২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চালু হলো জাতীয় ফোর টায়ার ডেটা সেন্টার

-

ডেটা সংরক্ষণের জন্য বিদেশী কারো কাছে এখন আর নির্ভরশীল হতে হবে না বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম জাতীয় ফোর টায়ার ডেটা সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন। গত বৃহস্পতিবার এক ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে জাতীয় ফোর টায়ার ডেটা সেন্টারটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই জাতীয় ডেটা সেন্টার থেকে শুধু দেশের অর্থের সাশ্রয়ই হবে না, বরং এর থেকে আরো অর্থ আয় করা সম্ভব হবে। এই ডেটা সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের আরো একটি ধাপে উন্নীত হলাম। ইতোমধ্যে আমরা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা করেছিলাম ২০০৯ সালে তা এখন বাস্তব। এক সময় আমি বলেছিলাম কম্পিউটারে টাইপ করা লেখা ছাড়া আমি সই করব না। প্রত্যেক অফিসে কম্পিউটার ব্যবহারের কথা বলে দিয়েছিলাম। এখন হাতে হাতে বলতে গেলে কম্পিউটার। কম্পিউটার ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এখন দেখা দিয়েছে ডেটা সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা। ডেটা সংরক্ষণ একান্তভাবে প্রয়োজন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সেটা দরকার হয়। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এনএম জিয়াউল আলম এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিসাপেক্ষে ডেটা সেন্টারটির উদ্বোধন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন। ২০১৫ সালের ৬ অক্টোবর ডেটা সেন্টারটির নির্মাণে একনেকে একটি প্রকল্প পাশ হয়। সরকারি অর্থে ও চীনের কারিগরি সহায়তায় নির্মিত ডেটা সেন্টারটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর। সে সময় প্রধানমন্ত্রী এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। দুই লাখ বর্গফুটের ভবনটি ভূমিকম্প সহনীয় ও এক্সপ্লোসিভ টলারেন্ট। ২০১৮ সালের জুন মাসে এর কাজ শেষ করার মেয়াদ ধরা হলেও তা কিছুটা সময় পিছিয়ে শেষ হয়। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার থেকে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
ডেটা সুরক্ষা ও নিরাপত্তার আইন
গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য কোম্পানিগুলো যাতে যথেচ্ছার ব্যবহার করতে না পারে তার জন্য ডেটা প্রটেকশান ও ডেটা সিকিউরিটি আইন করবে সরকার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রযুক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিজিটার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সে জন্য ডেটা নিরাপত্তা ও প্রাইভেসি অ্যাক্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফাইভজি প্রযুক্তি কেবল মোবাইলে কথা বলা কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজ করার প্রযুক্তি না। এই প্রযুক্তি অত্যাবশ্যক। ফাইভজি প্রযুক্তি হচ্ছে আইওটি, বিগডেটা, রোবটিক্স প্রযুক্তির মহাসড়ক। ২০২১ সালে বাংলাদেশ প্রযুক্তির এই মহাসড়ক উন্মুক্ত করবে জানিয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাৎপদতা কাটিয়ে প্রযুক্তি দুনিয়ার সাথে বাংলাদেশ সমান্তরালে চলার যোগ্যতায় উপনীত হবে। তিনি বলেন, তিনিটি শিল্পবিপ্লব আমরা মিস করেছি, এবার আমরা মিস করতে পারি না। প্রযুক্তিকে আমরা আমাদের প্রয়োজনে, আমাদের জন্য, আমাদের মতো করে ব্যবহার করবো। ফাইভজি হচ্ছে একটি শিল্পবিপ্লবের মহাসড়ক। যথাসময়ে আমরা এই মহাসড়ক নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।


আরো সংবাদ



premium cement