২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ম র ণ : ঈশা খাঁ

-

বিচক্ষণ, দূরদর্শী শাসক ও ইতিহাসপ্রসিদ্ধ বারভূঁইয়ার প্রধান সুশাসক ঈশা খাঁ ১৫২৯ সালের ১৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সোলায়মান খাঁ ছিলেন আফগানিস্তানের সোলায়মান পার্বত্যাঞ্চলের দলপতির বংশধর। ঈসা খাঁ ও তার বাবা ১৫৪৬ সালে আফগানিস্তান থেকে এক হাজার ৪০০ অশ্বারোহী ও বেশ কিছু মোহর নিয়ে পাহাড়, পর্বত, নদ-নদী পেরিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে উপস্থিত হন। প্রথমে কিশোরগঞ্জের জঙ্গলবাড়ি দুর্গ এবং পরে সোনারগাঁও দুর্গ দখল করেন। ১৫৪৮ সালে তার বাবা নিহত হন। ঈশা খাঁ ৩৫ বছর বয়সে কররানী শাসকদের সামন্ত হিসেবে অনেক মোহরের বিনিময়ে ১৫৬৪ সালে সোনারগাঁও ও মহেশ্বরদী পরগনার জমিদারি লাভ করেন। ১৫৭১ সালে মোগল সম্রাট আকবরের বিখ্যাত সভাসদ আবুল ফজল তাকে ‘ভাটিরাজ’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। ১৫৭৫ সালে দাউদ খান কররানীর প্রতি কর্তব্য পালনের প্রতিদানে তিনি ‘মসনদে আলা’ উপাধি লাভ করেন।
ঈশা খাঁ মোগল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মানসিংহকে পরাজিত করে ১৫৯৭ সালে বাংলার স্বাধীনতা রক্ষা করেছিলেন। তার সাহস, যুদ্ধকৌশল, নেতৃত্বের যোগ্যতা, বীরত্ব, দেশপ্রেম নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ষোড়শ শতাব্দীর শেষ প্রান্তে ঈশা খাঁর সফল সংগ্রাম তাকে বাংলার প্রধান ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল।
তাকে আমাদের একজন জাতীয় বীর হিসেবে আখ্যায়িত করা উচিত। ঈশা খাঁকে দীর্ঘ ৫৩ বছর যুদ্ধে লিপ্ত থাকতে হয়েছিল। তিনি বাংলায় সর্বপ্রথম নৌবাহিনী গঠন করেছিলেন। তিনিই বাংলায় প্রথম গেরিলা যুদ্ধের প্রচলন করেন এবং নিজেও গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন।
তিনি গরিব কৃষকদের কথা চিন্তা করে করমুক্ত রাজ্য গঠন করেছিলেন। তার শাসনকালে বস্ত্র শিল্প, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। তিনি মহেশ্বরদী পরগনার বক্তারপুর দুর্গে যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে ১৫৯৯ সালের ২১ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার বক্তারপুর গ্রামে তাকে কবরস্থ করা হয়। হ
ঈশা খাঁ ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে


আরো সংবাদ



premium cement