প্রযুক্তি খাতে সংকট ও সম্ভাবণা
- ২৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০
নতুন ই-কমার্স আইনে সংঙ্কটে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান
ভারত সরকার স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে সুবিধা দিতে নতুন ই-কমার্স আইনের খসড়া করেছে। এটি পাস হলে দেশটির বাজারে অনলাইনে পণ্য বিক্রিতে অ্যাপল,
অ্যামাজন, গুগল, ফেসবুকসহ অন্য মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে
বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে
নতুন ই-কমার্স বিলের বিভিন্ন দিক এরই মধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এতে দেখা গেছে, খসড়া বিলটি পাস হলে ভারতের বাজারে বিদেশী প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ব্যবসা পরিচালনা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়বে। তবে দেশটির স্থানীয় কোম্পানিগুলো এতে লাভবান হবে।
খসড়া বিলটিতে বলা হয়েছে, দেশের ই-কমার্স খাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হবে, যা ভারতের স্থানীয় স্টার্টআপগুলোর বিকাশে সহায়ক হবে। এ ছাড়া, বিলটিতে ভারতীয়দের তথ্য দেশের অভ্যন্তরে সংরণ এবং বিদেশী কোম্পানিগুলো কিভাবে দেশটির অনলাইনে পণ্য বিক্রি করবে, সে বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি কবে নাগাদ আইনে পরিণত হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ভারতের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, খসড়া নীতিমালা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এ কারণে সরকারি কর্মকর্তারা খসড়া নীতিমালাটির সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে দেখছেন। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইমার্কেটারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর ভারতের ই-কমার্সের বাজারমূল্য তিন হাজার ২০০ কোটি ডলারে পৌঁছবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কম। গত বছরের চেয়ে চলতি বছর ভারতের ই-কমার্স প্লাটফর্মে পণ্য বিক্রি ৩১ শতাংশ বাড়বে, যা শুধু চীন এবং ইন্দোনেশিয়ার বাজারের চেয়ে কম। অন্য দিকে গত বছরের চেয়ে চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের ই-কমার্স বাজারে প্রবৃদ্ধি ১৮ শতাংশে পৌঁছতে পারে। মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কাছে ভারত গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এ কারণে এসব কোম্পানি দেশটিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। ২০১৬ সালে অ্যামাজন ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোস ভারতের ই-কমার্স খাতে ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেন। অ্যামাজন সাধারণত তাদের আর্থিক খতিয়ানে ভারত থেকে রাজস্ব আয়ের তথ্য প্রকাশ করে না। তবে এর বৈশ্বিক পরিচালন লোকসান দেখে ধারণা করা হয়, স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেক্কা দিতে তারা লোকসান গুনতেও রাজি আছে। অ্যামাজনের এমন পরিকল্পনা নিয়ে ভারত সরকারের উদ্বেগ রয়েছে।
স্থানীয় কোম্পানিকে সুবিধা দিতে চীন সরকারকে পদপে নিচ্ছে। ফলে টেনসেন্ট ও আলিবাবার মতো কোম্পানিগুলোর বাজারমূল্য ও স্থানীয় বাজারে তাদের দখল বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিদেশী কোম্পানিগুলোকে দেশটির বাজারে দখল বাড়াতে লড়াই করতে হচ্ছে। সম্প্রতি ওয়ালমার্ট ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ফিপকার্টকে এক হাজার ৬০০ কোটি ডলারে অধিগ্রহণ করেছে। এ অধিগ্রহণ চুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বেশকিছু ব্যবসায়ী সংস্থা, কৃষক সংগঠন, অনলাইন বিক্রেতা ও রাজনৈতিক সংগঠন বিােভ কর্মসূচি পালন করেছে।
বন্ধ হলো ই-বে ইন্ডিয়া
বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-বে ভারতে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল ২০০৪ সালে। ব্যবসা শুরুর কয়েক বছর ভালো করলেও পরবর্তী সময়ে এই বাজারে ফিপকার্ট, অ্যামাজন, স্ন্যাপডিলের সঙ্গে কঠিন প্রতিযোগিতায় পড়ে ই-বে। অবশেষে অন্যান্য প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে তারা ভারত থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। ২০১৬ সালে তাদের লোকসান হয় ২৬২ কোটি রুপি। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সাইটটি।
চলতি বছরের গত ১৪ আগস্ট থেকে ভারতে সেবা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে ই-কমার্স সাইট ‘ই-বে’। সাইটটি থেকে গ্রাহকরা এখন আর কোনো পণ্য কিনতে পারছেন না। তবে আগে যারা অর্ডার করেছেন তারা যথাসময়ে পণ্য পাবেন বলে নিশ্চিত করেছে গত বছর ভারতের ই-বের ব্যবসা অধিগ্রহণ করা প্রতিষ্ঠান ফিপকার্ট। সাইটটি থেকে আগে কেনা পণ্যের ওয়ারেন্টিও ৩০ আগস্ট পর্যন্ত দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা