১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আত্রাইয়ের দর্শনীয় স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়

-

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। প্রাত্যহিক জীবনের একগুঁয়েমি কাটিয়ে একটু আলাদা আমেজে সময় কাটাতে উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলাগুলো থেকেও ছুটে আসছে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পারিবার-পরিজন নিয়ে অতীত সমৃদ্ধ স্মৃতির সান্নিধ্যে ছুটি কাটাতে পেরে আনন্দিত তারা।

শনিবার সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে আত্রাই উপজেলা অবস্থিত চারটি দর্শনীয় স্থান বিশ্ব কবি রবিন্দ্রাথ ঠাকুরের কাছাড়ী বাড়ি, প্রকৃতির অনিন্দ্য নিকেতন ভবানীপুর জমিদার বাড়ি, সুটিকিগাঁছা রাবার ড্রাম ও মহাত্মাগান্ধির স্মৃতিবিজড়িত গান্ধি আশ্রম। এ ছাড়া রয়েছে শাহাগোলা ইউনিয়নের কদমতলা। যা বিকাল শেষে সূর্য্য অস্ত যাওয়ায় এক অপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা করে। প্রতি বছর ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে আত্রাই উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলা থেকে ছুটে আসে হাজার হাজার নারী-পরুষ, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ।

আত্রাই উপজেলায় বিশেষ কোন দর্শনীয় স্থান না থাকায় বিনোদনের স্থান হিসাবে এ স্থানগুলোতে স্ব-পরিবারে ভ্রমণ করার স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে আত্রাই উপজেলার লোকজনসহ আশপাশের এলাকার মানুষেরা। যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু বিনোদন পাওয়ার জন্য সবাই এই লোকেশনগুলোকে পছন্দ করে নিয়েছেন। উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে এই স্থানগুলোই অন্যতম।

এই স্থানগুলোতে ঘুরতে এলে বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসা পরিচিত মুখগুলোর সাথে দীর্ঘদিন পরে দেখা হয়ে যায় অনেকেরই। ফলে ঈদের দিনের ভিড় এক ধরণের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

নাটোর থেকে আসা দর্শক হৃদয় হাসান জানান, আমি চাকরি করি। পরিবারকে তেমন একটা সময় দিতে পারি না। তাই ঈদে প্রকৃতির অনিন্দ্য নিকেতন ভবানীপুর জমিদার বাড়িতে স্ব-পরিবারে এসেছি বেড়ানোর জন্য। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো বলে শত শত দর্শনার্থী এখানে একটু বিনোদনের জন্য এসেছে স্ব-পরিবারে। তবে ভবিষ্যতে এখানে শিশুদের জন্য পার্কের ব্যবস্থা করলে অনেক ভালো হবে।

পার্শ্ববর্তী বাগমারা উপজেলা থেকে আসা নিশত আনজুমান বলেন, ব্যস্ততার কারণে স্ব-পরিবারে কোথাও বেড়ানোর সময় হয় না। তাই এবার ঈদে স্ব-পরিবারে দিনব্যাপী ভ্রমণের জন্য কবিগুরুর কাছারী বাড়িতে এসেছি। আমার সন্তানদের শিক্ষণীয় অনেক বিষয় এখানে আছে যা থেকে তারা বিশ্বকবির অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারবে।

এবারের এই ঈদে দর্শনীয় স্থানগুলোতে তুলনামূলকভাবে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিলো অনেক বেশি। বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারী বাড়ি থেকে সরকার অনেক টাকা রাজস্ব আয়ও করেছেন। এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন প্রাত্যহিক জীবনের একগুঁয়েমি কাটিয়ে একটু আনন্দ উপভোগ করে সবাই অনেক খুশি। তারা আরো মনে করেন কবিগুরুর কাছারী বাড়ির মতো প্রকৃতির অনিন্দ্য নিকেতন ভবানীপুর জমিদার বাড়ি, সুটিকিগাঁছা রাবার ড্রাম ও মহাত্মাগান্ধির স্মৃতিবিজড়িত গান্ধি আশ্রম, শাহাগোলা ইউনিয়নের কদমতলা- এই স্থানগুলো জাতীয় পর্যায়ে যদি আরো আধুনিকতার ছোঁয়ায় গড়ে তোলা যায় তাহলে এই স্থানগুলো আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং সরকারের রাজস্ব আয়ও হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল