২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ম র ণ : সুকুমার রায়

-

প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায়ের জন্ম ১৮৮৭ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতায়। তাদের আদিনিবাস কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার মসুয়ায়। বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক, সঙ্গীতজ্ঞ ও যন্ত্রকুশলী উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী তার বাবা এবং অস্কারপ্রাপ্ত বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় তার ছেলে। সুকুমার রায় প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়নে অনার্সসহ বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ফটোগ্রাফি ও প্রিন্টিং টেকনোলজিতে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কলারশিপ’ নিয়ে তিনি ইংল্যান্ড যান। সেখানে তিনি প্রথমে লন্ডন এবং পরে ম্যানচেস্টারে স্কুল অব টেকনোলজিতে লেখাপড়া করেন। এ স্কুলে বাবার উদ্ভাবিত হাফটোন পদ্ধতি প্রদর্শন করে এর কার্যকারিতা প্রমাণ করেছিলেন। প্রবাসে সুকুমার রায় ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্ট সোসাইটিতে ' 'Spirit of Rabindranath' শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন। প্রবন্ধটি ঞযব ছঁবংঃ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন সভায় বক্তৃতা করার আমন্ত্রণ পান।
তিনি Royal Photographic Society -এর ফেলো নির্বাচিত হন। এ ক্ষেত্রে তিনি দ্বিতীয় ভারতীয়।
১৯১৩ সালে দেশে ফিরে বাবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ইউ রায় অ্যান্ড সন্স’-এ যোগ দেন। সুকুমার রায় অল্প বয়স থেকেই মুখে মুখে ছড়া রচনা ও ছবি আঁকার সাথে ফটোগ্রাফিরও চর্চা করতেন। কলেজজীবনে তিনি ছোটদের হাসির নাটক রচনা এবং অভিনয় করতেন। তিনি শান্তিনিকেতনে একবার রবীন্দ্রনাথ ও অবনীন্দ্রনাথের সাথে ‘গোড়ায় গলদ’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন। স্বদেশী আন্দোলনের সময় বেশ কিছু গান রচনা করেন এবং নিজে সেগুলো গেয়েছেনও। বাবার মৃত্যুর পর তার প্রতিষ্ঠিত ‘সন্দেশ’ পত্রিকা পরিচালনা ও সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন সুকুমার। প্রবাস থেকে এ পত্রিকার জন্য নিয়মিত গল্প, কবিতা ও নিজের আঁকা ছবি পাঠাতেন। সুকুমার রায় প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র থাকাকালে ‘ননসেন্স ক্লাব’ গড়ে তোলেন, যার মুখপত্র ছিল ‘সাড়ে-বত্রিশ-ভাজা’। বিলেত থেকে ফিরে গঠন করেন ‘মানডে ক্লাব’।
এখানে আলোচনা ও পাঠের সাথে থাকত ভূরিভোজের ব্যবস্থা। তাই ব্যঙ্গ করে কেউ কেউ একে বলত ‘মণ্ডা ক্লাব’। সুকুমার রায়ের প্রধান অবদান শিশু-কিশোর উপযোগী বিচিত্র সাহিত্যকর্ম।
কবিতা, নাটক, গল্প, ছবি সব কিছুতেই সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ ও কৌতুকরস সঞ্চার করতে পারতেন। তার কাব্যে হাস্যরসের সাথে সমাজচেতনাও প্রতিফলিত। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হলো : আবোল-তাবোল, হ-য-ব-র-ল, পাগলা দাশু, বহুরূপী, খাইখাই, অবাক জলপান, শব্দকল্পদ্রুম, ঝালাপালা প্রভৃতি। এ ছাড়া বাংলা ও ইংরেজিতে রচিত তার কিছু গুরুগম্ভীর প্রবন্ধও রয়েছে। ডায়েরির আকারে ‘হেসোরামের ডাইরী’ নামে তার একটি অপ্রকাশিত রম্যরচনা আছে। ১৯২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। হ


আরো সংবাদ



premium cement
শিশুদের বিকাশে অটিজম অভিভাবকদের সচেতনতা ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন : দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির তদন্ত কমিটি নেতাদের মুক্তির দাবিতে রিজভীর নেতৃত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির মিছিল বৃষ্টির জন্য দেশবাসীর প্রতি ইস্তিস্কার নামাজ আদায়ের আহ্বান আমিরে জামায়াতের সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে চুক্তি স্বাক্ষর করল তুর্কি, ইরাক, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ঢাকায় ‘হিট স্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট ‘আমার শিশু মেয়েটির যে সর্বনাশ সে করেছে’ বান্দরবানের ৩ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজে মুসুল্লিদের ঢল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা মনে হয় পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার : রিজভী

সকল