পরকীয়ার জেরে স্বামীর লিঙ্গ কর্তন
- বদলগাছী (নওগাঁ) সংবাদদাতা
- ২৩ জুন ২০১৮, ১৮:৪২, আপডেট: ২৩ জুন ২০১৮, ১৯:১৬
নওগাঁর বদলগাছীতে পরকীয়ার জের ধরে স্বামীর লিঙ্গ কর্তন করছেন স্ত্রী। জানা যায়, বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ি ইউনিয়নের চকনরসিং (কৃষ্টপুর) গ্রামের উপেন চন্দ্রের (৩২) বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী ও দুটি সন্তান থাকা সত্ত্বেও উপেন চন্দ্র নজিপুর সদরের বিধবা পূর্ণিমা রানী নামে এক মহিলার সাথে পরকীয়া প্রেম চালিয়ে আসছিলেন। অনেক নিষেধ করার পরও পরকীয়া প্রেম অব্যাহত রাখেন তিনি।
এ বিষয়ে রিতা রানী বলেন, গত কয়েক দিন আগে তার গ্রামে প্রতিবেশীর এক বিয়ের অনুষ্ঠানে ওই পূর্ণিমা রানীর সাথে উপেন চন্দ্র অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হলে স্ত্রী রিতা রানী (২৬) ঘটনাটি দেখে ফেলেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। এর একপর্যায়ে স্ত্রী রিতা রানী তার স্বামীর লিঙ্গ কর্তনের সিদ্ধান্ত নেন।
গত শুক্রবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ঘরের মধ্যে কৌশলে ধারালো ব্লেড দিয়ে স্বামী উপেন চন্দ্রের লিঙ্গ কর্তন করেন। উপেনের চিৎকারে বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পায়। সাথে সাথে উপেনকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাজশাহী মেডিকেলে নেয়া হয়। তিনি ১০ নং ওয়ার্ডের ০৫ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার এসআই শাহিন হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে স্ত্রী রিতা রানীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। বদলগাছী থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শাহিনুর ইসলাম বলেন, এবিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এখন পর্যন্ত রিতা রানী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আরো পড়ুন :
গণধর্ষণ মামলার দুই আসামি গ্রেফতার
ফরহাদ খান, নড়াইল
নড়াইল সদরের হবখালী ইউনিয়নের সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে প্রেমিককে গাছে বেঁধে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পলিশ। শনিবার ভোরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এরা হলো-সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামের হালিম মিনার ছেলে শাহজালাল মিনা (২৩) এবং একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে এনামুল (২৭)।
এনামুলকে সুবুদ্ধিডাঙ্গা থেকে এবং শাহজালালকে মাগুরার শালিখা উপজেলার খাটোরসুইতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সদর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, এ মামলার এজাহারভূক্ত আসামিদের পাশাপাশি এনামুলের সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া রফিকুল মিনা (৩০) ও মাসুম মিনাকে (২৫) গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জানাযায়, গত ১৯ জুন রাতে নড়াইলের সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে প্রেমিককে গাছে বেঁধে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরেরদিন তিনজনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করে ভূক্তভোগী মেয়েটি। নড়াইল সদরের ডাঙ্গাসিঙ্গীয়া গ্রামের ভূক্তভোগী মেয়েটিকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ঘটনার দিন স্কুল পড়ুয়া মেয়েটি প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে যশোর থেকে নড়াইলে আসছিল। নড়াইলের হবখালী আদর্শ কলেজ এলাকায় পৌঁছালে অটোবাইকটি রাত ৯টার দিকে তাদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই এলাকার মাসুমের দোকানের কাছে পৌঁছালে ৮-৯ জন লোক তাদের (প্রেমিক-প্রেমিকা) পথরোধ করে। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত রফিকুল মিনা, শাহজালাল মিনা ও মাসুম মিনা হবখালী কলেজ এলাকায় প্রেমিককে গাছে বেঁধে রেখে পাটক্ষেতে নিয়ে প্রেমিকা গণধর্ষণ করে এবং বুক, মুখ ও হাতের বিভিন্ন অংশে জখম করে।
প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণের পর মেয়েটি অসুস্থ হলে পড়লে অভিযুক্ত যুবকেরা তাকে (মেয়েটি) ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। রাত ১২টার দিকে প্রেমিকসহ স্থানীয় তিনজন ভূক্তভোগী মেয়েটিকে উদ্ধার করে সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে শাকিলের বাড়িতে নিয়ে কিছুটা সুস্থ করে তোলেন। পরে পুলিশ এসে প্রেমিক-প্রেমিকা উদ্ধার করে নড়াইল সদর থানায় নিয়ে আসে এবং হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা