২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে কমছে তথ্যপ্রযুক্তিতে

-

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশে তৈরি সেলফোন হ্যান্ডসেটে মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতির পাশাপাশি হ্যান্ডসেট উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বরাদ্দ প্রায় ৯৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে একই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জন্য বরাদ্দ ২৩ শতাংশ কমছে। যদিও অন্যান্য মন্ত্রণালয় মিলিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সামগ্রিকভাবে বরাদ্দ বেড়েছে ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্র“তি পূরণের অংশ হিসেবেই এ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সরকারের অন্যতম উন্নয়ন কৌশল। ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আইসিটি খাতের পণ্যে বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। ১৯৯৬ সাল থেকে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বেশির ভাগ পণ্যের আমদানি শুল্ক ও কর রেয়াত সুবিধা দিয়ে আসছি। এর ফলে দেশের প্রযুক্তি খাত ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। এরই মধ্যে কিছু অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্প্রতি স্যাটেলাইট দুনিয়ায় প্রবেশ করেছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছর এ বিভাগের বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের তুলনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বরাদ্দ বাড়ছে ১ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা। বিভাগটির উন্নয়ন ব্যয় বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে দুই হাজার ৩৮১ কোটি টাকা। অন্য দিকে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বরাদ্দ কমছে ৭৯৮ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছর ছিল ৩ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মোট বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছর খাতটির জন্য ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটে দেশে তৈরি হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement