স্ম র ণ : এস এম আলী : প্রখ্যাত সাংবাদিক
- ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
এস এম আলী [সৈয়দ মোহাম্মদ আলী] ১৯২৮ সালে ৫ ডিসেম্বর সে সময়কার সিলেট জেলার মৌলভীবাজার মহকুমার বিখ্যাত আলী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সৈয়দ মোস্তফা আলীর বড় ছেলে। মোস্তফা আলীর বাবা সৈয়দ সিকান্দার আলী ডিস্ট্রিক্ট স্পেশাল রেজিস্ট্রার ছিলেন, যার দ্বিতীয় ছেলেও সুলেখক সৈয়দ মুর্তজা আলী ছিলেন রাজশাহী বিভাগের কমিশনার। তিনি বাংলা একাডেমির পরিচালনা বোর্ডের সভাপতিও ছিলেন। তৃতীয় ছেলে সৈয়দ মুজতবা আলী ছিলেন খ্যাতনামা সাহিত্যিক। সৈয়দ মোস্তফা আলী অবিভক্ত ভারতের সিলেট জেলার মহকুমা করিমগঞ্জে এসডিসি (সাব ডেপুটি কমিশনার) ছিলেন। ১৯৫০-৫১ সালে ছাত্রাবস্থায় ঢাকার ওয়ারী থেকে DACCA News নামে একটি ইংরেজি পত্রিকা বের করেন। সম্ভবত এটা ছিল এ দেশে ভারত বিভাগোত্তর প্রথম ইংরেজি পত্রিকা। জীবনের লক্ষ্য একটিই ছিল, সাংবাদিক হওয়া। লাহোরে দ্য ডেইলি পাকিস্তান টাইমস ও করাচির দ্য ডেইলি ডন পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ পেয়ে যান।
এস এম আলী পরে ১৯৬২ সালে হংকংয়ে এশিয়া ম্যাগাজিনে আসেন। তারপর দ্য ব্যাংকক পোস্টে সিনিয়র এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া দ্য নিউ নেশন, সিঙ্গাপুর (১৯৭১-৭২), দ্য হংকং স্ট্যান্ডার্ড (১৯৭৩-৭৫) ছিল তার কর্মক্ষেত্র।
পত্রিকার এডিটোরিয়াল কলামের ওপরে ছাপা হতো Founder Editor SM Ali: ওই পত্রিকার সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন পাতায় বের হতো তার আত্মজীবনী MY WORLD. পঞ্চাশের দশকে এ দেশে সেই সময়ের একমাত্র ভাস্কর শিল্পী নভেরা আহমদের প্রতিভা ও কর্মের ওপর এস এম আলী অবজারভারে বিস্তৃত কভারেজ দিতেন। এই ছেলে যখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাংবাদিক জগতে ভাস্করসম অবস্থান করছেন, তার প্রবীণ বাবা তখন রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা নগরীতে সাংস্কৃতিক, সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতেন বার্ধক্য সত্ত্বেও। লেখা ও অধ্যয়নের প্রতি মোস্তফা আলীর তীব্র আকুলতা ছিল, লিখতেন সিলেটের প্রাচীনতম সাপ্তাহিক (এখন দৈনিক) পত্রিকায় রাজধানীর চিঠি নামে নিয়মিত কলাম। সাংবাদিকতার প্রতি তারও ছিল নেশা। সৈয়দ মোহাম্মদ আলী ব্যাংককের এক হাসপাতালে মেডিক্যাল চেকআপ করাতে গেলে সেখানে ১৯৯৩ সালের ১৭ অক্টোবর ইন্তেকাল করেন।
বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়, শ্রদ্ধেয় পিতৃসুলভ সৈয়দ মোস্তফা আলীর সাথে এই নিবন্ধকারের পত্র যোগাযোগ ছিল। শ্রদ্ধেয় এস এম আলীকে কাছ থেকে দেখারও সুযোগ হয়েছিল আমার। হ
আহমদ-উজ-জামান
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা