২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নতুন বছরে টেলিকম খাতের বিতর্কের অবসান হবে কি?

-

দেশের বর্তমান মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটিতে। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। এই পরিস্থিতির মধ্যেই নিরীক্ষা আপত্তির প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার বিরোধে দেশের দুই বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির টানাপড়েনে পার হলো ২০১৯। বিষয়টি এখন গড়িয়েছে আদালতে, গ্রামীণফোনের মালিক কোম্পানি টেলিনর সালিসের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার জন্য রাষ্ট্রপতিকেও উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। নতুন বছর এই বিরোধের সমাধান নিয়ে আসবে বলেই আশা প্রকাশ করেছে অপর অপারেটর রবি।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা চেয়ে গত এপ্রিল মাসে চিঠি দিয়ে টেলিযোগাযাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। পাশাপাশি রবির কাছে চাওয়া হয় ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কয়েক দফা চেষ্টায় সেই টাকা আদায় করতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে নোটিশ পাঠানো হয় দুই অপারেটরকে। বিটিআরসির দাবি করা টাকার ওই অঙ্ক নিয়ে আপত্তি তুলে নিরীক্ষাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে গ্রামীণফোন ও রবি।
টাকা পরিশোধ না করার যুক্তি দেখিয়ে গত ৪ জুলাই গ্রামীণফোনের ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি ৩০ শতাংশ এবং রবির ১৫ শতাংশ সীমিত করতে আইআইজিগুলোকে নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। এতে গ্রাহকের সমস্যা হওয়ায় ১৩ দিনের মাথায় গত ১৬ জুলাই ওই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় বিটিআরসি। যদিও কমিশনের চেয়ারম্যান জহুরুল হক সে দিনই জানিয়ে দেন, টাকা না দিলে ‘এনওসি’ বন্ধের মতো কঠোর পদক্ষেপে যাবেন তারা। এর ধারাবাহিকতায় কয়েক দিন পর গ্রামীণফোন ও রবিকে বিভিন্ন ধরনের সেবার অনুমোদন ও অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেয়া স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় বিটিআরসি। ফলে আটকে যায় দুই অপারেটরের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের কাজ।
অপারেটর দুটি বলেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওই পদক্ষেপের ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি এ খাতের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাব্যবস্থা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়ছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসির সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার নিরীক্ষা দাবির নোটিশের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে গত বছরের ২৪ নভেম্বর গ্রামীণফোনকে অবিলম্বে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। কিন্তু সালিসের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য এরপর রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিশ পাঠায় গ্রামীণফোনের মালিক কোম্পানি টেলিনর।
বিষয়টিকে দুঃখজনক হিসেবে বর্ণনা করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসা করবে একটি প্রতিষ্ঠান, সেই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের রাষ্ট্রপতিকে উকিল নোটিশ দিয়ে আর্বিট্রেশনের জন্য চাপ দেবে, এটা বোধ হয় খুব সহজে গ্রহণ করার মতো অবস্থা নয়।
নিরীক্ষা আপত্তির ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার বিরোধ নিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অপারেটর রবিও উচ্চ আদালতে গেছে। বিষয়টি এখনো বিচারধীন। নতুন বছরে সব বিতর্কের অবসান হবে আশা প্রকাশ করেছেন রবির চিফ কর্পোরেটর অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম। স সুমনা শারমিন


আরো সংবাদ



premium cement
কুলাউড়ায় জঙ্গল থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার ঈদগাঁওতে মাদক সম্রাট রেজাউল গ্রেফতার শিক্ষায় ব্যাঘাত : ফেসবুক-টিকটক-ইনস্টাগ্রাম-স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে ২৯০ কোটি ডলারের মামলা আমতলীতে কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে লালমোহনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ক্রিমিয়া সাগরে বিধ্বস্ত হলো রুশ সামরিক বিমান জর্ডান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী বিচারক এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর

সকল