাথ বাজারের ধন্য নামে এক লোকের কাছে দিয়ে সেটি বিক্রি করে দিতে বলে।
পরে রুহিয়া থানা পুলিশ মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে খুনিকে খুজতে থাকে। এক পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার ক্লু উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিকেলে শাহ আলমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে সে খুনের ঘটনা স্বীকার করে। বুধবার তাকে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোটে হাজির করে জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। আদালত জবানবন্দী রেকর্ড করার পর তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।


আরো সংবাদ



premium cement