১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ম র ণ : খালেক দাদ চৌধুরী

-

আজ সাহিত্যিক-সাংবাদিক মরহুম খালেক দাদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী। বহুমুখী প্রতিভাধর এই সাহিত্যিকের লেখা প্রথম কবিতা ১৯২২ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশ হয়েছিল কবি বন্দে আলী মিয়ার ‘বিকাশ’ পত্রিকায়। ১৯২৪ সালে তিনি ম্যাট্রিক ও ১৯২৬ সালে কলকাতা থেকে আইএ পাস করেন। সেখানে ইসলামিয়া কলেজে ইংরেজিতে অনার্সে ভর্তি হন। তিনি কলকাতা করপোরেশনের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করার পর ১৯৪১ সালে তথ্য অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৬১ সালে ইস্তফা দিয়ে তিনি সাহিত্যকর্মে মনোনিবেশ করেন। তিনি ১৯০৭ সালে নেত্রকোনার চানগাঁও গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। মাতুলালয় ও নিজ বাড়ি আটপাড়ায় তার শৈশবকাল কাটলেও পড়াশোনা ও সাহিত্য চর্চার প্রয়োজনে কলকাতায় পাড়ি জমান। ১৯৪১ সালে কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনুপ্রেরণায় এবং তার সম্পাদনায় প্রকাশিত, দৈনিক নবযুগ পত্রিকায় শিশু বিভাগ পরিচালনার সুযোগ লাভ করেন খালেক দাদ। নজরুলের সাথে তার সখ্য গড়ে ওঠে। ষাট দশকের শুরুতে তার সম্পাদনায় নেত্রকোনা থেকে ‘উত্তর আকাশ’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা বের হতে থাকে। তার অনুপ্রেরণায় নেত্রকোনার সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশ ঘটতে শুরু করে। সংশ্লিষ্ট প্রথিতযশা ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি রফিক আজাদ, কবি হেলাল হাফিজ, কবি রওশন ইজদানী, সিরাজ উদ্দীন কাসিমপুরী, মরমি কবি জালাল উদ্দিন ও তার ছেলে আবদুল হেকিম খান, গীতিকার জীবন চৌধুরী, আবু জোহা নূর মোহাম্মদসহ অনেকে। খালেক দাদ চৌধুরীর অক্লান্ত পরিশ্রমে নেত্রকোনা সাহিত্যক্ষেত্রে উচ্চপর্যায়ে পৌঁছা সম্ভব হয়ে উঠেছিল। ১৯৬৯ সালে ‘উত্তর আকাশ’ বন্ধ হয়ে যায়।
তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নেত্রকোনা সাধারণ গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা লাভের পর তার সম্পাদনায় ‘সৃজনী’ সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ হয়। খ্যাতিমান লেখকদের লেখায় সমৃদ্ধ পত্রিকাটি পশ্চিম বাংলার কবি-সাহিত্যিকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ ও প্রশংসা অর্জনে সক্ষম হয়। তার লেখা ও প্রকাশিত ডজনখানেক বইয়ের মধ্যে রক্তাক্ত অধ্যায়, শতাব্দীর দুই দিগন্ত, একটি আত্মার অপমৃত্যু, এ মাটি রক্তে রাঙ্গা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিখ্যাত গ্রন্থ মরু সাহারা, ওরসে কারবালা, বেদুইনের মেয়ে, বাহার-ই-স্থান-ই গায়েবী’র অনুবাদক ছিলেন তিনি।
মরহুম চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক হিসেবে মেঘালয় রাজ্যের মহেষখলা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত নেত্রকোনা রেড ক্রসের সভাপতি ও নেত্রকোনা জেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮৩ সালে তাকে বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। নিরহঙ্কার মানুষটি ১৯৮৫ সালের ১৬ অক্টোবর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। বাংলা ১৯০৩ সাল থেকে নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজ পয়েলা ফাল্গুন বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব ও ‘খালেক দাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করে আসছে। ‘খালেক দাদ স্মৃতি পরিষদ’ মৃত্যু দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
ফজলুল হক রোমান


আরো সংবাদ



premium cement
মোরেলগঞ্জে সৎভাইকে কুপিয়ে হত্যা দুবাই পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণ কি কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো? এ দেশের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে : ডাঃ শফিকুর রহমান পিছিয়েছে ডি মারিয়ার বাংলাদেশে আসার সময় ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান

সকল