২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে গুগল

-

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারী প্রত্যেকের লোকেশন ডাটা বা অবস্থানগত তথ্য সংগ্রহ করে গুগল। প্লাটফর্মটির গ্রাহকরা গোপনীয়তা রায় ডিভাইসের লোকেশন ডাটা ফিচার বন্ধ রাখলেও কৌশলে তাদের অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গোপনে অবস্থানগত তথ্য সংগ্রহের এ কৌশলকে বলা হচ্ছে ‘ডার্ক প্যাটার্ন’। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের ভুল পথে চালিত করে তাদের তথ্যে নিয়ন্ত্রণ রাখছে গুগল। গুগলের প থেকে গ্রাহকদের অবস্থানগত তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এসব তথ্য বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার কিংবা স্থায়ীভাবে সংরণ করা হয় না। এর আগেও বিপুলসংখ্যক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারীর অবস্থানগত তথ্য সংগ্রহের চর্চা থেকে বেরিয়ে আসার পদপে নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, গুগলের এ ধরনের চর্চা বেশ ভয়ানক। কারণ ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রায় যে কোনো সতর্কতা অবলম্বন করলেও ডিভাইস ইন্টানেটে যুক্ত করলে অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার লোকেশন ডাটা নিরবচ্ছিন্নভাবে গুগলে পাঠাতে থাকে। এটি এমন এক ফিচার, যা গ্রাহককে না জানিয়ে অবস্থানগত তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারী চাইলেও এ কার্যক্রম থেকে রেহাই পাবেন না। কারণ লোকেশন ট্র্যাকিং ফিচার বন্ধ রাখলেও তাদের অবস্থানের তথ্য গুগলের কাছে চলে যাবে। অবস্থান ও পরিচয়সংক্রান্ত ডাটার ব্যবহার বা অপব্যবহার দুটোই হতে পারে বলে মত দিয়েছেন তারা।
বিবৃতিতে গুগলের প থেকে বলা হয়, লোকেশন হিস্ট্রি ফিচার একটি গুগল পণ্য, যা পুরোপুরি ব্যবহারকারীর পছন্দের ওপর নির্ভর করে। ব্যবহারকারীর হাতে ফিচারটির সেটিংস বদলানো, তথ্য মুছে ফেলা বা যেকোনো সময় বন্ধ রাখার সুযোগ রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রাহক তথ্য সংগ্রহের এ কার্যক্রম নতুন নয়। বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ ধরনের প্রবণতা দেখা যায়। ২০১৬ সালে অ্যাকুওয়েদার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সফটওয়্যারের মাধ্যমে গ্রাহক লোকেশন ডাটা সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। এ ছাড়া মার্কিন অ্যাপভিত্তিক ট্যাক্সি সেবাদাতা উবারের বিরুদ্ধে তাদের অ্যাপ বন্ধ থাকলেও গ্রাহকদের লোকেশন ডাটা সংগ্রহের অভিযোগ রয়েছে।
ডাটা গবেষকদের সতর্কতা সত্ত্বেও বিপুলসংখ্যক প্রযুক্তি কোম্পানি গ্রাহক তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে ফেসবুক বা গুগলের মতো কোনো প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের লোকেশন ডাটা সংগ্রহের বিষয়টি উদ্বেগজনক। এসব তথ্য দিয়ে কী করা হয়, তা এখনো অস্পষ্ট। বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য এসব ডাটার ব্যবহার ভিন্ন বিষয়। তবে হ্যাকারদের হাতে এসব তথ্য গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
জানা যায়, ম্যাপিং সেবা সরবরাহের পাশাপাশি আবহাওয়া, অঞ্চল অনুযায়ী বা বিভিন্ন দেশে স্থানীয় সংবাদ পরিবেশন, অনলাইন শপিং সেবা এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি ফিচার উন্নয়নে গ্রাহকদের লোকেশন ডাটা ব্যবহার করা হয়। ডাটা গবেষকদের দাবি, ব্যবহারকারীদের অবস্থানবিষয়ক তথ্যগুলো এনক্রিপ্ট করা হলেও স্পাইওয়্যার দ্বারা ডিভাইস আক্রান্ত হলে এসব তথ্য তৃতীয় পরে হাতে যেতে পারে। এতে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারেন। আপাতত এ সমস্যার কোনো সমাধান নেই অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপরে কাছে। তবে গুগল অ্যান্ড্রয়েড বিভাগকে এ ধরনের সমস্যা সমাধানে চাপ দিয়ে যাচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement