১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দৃষ্টিপাত : গ্যাস সিলিন্ডারের দুর্ঘটনা

-

বাংলাদেশের লাখ লাখ পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার বা এক ধরনের টাইম বোমার মধ্যে বসবাস করছে। খাবারের দোকানগুলোও এ থেকে নিরাপদ নয়। দোকানের মালিক ও খরিদ্দারদের জন্য এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আপনি হয়তো রাস্তা দিয়ে চলছেন। তখন হঠাৎ বিকট শব্দ শুনলেন। পরক্ষণেই দেখলেন, আপনার হাত কিংবা পা উড়ে গেছে। নাপাম বোমার মতো আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আপনি হয়তো গাড়ি দিয়ে যাচ্ছেন, পরক্ষণেই দেখলেন মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে; অর্থাৎ মাথায় লোহার টুকরো ঢুকে গেছে। বুঝতে পারলেন, আর কতক্ষণ বাঁচবেন। অবিলম্বে এই মরণ রান্না থেকে সবাইকে বাঁচাতে হবে।
এ জন্য কয়েকটি প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তোলা যেতে পারে। (ক) গ্যাস সিলিন্ডারের চতুর্দিকে ইটের দেয়াল বা কংক্রিটের আবরণ দিয়ে বালতির মতো তৈরি করা যেতে পারে। গ্যাসের পাইপ বের করার জন্য উপর দিকে একটি ছিদ্র রাখতে হবে। কংক্রিটের একটি আলাদা টুকরো দিয়ে উপর দিকে বালতিটি ঢেকে দিতে হবে যাতে দুর্ঘটনার পর আগুন ছড়িয়ে পড়তে না পারে। বালতিটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন সিলিন্ডারের চতুর্দিকে যথেষ্ট খালি জায়গা থাকে। ফলে দুর্ঘটনার পর সিলিন্ডারের গ্যাস বালতিটির মধ্যে জমা হবে এবং গ্যাস বের হওয়ার জন্য চাপ দেবে কম। তখন আগুন দ্রুত নয়, আস্তে আস্তে ছড়াবে। (খ) কাঠ বা লোহার পাতকে চার-পাঁচ টুকরো করে দু’টি বাক্স তৈরি করতে হবে যাতে সিলিন্ডার রাখা যায়; একটি বড়, আরেকটি ছোট। বড় বাক্সটির মধ্যে ছোট বাক্সটি স্থাপন করতে বা বসিয়ে দিতে হবে। ফলে দুই বাক্সের মধ্যে চতুর্দিকে ও নিচে খালি জায়গা থাকবে। এই খালি জায়গাগুলো বালু দিয়ে পূর্ণ করতে হবে। উপরের ঢাকনাটি দু’টি কাঠ বা লোহার টুকরো দিয়ে চিকন বাক্স তৈরি করে বালিভর্তি করে দিতে হবে। (গ) স্পঞ্জের টুকরোর দুই দিকে রাবার বা কাঠের টুকরো দিয়ে বাক্স তৈরি করা যেতে পারে। (ঙ) মোটা বেত বা কাঠ দিয়ে বাক্স তৈরি করা যায়। (চ) জিও টেক্সটাইল দিয়ে বস্তা তৈরি করে বালু ভর্তি করে বালতির মতো আবরণের মধ্যে সিলিন্ডার রাখা যেতে পারে। (ছ) রান্নাঘরে অগ্নিনির্বাপণ গ্যাস সিলিন্ডার রাখতে হবে। বর্ণিত এসব ধারণা বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করে জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করতে হবে। হ
মোহাম্মদ আবু ইউসুফ


আরো সংবাদ



premium cement