২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের দায়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্র গ্রেফতার

৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের দায়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্র গ্রেফতার - নয়া দিগন্ত

বগুড়ার ধুনটে ৭ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জুবায়ের আহমেদ জুবাইল (১৫) নামের ৯ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার কান্তনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার হাঁসাপোটল গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে এবং ধুনট এন ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র।

মামলা ও স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, কালেরপাড়া ইউনিয়নের হাসাপোটল গ্রামের এক ব্যক্তির মেয়ে বিলচাপড়ী দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে গত ১৮ জুন রাত ১১টায় প্রতিবেশি জহুরুল ইসলামের ছেলে জুবায়ের আহমেদ জুবাইল বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে পাশ্ববর্তী স্থানে ধর্ষন করে। এসময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় বুধবার দুপুরে ওই স্কুল ছাত্রীর ফুপা রেজাউল করিম বাদী হয়ে ধর্ষক জুবায়ের আহমেদ জুবাইলের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন।

 

আরো পড়ুন : প্রেমিককে গাছে বেঁধে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ
ফরহাদ খান, নড়াইল
নড়াইল সদরের হবখালী ইউনিয়নের সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে প্রেমিককে গাছে বেঁধে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে তিনজনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে নড়াইল সদরের ডাঙ্গাসিঙ্গীয়া গ্রামের ভূক্তভোগী মেয়েটিকে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলার আসামিরা হলেন সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামের আজাদ মিনার ছেলে রফিকুল মিনা (৩০), হালিম মিনার ছেলে শাহজালাল মিনা (২৩) ও আজগর মিনার ছেলে মাসুম মিনা (২৫)।

এ দিকে বুধবার দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভুক্তভোগী মেয়েটি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ব্রাক্ষণীনগর গ্রামে নানাবাড়িতে থেকে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে।

মামলার বিবরণে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে তার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে যশোর থেকে নড়াইলে আসছিল অষ্টম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী। পথিমধ্যে নড়াইলের হবখালী আদর্শ কলেজ এলাকায় অটোবাইক থেকে নেমে যায় তারা। রাত ৯টার দিকে মাসুমের দোকানের কাছে পৌঁছালে ৮-৯ জন লোক তাদের (প্রেমিক-প্রেমিকা) পথরোধ করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নেয়ার কথা বলে তাদের হবখালী বাজারের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এলাকার কয়েকজন যুবক। একপর্যায়ে অভিযুক্ত রফিকুল মিনা, শাহজালাল মিনা ও মাসুম মিনা হবখালী কলেজ এলাকায় প্রেমিককে গাছে বেঁধে রেখে পাটক্ষেতে নিয়ে প্রেমিকা গণধর্ষণ করে এবং বুক, মুখ ও হাতের বিভিন্ন অংশে জখম করে।

গণধর্ষণের পর আসামিরা হুমকি দেয়, বিষয়টি কাউকে জানালে তারা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণের পর মেয়েটি অসুস্থ হলে পড়লে অভিযুক্ত যুবকেরা তাকে (মেয়েটি) ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। রাত ১২টার দিকে প্রেমিকসহ স্থানীয় তিনজন ভুক্তভোগী মেয়েটিকে উদ্ধার করে সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে শাকিলের বাড়িতে নিয়ে কিছুটা সুস্থ করে তোলেন।

ওই রাতেই শাকিলের বাড়িতে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হয়ে ভূক্তভোগী মেয়েটির পাশে দাঁড়ান। পরে পুলিশ এসে প্রেমিক-প্রেমিকা উদ্ধার করে নড়াইল সদর থানায় নিয়ে আসে। গণধর্ষণের ঘটনায় সচেতনমহলসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারসহ যথাযথ বিচার দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ধুনট থানার ওসি খান মোহাম্মদ এরফান জানান, স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের পর একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement