২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্মরণ : অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন

-

অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীনের জন্ম পাবনা জেলার সুজানগর থানার মুরারীপুরে ৩১ জানুয়ারি, ১৯০৪ সালে। তিনি প্রখ্যাত ফোকলোর বিশেষজ্ঞ, লেখক ও শিক্ষাবিদ। পিতা জয়ধর আলি মণ্ডল ছিলেন নিম্ন-মধ্যবিত্ত কৃষক। খলিলপুর উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স (প্রথম বিভাগ, ১৯২১), পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে আইএসসি (তৃতীয় বিভাগ, ১৯২৩), রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে বিএ (তৃতীয় বিভাগ, ১৯২৬) ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডিয়ান ভার্নাকুলার বিভাগ থেকে বাংলায় এমএ (প্রথম শ্রেণীতে তৃতীয় স্থান, ১৯২৮) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ছাত্রজীবনেই রাজবাড়ী জেলার মৌকুড়ির সাব-পোস্ট মাস্টার শফিউল্লাহর কন্যা শারিফুন্নেসার সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।
১৯২৯ সালে সরকারি স্কুল পরিদর্শক নিযুক্ত হয়ে প্রায় চার বছর এ পদে উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ), বদরগঞ্জ (রংপুর), রাজশাহী ও নওগাঁয় দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩২ সালে ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট (বর্তমানে কবি নজরুল সরকারি কলেজ) কলেজের স্কুল শাখায় ইংরেজি শিক্ষক নিযুক্ত হন। ১৯৩৫ সালে হাওড়া জেলা ¯ু‹লে বদলি হন। ১৯৩৮ সালে চট্টগ্রাম সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজে বাংলার প্রভাষক নিযুক্ত হন। রাজশাহী কলেজ, হুগলি মুহসীন কলেজ ও ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজে শিক্ষকতা (১৯৪১-১৯৪৮) করেছেন। ১৯৪৮ সালে নবগঠিত পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা সার্ভিসে যোগ দিয়ে সিলেটে এমসি কলেজে বাংলার শিক্ষক (১৯৪৮-১৯৫২) ছিলেন। ১৯৫২ সালে সরকার পরিচালিত বিখ্যাত সাহিত্য মাসিক মাহে-নও (প্রতিষ্ঠা এপ্রিল, ১৯৪৯) পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হয়েছিলেন। এ পত্রিকা প্রায় ছয় মাস সম্পাদনা করার পর ঢাকা কলেজে বাংলার প্রধান অধ্যাপক নিযুক্ত হন। প্রায় সাত বছর এ কলেজে অধ্যাপনা করার পর ১৯৫৯ সালের জানুয়ারি মাসে অবসর গ্রহণ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। মাহে-নও পত্রিকার সম্পাদক থাকাকালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার বাংলা বর্ণমালা পরিবর্তনের যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল, তার বিরোধিতা করে সরকারের বিরাগভাজন হন। ষাটের দশকের শেষ দিকে পাকিস্তান সরকার বেতার ও টেলিভিশন থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচার বন্ধ করার যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তার প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সরকারের স্বেচ্ছাচারমূলক কাজের অন্যতম প্রতিবাদী কণ্ঠ তিনি।
অলিখিত বাংলা লোকসাহিত্যের অন্যতম প্রধান সংগ্রাহক হিসেবে ১০ খণ্ডে সমাপ্ত লোকসঙ্গীতের সঙ্কলন গ্রন্থ হায়ামণি (১ম খণ্ড ১৯৩০, ২য় খণ্ড ১৯৪২, ৩য় খণ্ড ১৯৪৭, ৪র্থ খণ্ড ১৯৫৮, ৫ম খণ্ড ১৯৬১, ৬ষ্ঠ খণ্ড ১৯৬২, ৭ম খণ্ড ১৯৬৫, ৮ম খণ্ড ১৯৭৬, ৯ম খণ্ড ১৯৮৮ ও ১০ম খণ্ড ১৯৮৯) সম্পাদনা করে রবীন্দ্রনাথসহ সব শ্রেণীর মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেন। তার লিখিত ও এ যাবৎ প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থ : শিরণী (১৯৩১), ধানের মঞ্জরি (১৯৯৩), আগরবাতি (১৯৩৮), বাংলা সাহিত্যে মুসলিম সাধনা (১ম খণ্ড ১৯৬০, ২য় খণ্ড ১৯৬৪ ও ৩য় খণ্ড ১৯৬৬) এবং ইরানের কবি। তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৫) ও একুশে পদকে (১৯৮৩) ভূষিত হয়েছিলেন। মৃত্যু ঢাকায় ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭ সালে। হ


আরো সংবাদ



premium cement
বুড়িচংয়ে হিটস্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু নলছিটিতে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানরা পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন খুলনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলে সংঘর্ষে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত শিশুদের বিকাশে অটিজম অভিভাবকদের সচেতনতা ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন : দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির তদন্ত কমিটি নেতাদের মুক্তির দাবিতে রিজভীর নেতৃত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির মিছিল বৃষ্টির জন্য দেশবাসীর প্রতি ইস্তিস্কার নামাজ আদায়ের আহ্বান আমিরে জামায়াতের সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে চুক্তি স্বাক্ষর করল তুর্কি, ইরাক, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ঢাকায় ‘হিট স্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু

সকল