চলনবিলে মা বোয়াল নিধন চলছে
- সিংড়া (নাটোর) সংবাদদাতা
- ০৯ জুলাই ২০১৮, ১৫:৩৮
বন্যার পানি আসার সাথে সাথে মৎস্য ভাণ্ডার খ্যাত চলনবিলের বিভিন্ন জলাশয়, নদী-নালা, খাল-বিলে চলছে মা মাছ নিধন চলছে। এক শ্রেণীর অসাধু জেলে নদী ও বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে, কুচ, পাচা ও বাদাই, কারেন্ট, খোরা জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব মাছ নিধন করে সিংড়া মৎস্য আড়ত ও হাট বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। অথচ প্রশাসন নির্বিকার রয়েছে।
সরোজমিনে চলনবিলের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার মৎস্য অভয়াশ্রম দহ, জোড়মল্লিকা, বিলদহর, কৃষ্ণনগর, যোগেন্দ্রনগর, সারদানগর ভাংগন ও বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে এক শ্রেণীর অসাধু জেলে কুচ, পাচা, বাদাই ও খোরা জালসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ডিমে পেট ভরপুর বোয়াল, টেংরা, পাতাসী, পুটি, মলা, মাগুড়সহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ প্রকাশ্যে নিধন করছে। আর বড় মাছগুলো কুচের মাথায় বেঁধে ঝুলিয়ে এলাকায় বাহবা কুড়ানো হচ্ছে। অথচ সরকারিভাবে মা মাছ নিধন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতি দিন ডিমে পেট ভরপুর ওই মাছগুলো ধরে সিংড়া মৎস্য আড়ত ও আশেপাশের স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠা বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। আর ওই মাছগুলো সরকারি কর্মকর্তারাই বেশি দাম হাঁকিয়ে কিনে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার সকাল ৬টায় সিংড়া মৎস্য আড়তে সাত কেজি ওজনের একটি মা বোয়াল মাছের দাম হাঁকানো হয়েছে সাত হাজার টাকা। পরে জানা যায়, ওই বোয়াল মাছটি সিংড়াদহ এলাকায় এক ব্যক্তির জালে ধরা পড়ে ছিল। এছাড়া খরমকুড়ি বিলে কুচ দিয়ে একটি পাঁচ কেজি ওজনের মা বোয়াল মাছ মেরেছেন জয়নগর গ্রামের জনৈক কৃষক।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এ সময়টা মাছের প্রজনন কাল। চলনবিলের মা মাছ ধরা না হলে মাছগুলো বিলের মুক্ত পানিতে ডিম ছাড়ত। এতে বিলে মিঠা পানির মাছ কয়েক শ' গুণ বৃদ্ধি পেত। নির্বিকারে মা মাছ নিধনে দেশীয় প্রায় ৩৯ প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। আর এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এর সাথে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত। তাই তাদের প্রতিহত করা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিংড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মা বোয়াল নিধনের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। আর এই বিষয়ে আজ রাতেই অভিযানেরও প্রস্তুতি রয়েছে।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) বিপুল কুমার বলেন, এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন অভিযান চালাচ্ছি। আর বিষয়টি আমার ও মৎস্য অফিসারের নিয়মিত নজরদারিতে রয়েছে। এর পরও বিষয়টি আরো তদারকি করে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা