২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গণতন্ত্রের লড়াই থামবে কবে

দেখা অদেখা
-

বাংলাদেশে নির্বাচনব্যবস্থা, বহুদলীয় অবস্থান, নাগরিক অধিকার, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, সরকারের ভূমিকাÑ এসব কিছু মানদণ্ডে যদি এই জনপদের বিদ্যমান গণতান্ত্রিক অবস্থার নির্মোহ পর্যালোচনা করা হয় তবে কোনো মানদণ্ডেই সেটা উতরে যাওয়ার পর্যায়ে নেই। অথচ বাংলাদেশের এমন এক সংবিধান যেখানে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।’ এমন বিধানের পর এখানে নির্বাচন হয়, সরকার এবং বিরোধী দলও আছে, সর্বোপরি রয়েছে পার্লামেন্ট। কিন্তু দিকনির্দেশনা ও সব কাঠামো বহাল থাকলেও তার কোনোটাতেই নেই কোনো প্রাণের স্পন্দন, নেই শুদ্ধতার চিহ্ন। এসব নেতিবাচক অবস্থার পরও এই জনপদের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের পরম অভিব্যক্তি হচ্ছে গণতন্ত্র। এমন নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ চলছে দেশ। তবে এ চলা স্বাভাবিক নয়, খোঁড়া পায়ের শত যাতনা নিয়েই চলা। স্রোতহীন জলাশয় যেমন মজে যায়, তেমনি দেশ আজ হাজারো অনিয়ম-অব্যবস্থার কবলে পতিত যেন এক সমস্যার ভাগাড়। এ অবস্থা থেকে দেশ পরিত্রাণ পেতে পারে একমাত্র সত্যিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে; যার কোনো বিকল্প নেই। এই পথ অনুসৃত হলে সমাজ, রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়নীতির পরিচর্যা হবে। সেজন্য গণতান্ত্রিক বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি। এমন কথা শুনে অনেকেরই কষ্ট হতে পারে। কেননা, সেই পাকিস্তান আমলে এ অঞ্চলের মানুষ শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করেছে। এই লড়াইয়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয় বটে, কিন্তু এখনো সুশাসন প্রতিষ্ঠা পায়নি।
বহু ব্যত্যয় ঘটলেও এখানে সেই ১৯৭৩ সাল থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বটে, কিন্তু গণতান্ত্রিক চেতনায় পরিপুষ্ট সরকার হয়নি। ’৭৩ সালে নির্বাচিত সরকারের দ্বারাই একসময় গণতন্ত্রের কবর রচিত হয়েছিল। গণতন্ত্রের সেই যে বিপদ শুরু হয়, আজ অবধি সেই কালো মেঘ অপসারিত হয়নি। মাঝে মধ্যে কখনো কখনো আলোর ঝলকানি ছিল বটে, কিন্তু তা স্থায়ী হতে পারেনি। দেশে সর্বশেষ যে নির্বাচন হয়েছে, তা এতটাই অভিনব যে, সেখানে আর কোনো ভোটারকে যেতেই হয়নি। এমন ভোট মূলত গণতন্ত্রের সংজ্ঞাকেই পাল্টে দেয়ার মতো। এই নির্বাচনের পর দেখা গেছে, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নির্বাচনে জনগণ আর ভোটকেন্দ্রেই যেতে উৎসাহ বোধ করেনি। এতে সে নির্বাচনের প্রার্থীরা যে যত বেশি ক্ষমতা, প্রভাব ও কৌশল অবলম্বন করতে পেরেছে; সেই বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এখন এমন নির্বাচনব্যবস্থা কায়েম হওয়ায় গণতন্ত্র তথা জনমত ও মানুষের ভোটের অধিকার বিলুপ্ত হয়ে গেছে। জনমত অপসারিত হয়ে সেখানে যদি ক্ষমতা আর প্রভাব-প্রতিপত্তি স্থান করে নেয়, তবে অরাজকতা প্রতিষ্ঠা পাবে। বিজয়ী হওয়ার জন্য তথা প্রার্থীরা ক্ষমতা পাওয়ার জন্য পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হবে, এমন যুদ্ধে বিজয়ীরা নৈতিকভাবে পরাজিতই থাকবে। আর গণবিচ্ছিন্ন এসব ব্যক্তি নিজেদের তরক্কি অর্জন করতে সক্ষম হলেও গণমানুষের কোনো কল্যাণ তাতে আসবে না। এ ছাড়া আরো ভয় হচ্ছে, যুদ্ধ করে যারা বিজয়ী এবং বিজিত হয়, তাদের মধ্যে ভোটের পরই কিন্তু লড়াই থেমে যাওয়ার কথা নয়। এ লড়াই অঞ্চলে চলতেই থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে, তাতে ভোগান্তি হবে সাধারণ মানুষের।
গণতন্ত্র আর বহুদলীয় ব্যবস্থা পরস্পর পরিপূরক। বহুদলীয় ব্যবস্থায় বিভিন্ন মত ও পথের অবস্থান এই পদ্ধতির সৌন্দর্যের অংশ। বিধিবিধানের আলোকে এখন এই দেশ কার্যত বহুদলীয় ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত। বাস্তবে কিন্তু এখানে তা প্রতিভাত নয়। সাংবিধানিক বিরোধী দল বলতে বোঝায়, সংসদে যারা সরকারের প্রতিপক্ষ এবং ক্ষমতাসীনদের ভুলভ্রান্তি ও নীতি-পদ্ধতির সমালোচনা করবে; তাদের বিবেচনায় শুদ্ধতাকে তুলে ধরবে। কিন্তু বর্তমান একাদশ সংসদে যাদের বিরোধী দল হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে, তারা প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী জোটের শরিক হিসেবে সংসদে এসেছে। আর তা ছাড়া এই কথিত বিরোধী দলের সংসদে এখন যে ভূমিকা তাতে তাদের সরকারের প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরে নেয়ার কোনো যুক্তি বা সুযোগ নেই। কেননা বর্তমান সংসদ নি®প্র্রাণ-নির্জীব একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থবির হয়ে আছে। সাম্প্রতিককালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বহু বিষয়ে নাগরিক ভোগান্তি চরমে পৌঁছলেও সংসদের কথিত বিরোধী দল এ নিয়ে টুঁ-শব্দটি করেনি। এমন অনুভূতিহীন ব্যক্তিরা কোনোক্রমেই বিরোধীদলীয় সদস্যের চরিত্র-বৈশিষ্ট্যের ধারক হতে পারেন না। এমন সব ব্যক্তির উপস্থিতি সংসদের যে ভূমিকা হওয়া উচিত তাকেও ম্লান করেছে, তাই একাদশ সংসদ এখন এক স্থবির ও অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সংসদ তথা আইনসভা রাষ্ট্রের তিন অঙ্গের অন্যতম একটি। তার যদি এমন নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়, তবে তাতে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থা আঘাতপ্রাপ্ত হবে।
আজকে সমাজের যে নাজুক অবস্থা তাতে এটাই প্রতিপন্ন হচ্ছে, দেশ সচল নয় বরং স্থবির। রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতর এমন অচলাবস্থাকে ধরে নিতে হবে যন্ত্রের পেছনে যে মানুষ বা নির্বাহীরা রয়েছে, তারা প্রকৃতপক্ষে দক্ষ-যোগ্য নয়। এমন অযোগ্যতার কারণ হচ্ছে, তাদের বাছাইপ্রক্রিয়া যথার্থ ছিল না। আসলে যে প্রক্রিয়ায় তথা যে ধরনের নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছে। সে নির্বাচনে জনগণের প্রার্থী বাছাইয়ের তেমন কোনো সুযোগ ছিল না। তাই যোগ্য ও নীতিনিষ্ঠদের নির্বাচন করা যায়নি। তারই মাশুল এখন দেশের মানুষ অকারণে গুনছে। নির্বাহীরা তাদের এমন অযোগ্যতা ঢাকতেই সরকারের আনুকূল্য পাওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকে। আর সে কারণে রাজনৈতিক নির্বাহীদের নিজ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদিতে অনুমোদন দিতে সাধারণ নির্বাহীরা কোনো দ্বিধাবোধ করে না। এমন আচরণ করার কারণে নির্বাহীরা আর প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে নিজেদের দাবি করতে পারে না।
সংসদের বাইরে যে বিরোধী দল রয়েছে, সরকার তাদের গুরুত্ব না দিলেও এসব দলের কিন্তু সাংবিধানিক স্বীকৃতি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংবিধান বলেছে, বিভিন্ন মত ও পথের মানুষের নিজস্ব ধ্যানধারণা ও নীতি-দর্শনের আলোকে সংগঠন প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক তৎপরতা পরিচালনার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু সরকার সংসদের বাইরের যেসব বিরোধী দল রয়েছে, তাদের উল্লিখিত সেই সাংবিধানিক অধিকারের ব্যাপারে কিছুমাত্র শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে না। এসব দলকে রাজনৈতিক তৎপরতা প্রদর্শন অর্থাৎ সভা-সমাবেশ করার কোনো সুযোগ দেয়া হয় না। সরকারের এমন অসহনশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে সংসদের বাইরে সরকারের প্রতিপক্ষ বিভিন্ন সংগঠনকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করতে দেয়া হচ্ছে না।
গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী এমন আচরণ আসলে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলেই ধরে নিতে হয়। ক্ষমতাসীনদের এমন কার্যক্রম আরেকটি বিষয়কে তুলে ধরছে, সেটা হলোÑ অহমিকা। তারা নিজেদের সব সমালোচনার ঊর্র্ধ্বে বলে মনে করছেন। তাই বিরোধীদের কোনো তৎপরতা, মতামত, বিবৃতি-বক্তব্যের প্রয়োজন অনুভব করেন না। এমন বিবেচনার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন তো খুবই স্বাভাবিক, তবে আজ কেন দেশে এত অনিয়ম, অব্যবস্থা ও দুর্নীতি? আর এমন সব দুরাচারের ঘটনা তো সব ক্ষমতাসীনদের ঘরের ভেতর। নির্বিশেষে সবার প্রতি প্রীতি, ভালোবাসা ও সহানুভূতি প্রদর্শন অবশ্যই সৎগুণ। কিন্তু স্বজনপ্রীতি কোনোভাবে উত্তম আদর্শ হতে পারে না। সমাজে আজ সেটাই ঘটছে। এটাকে বলতে হবে একচোখা নীতি। অথচ কোনো প্রশাসনের নাগরিকদের নিয়ে এমন একচোখা নীতি গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয় নয়।
নির্বাচন নিয়ে যে অনিয়ম এবং নীতি ও আইনবহির্ভূত কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করা হলো, অবশ্যই এর দায়দায়িত্ব সরকার, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বোপরি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সদিচ্ছার অভাবেই গণতন্ত্রের প্রধান অনুশীলন নির্বাচন ভণ্ডুল হয়ে যাচ্ছে। অথচ জনগণের প্রকৃত ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে প্রশ্নহীন ভোটের ব্যবস্থা করার জন্য সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট ক্ষমতা-কর্তৃত্ব দিয়েছে। কমিশনকে ক্ষমতাধর করা এবং তাকে সর্বপ্রকার হস্তক্ষেপমুক্ত থাকার উপযোগী করে বিধান দিয়ে সহায়তা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমান কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, প্রতিষ্ঠানটি অনুরাগের বশবর্তী হয়ে সরকারি দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে দীর্ঘ আলোচনা-বিতর্ক হয়েছে। এমন সব আলোচনার পরও কমিশনের শীর্ষ ব্যক্তি ও তার সচিবালয় এতটুকু সংশোধিত হয়নি। সম্প্রতি আবার কমিশনের শীর্ষ ব্যক্তি ও সচিবালয় নিয়ে অপর কমিশনাররা এমন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনের সচিব অন্য কমিশনারদের মতামত না নিয়েই প্রায় সাড়ে তিন শ’ কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। আরো অভিযোগÑ ইসি গঠনের পরপরই প্রধান কমিশনার ও সচিবালয় অন্য কমিশনারদের অজ্ঞাতে সচিবালয়ে অনেক কর্মকর্তাকে বদলি করেছে। এসব নিয়ে কমিশনে বিবাদ-বিসম্বাদ দেখা দিয়েছে। তাদের এজাতীয় কার্যক্রম শুধু অনাকাক্সিক্ষতই নয়, বিদ্যমান আইন এমনকি প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের সাথেও অসামঞ্জস্যপূর্ণ। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এহেন পদক্ষেপ অবশ্যই গর্হিত। এমন নৈতিক মান নিয়ে কিভাবে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান তার দায়িত্ব পালন করতে পারে। এটা কোনো সাধারণ প্রশ্ন তো নয়। যদিও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করার কারো অধিকার নেই বটে; কিন্তু তদুপরি এমন কুদৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য তাদের অধঃপতিত হতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতায় জনগণের ভোটদানের গণতান্ত্রিক অধিকার শুধু হরণ হয়েছে তাই নয়, বাংলাদেশে এখন যে সংসদীয় শাসন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত রয়েছে, তার যে চেতনা যথাÑ সংসদের রাজনীতির মূল কেন্দ্রে পরিণত হওয়া এবং সরকারের জবাবদিহি করা, সেই ভূমিকা এখন আর বর্তমান নেই। কারণ নির্বাচনে ত্রুটি থাকার কারণে বিরোধী দলহীন এমন এক সংসদ গঠিত হয়েছে, যেখানে একঘেয়ে সরকারের প্রশস্তি ছাড়া আর কোনো অর্থপূর্ণ আলোচনা হয় না। সংসদের অধিবেশন যথারীতি শুরু ও সমাপ্তি ঘটে বটে, কিন্তু তা কোনো গণমাধ্যমে গুরুত্ব পায় না, জনগণের কোনো আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটে না। অথচ এই সংসদ গঠিত হওয়ার জন্য এবং সচল থাকার জন্য জাতীয় রাজস্বের শত শত কোটি টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। আর এ টাকা আসে এ দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের করের পয়সায়। তাই এমন অর্থ ব্যয় করার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের শতবার ভাবা উচিত।
যত সব ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা ওপরে বর্ণনা করা হয়েছে, সেগুলো প্রকৃতপক্ষে নাগরিক অধিকারের সরাসরি বরখেলাপ। দেশের মানুষের যেসব বিধিবদ্ধ অধিকার রয়েছে। সংবিধানের আলোকে তাকে রক্ষা করার সব দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু আজকের বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, ক্ষমতাসীনরা নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণ করবে তো দূরের কথা, খোদ তাদের দ্বারাই অধিকার ভঙ্গ হচ্ছে। প্রশাসনের এমন ভূমিকার কারণে জনগণ তাদের জানমাল নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। প্রশাসনের মদদেই দুরাচারী দুর্বৃত্তরা সমাজের সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে তাদের যত অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতার সাথে যোগসাজশ রয়েছে, এমন সব অপরাধী সব আইনকানুনের ঊর্র্ধ্বে থেকে যায়। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়Ñ এসবের সাথে সংশ্লিষ্ট এক শ্রেণীর তরুণরাই। তরুণসমাজ যদি পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে, তবে জাতির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দেবে কারা?হ
ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement