দৃষ্টিপাত : মুক্তচিন্তায় বাধা : এক অশনিসঙ্কেত
- ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
জাতি উন্নতি করতে পারে তখনই যখন সে জাতি নিজেদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে পারে বাধাহীন। যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই; সেখানে স্বাধীনতা শব্দটি বেমানান। তাই মুক্তচিন্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়Ñ তার ফেসবুক ওয়ালে তার মতামত দেয়ার প্রেক্ষাপটে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া আমরা আগেও দেখেছি ফেসবুকে, টকশোতে, ব্লগে তাদের মত প্রকাশ করার ফলে তাদের হত্যা করা হয়েছে। কেননা তাদের মত একটি গোষ্ঠীর বিপক্ষে গেছে। তাহলে আমরা কিভাবে মত প্রকাশ করব? মত প্রকাশের স্বাধীনতা কে দেবে? আমরা জাতির উন্নয়নে, একটি দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে সমালোচনা করতে পারব না! সাংবাদিক ও ব্লগাররা সত্য হলেও তা বলতে পারবে না। তাহলে কি বলা যায় না, আমরা বন্দী জাতি?
প্রত্যেক দেশেই মুক্তমত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন হচ্ছে। ইংরেজ কবি মিল্টন সপ্তদশ শতকে ব্রিটিশ রাজার সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত হন বিবেকের স্বাধীনতা ও চিন্তার স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠায়। তার উচ্চারণ ছিল এ রকমÑ ‘দাও আমায়, জ্ঞানের স্বাধীনতা দাও, কথা কইবার স্বাধীনতা দাও, মুক্তভাবে বিতর্ক করার স্বাধীনতা দাও। সবার ওপরে আমাকে দাও মুক্তি। বাকস্বাধীনতার অধিকার আজো আমরা অর্জন করতে পারিনি। আমি কী করব না করব, সেটি যদি অন্যজন ঠিক করে দেয় তাহলে আমার কাজ কী! আমার নিজস্ব চিন্তার জগৎ আছে বৈকি! ’
এই অধিকারের সুরক্ষা দেয়া, সংরক্ষণ করা ও তাকে বিকশিত করা রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, যেটা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সবাই নির্বিঘেœ মত প্রকাশ করতে পারবে, কথা বলতে পারবে, লিখতে পারবে, সমালোচনা করতে পারবে এবং নিরাপদে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা পাবেÑ এমন বাংলাদেশই আমাদের কামনা।
আমজাদ হোসেন হৃদয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা