বগুড়ায় নার্স গণধর্ষনের শিকার : গ্রেফতার ২

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের মেইন বাসষ্ট্যান্ডের প্রাইম ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের এক নার্স (১৮) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২জনকে গ্রেফতার করেছে। নির্যাতিতা সেবীকা নিজেই বাদী হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া ইউনিয়নের রসূলপুর গ্রামের এক নার্স এর দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, সে দুপচাঁচিয়া মেইল বাসষ্ট্যান্ডে অবস্থিত প্রাইম ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সেবীকার কাজ করে। সে প্রতিদিন বাড়ী থেকে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে যাতায়াত করে। পার্শ্বের গ্রামের নূর ইসলাম এর ছেলে সোহান (২০) তাকে বিভিন্ন সময় প্রেম নিবেদন করে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ঘটনার দিন গত ২৭ জুলাই ওই সেবীকাকে বিয়ে করবে বলে প্রস্তাব দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করে তালোড়া কাজী অফিসে যাওয়ার কথা বলে দুপচাঁচিয়ার দোগাছি মানিকগঞ্জ মাঠের কাছে নিয়ে যায়। রাতে একাধিকবার ৪ যুবক মিলে তাকে পালাক্রর্মে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে সেবীকা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আসামিরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। ভোরে সে অসুস্থ অবস্থায় তার কর্মস্থল দুপচাঁচিয়া প্রাইম ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে আসে এবং সিনিয়র নার্স কে ঘটনাটি অবগত করে চিকিৎসা গ্রহণ করে। পরে আসামিরা আপোষের প্রস্তাব দিয়ে এবং ভয়ভীতির দেখিয়ে মামলা না করার হুমকি দেয়। কিন্তু শনিবার দুপচাঁচিয়া থানায় নিজেই বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়।
মামলার তদন্তকারী অফিসার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম জানান, এজাহারভুক্ত ২ জন আসামি কে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো, গাড়ী বেলঘড়িয়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ওরফে সাজু (২৮) ও খিহালী পশ্চিমপাড়ার আব্দুল রহিমের ছেলে নাজিম (২০)। রোববার সেবীকাকে মেডিকেলে নেয়া হতে পারে।