২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ইসরাইলি নির্যাতন ও ফিলিস্তিনি শিশু

-

ইসরাইলি গোয়েন্দাদের আবশ্যিক পাঠ্য হিসেবে হিব্রু ভাষায় ‘প্রটোকল’ নামে একটি বই লেখা হয়। বইতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, বিশেষ করে আরবদের প্রতি ঘৃণা, আরবদের হত্যা বা অর্থের বিনিময়ে বশীভূত করে দমিয়ে রাখার নানা কৌশলসহ ভবিষ্যৎ কর্মসূচির কিছু কর্মপন্থা লেখা রয়েছে। বইটি পড়ে জানা যায়, ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থায়, যা এখন মোসাদ নামে পরিচিত তাতে ৩৩ ‘ডিগ্রি’ রয়েছে, অর্থাৎ ৩৩টি ধাপ রয়েছে। এক ধাপের বিশ্বস্ততা, কাজের মান বিবেচনা করে পরবর্তী ধাপে গোয়েন্দাদের উন্নীত করা হয়। যদি কোনো কর্মকর্তা ওপরের ধাপের কোনো তথ্য বা ব্যক্তি সম্পর্কে খোঁজখবর জানতে চেষ্টা করে, তবে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। নিচের ধাপে যারা রয়েছেন তাদের পক্ষে ওপরের ৩৩ ডিগ্রিতে যারা রয়েছেন তারা কারা এবং কী তাদের পরিকল্পনা, এসব বোঝার কোনো সাধ্য থাকে না। মস্কোতে রাশিয়ার এক কেজিবি এজেন্ট ইসরাইলি মোসাদের জনৈকা মহিলা থেকে বইটি হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর পর বইটি রাশিয়ান ভাষায় অনূদিত হয়ে মস্কোতে ছড়িয়ে পড়ে। এর এক মাসের মাথায় বইটি লন্ডন থেকে ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়ে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে যায়। ইংরেজিতে প্রকাশিত হওয়ার প্রায় ছয় মাস পর বইটি বাংলায় অনূদিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। মহিলা এজেন্টের কাছ থেকে বইটি বেহাত হওয়ায়, অদক্ষতার অভিযোগে ওই গোয়েন্দাকে গ্রেফতার ও সাজা ভোগ করতে হয়েছে। এ ঘটনার পর মহিলাদের জন্য ওপর দিকের বা ডিগ্রির সব দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়।
বইটিতে আরববিদ্বেষী অনেক বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে, ইসরাইলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকেরা ক্লাসে ঢোকার পর শিশুদের দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমরা আরবদের কী করবে?’ শিশুরা জোরে চিৎকার করে বলে, ‘আমরা আরবদের হত্যা করব।’ এভাবে ইসরাইলি শিশুরা আরবদের প্রতি ঘৃণাবিদ্বেষের শিক্ষা নিয়ে বাড়তে থাকে এবং যুবক ও পরিণত বয়সে আরবদের যেকোনোভাবে নিঃশেষ করাকে তাদের কাজ ও পরিকল্পনার অংশ মনে করে। বইটি লেখা হয়েছে আজ থেকে প্রায় ৪৫ বছর আগে। তখন যারা শিশু ছিল, তারা আজ ইসরাইল রাষ্ট্রের পরিচালক। আরবদের প্রতি ইসরাইলি বর্বরতা দেখেই বোঝা যায়, ইসরাইলিরা কত বেশি আরবোফোবিয়ায় আক্রান্ত। দু’বার নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত বিশ্বের একমাত্র মহিলা ও ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মায়ার প্রকাশ্যেই বলতেন, ‘আরবরা বর্বর।’
সম্প্রতি ইসরাইলি স্কলার নুরিত পিলেদ এলহানান এসব বিষয় নিয়ে একটি বই লিখেছেন, নাম ‘ইসরাইলি পাঠ্যবইতে ফিলিস্তিন’। এ বইতে ইসরাইলি রাষ্ট্র ও ইহুদি সমাজের বৈশিষ্ট্য নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ইহুদিরা ইসরাইলে জমায়েত হয়ে কিভাবে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, তার বিবরণও তিনি তুলে ধরেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার জাতিগত বিদ্বেষকে কিভাবে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে, সেসব বিষয়ও বইতে স্থান পেয়েছে। তিনি বলতে চেয়েছেন, ইসরাইলি জাতিগত বিদ্বেষও ফিলিস্তিনিদের হাতে প্রত্যাখ্যাত ও পরাজিত হয়েছে। অসহযোগ, বর্জন ও প্রতিরোধের (বিডিএস আন্দোলন) মাধ্যমে কিভাবে লড়াই করা হয়েছে, তা তিনি তুলে ধরেছেন।
এলহানান ১৭টি ইসরাইলি স্কুল পাঠ্যবই নিয়ে গবেষণা করে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বক্তব্য দিয়েছেন। যেসব বই নিয়ে তিনি গবেষণা করেছেন সেগুলো ইতিহাস, ভূগোল এবং সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ক। তিনি দেখেছেন, ইসরাইলি পাঠ্যপুস্তকগুলোতে ফিলিস্তিনিদের ‘রেসিস্ট’ বা বর্ণবাদী বলে পরিচয় দেয়া হয়েছে এবং তাদের প্রতিরোধের ঘটনাগুলোকে নজির হিসেবে ইসরাইলিরা ব্যবহার করেছে। পাঠ্যবইগুলোতে ইসরাইলি ম্যাপকে আরো অনেক স্থান সংযুক্ত করে দেখানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এটাই ‘দি ল্যান্ড অব ইসরাইল’। বইগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায়, ফিলিস্তিনি বিষয়গুলো যেমনÑ কবিতা, সাহিত্য, ইতিহাস, কৃষি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিগত কোনো বিষয়ের প্রসঙ্গে কোনো ভালো দিক তুলে ধরা হয়নি। ফিলিস্তিনিদের চিত্রায়িত করা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসী, উদ্বাস্তু, সেকেলে কৃষক’ হিসেবে। বলা হয়েছে, ‘তাই ইসরাইলের জন্য ফিলিস্তিনিরা একটি সমস্যা।’ আরো বলা হয়েছে, ইসরাইলি ইহুদিরা আরব ফিলিস্তিনিদের চেয়ে বংশমর্যাদায় অনেক উন্নত ও শ্রেষ্ঠ। এসব বিষয়কে প্রতিরোধ করার জন্য ফিলিস্তিনিরাও নিজস্ব বই ছাপিয়েছে; যেমন ১৯৯০ সালে ব্যাপক ভিত্তিতে বই ছাপানো হয়। কিন্তু যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে, যাদের প্রতিনিয়ত হত্যা করা হচ্ছে তারা কিভাবে এসব বই বিলিবণ্টনের কাজটা করবেন?
এলহানানের বইটি প্রকাশিত হলে ইসরাইলে হইচই পড়ে যায়। তিনি বলেছেন, ইসরাইলি সমাজে যেভাবে হিংস্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, একসময় এই সমাজব্যবস্থা বিষাক্ত হয়ে নিজেই বিপদগ্রস্ত হবে। তিনি আরো বলেন, সামাজিক বন্ধন বৃদ্ধি না পেয়ে ‘পেছনের দিকে চলে’ যাচ্ছে। পাঠ্যবইগুলো সমাজকে কলুষিত করার ‘সামরিক ম্যানিফেস্টো’ হিসেবে কাজ করছে। ‘তিন প্রজন্মের ইসরাইলি’ জানে না, ইসরাইলের সীমানা আসলে কোনটি বা কোথায়? নতুন প্রজন্মের কাছে এই অবস্থা আরো খারাপ।
জেলখানার বন্দীদের নিয়ে কাজ করেÑ এমন এক সংগঠন ‘আদামির’ বলেছে, ফিলিস্তিনি শিশুদের পরিকল্পিতভাবে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আদামিরের রিপোর্টে দেখা যায়, ‘২০১৮ সালে ৮০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে জেরুসালেম থেকে বন্দী করা হয়। এর মধ্যে ৪১ জন পূর্ব জেরুসালেমের। তারা বছরের শেষ দিন পর্যন্ত জেলে আটক ছিল।’ এদের লেখাপড়ার বিষয়টিও ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করেনি। আদামির আরো জানায়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে বন্দী শিশুদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করার বিধান থাকলেও ইসরাইলিরা এতে ভ্রুক্ষেপ করে না। আদামির ও ইতালির টিডিএইচের যৌথ জরিপের সমীক্ষায় দেখা গেছে, পূর্ব জেরুসালেমের শিশুদের এক-চতুর্থাংশ লেখাপড়ার কোনো সুযোগ পায় না। যারা শিক্ষা পায় তারা আরবি ও গণিত শিখে, হিব্রুও শিখতে হয়। বন্দী শিশুদের যারা হাইস্কুল সমাপনী পরীক্ষা দেয়ার কথা, তাদেরও এতে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয় না। অথচ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে কোনো দখলদার কর্তৃপক্ষকেও শিক্ষার অধিকারকে সম্মান প্রদর্শন করতে হয়। কিন্তু ইসরাইল অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেম, পশ্চিম তীর ও গাজার ফিলিস্তিনিদের এই সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। ইসরাইলি সৈন্যরা যখন ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় তখন প্রায়ই তারা উল্লাস করে। এটা ইসরাইলের শিক্ষাব্যবস্থার ফসল। এ কারণে পশ্চিমা জগতের অনেক মানবতাবাদী ও শিক্ষাবিদ ধীরে ধীরে ইসরাইলের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার গ্রুপ ‘আদালাহ’ জানায়, ইসরাইলিরা প্রাথমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীকে শেখাতে চায়, ফিলিস্তিনিরা বর্ণবাদী এবং জন্মগতভাবে উগ্র-অসভ্য।
সম্প্রতি পিআইএসএ বা প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষায় দেখা গেছে, ইসরাইলি শিশুরা পশ্চিম ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও পূর্ব এশিয়ার ছাত্রছাত্রীদের মেধাগত অবস্থানের নিচে। এই পরীক্ষায় গণিত, বিজ্ঞান ও পঠনের ওপর পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। ইসরাইলের গোঁড়া স্কুলগুলোর ছাত্রছাত্রীদের অবস্থা আরো খারাপ। অবশ্য ইসরাইলের শিক্ষার মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা যায় না। ইসরাইলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় আছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিস্ময়কর অবস্থানে। তবে গোঁড়া বিদ্যালয়গুলোর মান উন্নয়নশীল দেশের অবস্থানের চেয়েও নি¤œতর। ইসরাইলি-আরবদের অবস্থান আরো পীড়াদায়ক। গণিত, বিজ্ঞান ও পঠনে উন্নত দেশের গড়ের নিচেই নয়; অনেক উন্নয়নশীল দেশের গড়ের নিচে তারা; এমনকি ২০১৫ সালে পিএসআইএ পরীক্ষায় যেসব মুসলিম দেশ অংশগ্রহণ করেছিল তাদেরও নিচে, এটা বড়ই দুর্ভাগ্যজনক।
গত জুলাই মাসের ১৫ তারিখ এক ইহুদি গাড়িচাপা দিয়ে তারিক জাবানিয়া নামে এক ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করে। এটা আল খলিলের ঘটনা। আল খলিলকে ইহুদিরা নাম দিয়েছে হেবরন। এখন বিশ্বে এ নামই পরিচিত। এভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নাম বদল করে ইহুদিরা নতুন নামকরণ করছে। বহু বছর ধরে এই কাজ চলছে। বিশ্ব তথ্যসরণিতে, ইতিহাস, ইন্টারনেট, এনসাইক্লোপিডিয়া সব কিছুতে এই পরিবর্তন করা হচ্ছে। মুসলিম বিশ্ব এসব তথ্যভাণ্ডারই ব্যবহার করছে। নিজেরা কোনো তথ্যভাণ্ডার গড়তে পারেনি বা করেনি। শেখরা টাকা দিয়ে সোনার প্লেন বানিয়েছেন। বিলাসবহুল ইয়টে ও নিজস্ব শৌখিন বিমানে দুনিয়া চষে বেড়াচ্ছেন। বিমান থেকে নামার জন্য সোনার মই ব্যবহার করছেন। অথচ শিক্ষার ক্ষেত্রে আরবদের অগ্রগতি নেই বললেই চলে।
ইসরাইলের লেবার পার্টি বসতি সেটেলার প্রজেক্টের হোতা। সন্ত্রাসী সংগঠন ও সংগঠক রামাত এসকল, গিলো, রামাত ও আরমোন হানাজিভ সব লেবার পার্টির সৃষ্টি। যারা ১৯৪৮ সালে ইসরাইলে এসেছিলেন, তাদের আসল সেটেলার ও জাতীয় হিরো বলা হয়। ফিলিস্তিনি মূল ভূখণ্ড থেকে এরাই ব্রিটেন ও অন্যদের সহায়তায় ফিলিস্তিনিদের উদ্বাস্তু বানায়, ভিটেবাড়ি ছাড়তে বল প্রয়োগ করে। জেরুসালেম পোস্টে আমোজ আসা লিখেছেন, ‘গ্রিন লাইনের বাইরে বসতি বাড়ানো অবৈধ নয়, কিছুটা অনৈতিক মাত্র।’ দেখুন, কেমন নির্লজ্জ স্বীকারোক্তি! লেবার পার্টির রাজনীতিতে বসতি স্থাপনে নৈতিকতা ও আইনগত ভিত্তি বিবেচনা করা হয় না। কথিত প্রয়োজনটিই বিবেচনা করা হয়, তা যাই হোক। বসতি স্থাপন প্রকল্পকে রক্ষা করা এবং নিরাপত্তা প্রদান এখন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রধান কাজ। অপর দিকে পশ্চিম তীরে ২৫০টি বসতি গড়ে তোলা হয়েছে ইহুদিদের জন্য। এসব বসতিতে চার লাখ ইসরাইলি বসবাস করছে। পূর্ব জেরুসালেমে, ফিলিস্তিনিদের রাজধানীতে, বানানো হয়েছে ১৮টি বসতি। সেখানে বসবাস করছে দুই লাখ ২০ হাজার ইসরাইলি।
ইসরাইলি সেটেলাররা যখন তখন ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণ চালায়। ইসরাইলি সৈন্য ও পুলিশের এতে বাধা দেয়ার কথা থাকলেও দেখা যায়, সেনাবাহিনীর লোকজন এসকর্ট করে দাঙ্গা লাগানো ও মারধর করার জন্য সেটেলারদের নিয়ে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেটেলারদের সাথে সেনাবাহিনীর লোকজনও একই সাথে ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয়। ইসরাইলি সংগঠন ‘ইয়াস দিন’ এক প্রতিবেদনে জানায়, ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতার ৮৫ শতাংশ ঘটনায় সেটেলাররা জড়িত। এসবই মূলত ইহুদিবাদী মতাদর্শের ফসল।
চতুর্থ প্রজন্মের ফিলিস্তিনি শিশুরা চরম দরিদ্রতার মধ্যে উদ্বাস্তু ক্যাম্পে বড় হচ্ছে। এসব শিশু নিজেদের পরিবারেও যেতে পারে না। পাবলিক সার্ভিস থেকে এসব সন্তান কিছুই পায় না। চাকরি ও জমির অধিকার কিছুই এদের নেই। এদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করারও নেই সুযোগ।
নেতানিয়াহু দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ৩৩১৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়, যার মধ্যে শিশু ৭৭৫ জন। ইসরাইলের মানবাধিকার সংস্থা ‘বেইতসালেম’ এই রিপোর্ট দিয়েছে। বহু স্থানে উদ্বাস্তু শিবিরে ফিলিস্তিনি শিশুদের রাখা হয়েছে, সেখানেই একবেলা খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কিছু দিন আগে ৫১ দিন যাবৎ অবরুদ্ধ গাজায় ছয় হাজার বার বোমা হামলা চালানো হয়, ট্যাংক থেকে ১৪ হাজার ৫০০ বার গোলাবর্ষণ করা হয়, আর্টিলারি থেকে গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে ৩৫ হাজারবার। জাতিসঙ্ঘের সূত্রেই এই তথ্য। বিশ্ব দেখেছে নিরস্ত্র মানুষের ওপর নিয়মিত সেনাবাহিনীর হামলা, যা এখনো চলছে। কিন্তু কোনো দেশ এগিয়ে আসেনি এত মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের পরও। হ
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement
সীমান্তে বাংলাদেশীদের মৃত্যু কমেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনে উদ্বেগ টিআইবির যখন দলকে আর সহযোগিতা করতে পারবো না তখন অবসরে যাবো : মেসি ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান আর নেই বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ খণ্ডালেন ওবায়দুল কাদের আটকের পর নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ইউপি চেয়ারম্যানকে বদর যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন পণবন্দী জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝালকাঠিতে নিখোঁজের ২ দিন পর নদীতে মিলল ভ্যানচালকের লাশ বাল্টিমোর সেতু ভেঙে নদীতে পড়া ট্রাক থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার

সকল