দৃষ্টিপাত : কক্সবাজার জেলা ঝুঁকিপূর্ণ
- ১১ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
পর্যটনের জন্য খ্যাত কক্সবাজার জেলা এখন বিরাট ঝুঁকির মধ্যে। প্রাকৃতিক সম্পদের লীলাভূমি কক্সবাজার বাংলাদেশের গর্ব। দুই বছর আগে মিয়ানমার কর্তৃক নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জনস্রোতে দৃশ্যপট অনেকটা পাল্টে গেছে। ওদের কারো কারো সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছে। অনেক এনজিও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাদের সন্ত্রাসী-ডাকাত বানাতে শুরু করার অভিযোগ উঠেছে। এ দিকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়ে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে সম্ভাবনাময় জেলাটি। উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর তুলনায় রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় লোকজনেরা উদ্বিগ্ন। তাদের জায়গা-জমি ও গাছপালা, আয়-রোজগারের সম্পদের অনেকটাই নাকি রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, কমেছে শিক্ষার সুযোগ। মানুষের চাপে বিশুদ্ধ পানির অভাব। রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত। বেড়েছে অপরাধপ্রবণতা। অভিযোগ, শরণার্থীরা নানাভাবে নানা দিক থেকে সাহায্য পেলেও বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশকে এখন আরো আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে চেষ্টা চালানোর অনুরোধ জানাই। উখিয়া-টেকনাফে ছয় হাজার ১৬৫ একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। এর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার মতো। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যগত ক্ষতি অপূরণীয়। রোহিঙ্গাদের অনেকে অপরাধকর্মে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় কক্সবাজারের বাসিন্দারা আতঙ্কিত।
পাসপোর্ট, মোবাইলের সিম ও জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনেকে পেয়ে যাচ্ছে একশ্রেণীর দালাল ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের যোগসাজশে। এগুলো প্রতিরোধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে পদক্ষেপ নিতে হবে। আসুন, আমরা সবাই মিলে কক্সবাজর জেলার ঐতিহ্য এবং পর্যটন শিল্প রক্ষায় এগিয়ে আসি।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
১৭, ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা