২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্মরণ : মৌলভী তমিজউদ্দীন খান

-

জন্ম খান খানানপুর গ্রাম, ফরিদপুর, ১৮৮৯ সালে। আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। ১৯১১ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ অনার্স (ইংরেজি) এবং ১৯১৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ পাস করেন। ১৯১৪ সালে বিএল ডিগ্রি নিয়ে ফরিদপুর জেলা আদালতে আইন ব্যবসায় শুরু করেছিলেন। কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে ফরিদপুর কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক হন। খেলাফত কমিটির সহসভাপতি হিসেবে ১৯২০ সালে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগ দেন। এরপর আইন ব্যবসায় ত্যাগ করে কলকাতা ন্যাশনাল কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। এ আন্দোলনে অংশ নেয়ায় ১৯২১ থেকে ১৯২৩ সাল পর্যন্ত কারাভোগ করেন। ১৯২৬ সালে প্রথমবার ও ১৯২৯ সালে দ্বিতীয়বার কংগ্রেসের মনোনয়নে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯২৬ সালের নির্বাচনে ফরিদপুরে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ১৯৩০ সালে মুসলিম লীগে যোগদান এবং কলকাতা হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। ১৯৩৭ সালে মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন।
এবারের নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাহিত্যিক ও কংগ্রেস নেতা অধ্যাপক হুমায়ুন কবির। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত বঙ্গে শেরেবাংলার মন্ত্রিসভায় কৃষি, স্বাস্থ্য, শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম দফতরের মন্ত্রী এবং ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত খাজা নাজিমুদ্দীন মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। পাকিস্তান আন্দোলনে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেন এবং ১৯৪৫-৪৬ সালে ভারতীয় আইনসভার সদস্য ছিলেন। ১৯৪৬ সালে চতুর্থবার বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন।
কিছুকাল বঙ্গীয় আইনসভার স্পিকার ছিলেন। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তান গণপরিষদের সহসভাপতি এবং পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী
জিন্নাহর মৃত্যুর পর গণপরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সালের ২৪ অক্টোবর গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ কর্তৃক গণপরিষদ বাতিলের প্রতিবাদে তমিজউদ্দীন খান সিন্ধু হাইকোর্টে মামলা করেন।
হাইকোর্ট সরকারের বিরুদ্ধে রায় প্রদান করেছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তান
সরকার আপিল করলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১৯৫৫ সালের জুন মাসে নতুন গণপরিষদ গঠিত হয়। ১৯৫৮ সালের অক্টোবর মাসে দেশে সামরিক শাসন জারির আগে তমিজউদ্দীন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৬২ সালে ফরিদপুর-ঢাকা আসন থেকে পার্লামেন্ট বা জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং ৮ জুন ১৯৬২ ওই পরিষদের স্পিকার নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিবাহে রাজনীতি ও গাঁয়ের গোলাপ তার রচিত উপন্যাস। ব্রিটিশ শাসনামলে পয়গাম ও মদীনা নামে দু’টি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনা করেছিলেন। বঙ্গীয় প্রজা সমিতির অন্যতম নেতা ছিলেন এবং জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের জন্য সংগ্রাম পরিচালনা করেন। ভারতীয় মুসলমানদের পুনর্জাগরণ ছিল তার লক্ষ্য এবং এই বিশ্বাস অনুযায়ী তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে। মৃত্যু ১৯৬৩ সালের ১৯ আগস্ট। হ


আরো সংবাদ



premium cement