মৎস্যভান্ডার খ্যাত ইছামতি ও যমুনা নদী এখন মাছশূন্য
- কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ১৭ জুলাই ২০১৮, ১৭:১৯
এককালের মৎস্যভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ইছামতি ও যমুনা নদী মাছশূন্য হয়ে পড়েছে। এক সময় সারা বছরই নদীতে পানি থৈ থৈ করত। সে সময় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র ছিল এ নদী দু’টি। নদীতে মাছ ধরেই স্বচ্ছল জীবিকা নির্বাহ করতো শত শত জেলে পরিরার। কিন্তু বর্তমানে নদীতে শুধু বর্ষাকালে সামান্য পানি থাকলেও সেখানে মাছ পাওয়া যায় না।
এ কারণে উপজেলার জেলে পরিবারগুলোর চরম দুর্দিন চলছে। তাদের সংসার চলেছে খেয়ে না খেয়ে। লিটন, স্বপন, প্রবাদ, গোপাল, উজ্জল জেলে জানান, তাদের মাছ ধরা একমাত্র পেশা। ইছামতি নদীতে বেশির ভাগ সময় পানি থাকে না। শুস্ক মৌসুমে মরা খালে পরিণত হয়। যমুনা নদীতে পানি থাকলেও মাছ পাওয়া যায় না। ফলে অনেক জেলে তাদের পেশা পরিবর্ত করতে বাধ্য হচ্ছে। এবার বর্ষা মৌসুমে পানি এলেও নদীতে মাছের দেখা মিলছে না। এখন নদীতে সারা দিন জাল ফেলে যে সামান্য মাছ পাওয়া কষ্টকর। যা দিয়ে সংসার চলে না তাদের। বর্তমানে অবস্থা এমন যে নদী আছে কিন্তু মাছ নেই। নদীতে প্রতিবছর পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় ইছামতি নদীর গভীরতা অনেক কমে গেছে। বাজারে এখন শুধু পুকুরে চাষ করা মাছ পাওয়া যায়। নদীর মাছ নাই বললেই চলে। বর্তমানে মাছের যে রকম আকাল চলছে তাতে মাছে ভাতে বাঙালি এ প্রবাদ মুছে যাবে। মৎস্যজীবী শ্যামল, স্বপন বলেন, সারা দিন জাল ফেলে কোন মাছ পাওয়া যায় না। এজন্য জেলে পরিবারগুলো খুবই কষ্টে আছে। অবাধে কারেন্ট জাল দিয়ে ডিমওয়ালা মাছ ধরার কারনে নদীতে মাছ নাই।
কাজিপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, নদীর নাব্যতা কমে গেছে, মাছের কোন অভয় আশ্রম নাই। তার উপর কারেন্ট জাল ডিমওয়ালা মাছ ধরার কারণে দিন দিন নদীতে মাছ কমে যাচ্ছে। কিন্তু মাছ ডিম ছাড়লেও মশারি জাল দিয়ে পোনা মাছ ধরায় মাছ বড় হতে না পারায় নদীতে মাছ পাওয়া যায় না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা