২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ডিসি ওসিদের প্রতাপ ও অবস্থান

সময়-অসময়
-

জনগণের দুর্দশা লাঘবের উদ্দেশ্যেই জমিদারিপ্রথা বিলোপ করা হয়েছিল। কিন্তু জনগণের দুর্দশা কি আজো দূর হয়েছে? জমিদারদের লাঠিয়াল বাহিনীর কষাঘাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ভয়ে বিনা বাধায় প্রজারা ভিটামাটি ছেড়ে দিত। শুধু তাই নয়, বরং জমিদারদের আদেশই আসমানি আদেশ মনে করতে হতো, প্রজাদের সুন্দরী কন্যা বা স্ত্রীরা জমিদারদের লালসার শিকার হলে জমিদারদের জন্য তা ছিল এক গ্লাস পানি পাওয়ার চেয়েও যেন সহজতর। কলকাতার বিখ্যাত পতিতালয়ের কোনো কোনো নর্তকী জমিদারদের জন্য রিজার্ভ রাখতে হতো এবং সোনাগাছিতে কে কত টাকা উজাড় করে দিত, তার ওপর নির্ভর করত তার (জমিদার) মানদণ্ডের (ঝঃধহফধৎফ) উচ্চতা। এ ছাড়াও তাদের নিজ বাড়িতে তো স্থায়ী রঙ্গমঞ্চের ব্যবস্থা ছিলই। তাদের একমাত্র দায়িত্ব ছিল রাজা মহারাজা, পরবর্তীকালে ইংরেজদের মনোরঞ্জন। ব্রিটিশদের জন্য জমিদাররা খাজনা তো দিতই, অধিকন্তু দামি উপঢৌকনের মধ্যে কখনো বা সুন্দরী ললনাদেরকেও উপঢৌকনের ডালার মধ্যে রাখা হতো শুধু ইংরেজ প্রভুদের খুশি রাখার জন্য। আর জমিদারদের সীমাহীন অমানুষিক অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়নের কাহিনী শুনলে এখনো মানুষের গা শিউরে ওঠে।
‘আমাদের জাতিসত্তার বিকাশ ধারা’ বইতে (পৃষ্ঠা ৩১-৩২) ‘জমিদারি’প্রথা সম্পর্কে মোহাম্মদ আবদুল মান্নান লিখেছেন, ‘কৃষকদের কাছ থেকে যত খুশি খাজনা ও কর আদায় করে তার একটি নির্দিষ্ট অংশ ইংরেজদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য এক নতুন জমিদার শ্রেণী সৃষ্টি করা হয়। এই জমিদারদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায়ের জন্য ইংরেজরা বাংলা ও বিহারের নিষ্ঠুরতম দস্যু সরদারদের নাজিম নিয়োগ করে। ‘নাজিম’ নামক এই দস্যুদের অত্যাচার ও লুণ্ঠন সম্পর্কে কোম্পানির দলিলপত্র থেকেও জানা যায়। বাংলা ও বিহারের রাজস্ব কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ১৭৭২ সালের ৩ নভেম্বর ইংল্যান্ডে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বোর্ড অব ডাইরেক্টরসকে লেখা এক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, নাজিমরা জমিদার ও কৃষকদের কাছ থেকে যত বেশি পারে, কর আদায় করে নিচ্ছে। জমিদাররাও নাজিমদের কাছ থেকে চাষিদের লুণ্ঠন করার অবাধ অধিকার লাভ করেছে। নাজিমরা আবার তাদের সবার (জমিদার ও কৃষকদের) সর্বস্ব কেড়ে নেয়ার রাজকীয় বিশেষ অধিকারের বলে দেশের ধনসম্পদ লুট করে বিপুল সম্পদের অধিকারী হয়েছে। ১৭৬৫-৬৬ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর সে বছরই তারা প্রায় দ্বিগুণ অর্থাৎ দুই কোটি ২০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করে। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সে আদায়ের পরিমাণ আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়।’
ইংরেজদের রাজস্বনীতি ও ভূমিব্যবস্থা সম্পর্কে সুপ্রকাশ রায় লিখেছেনÑ ‘এই সকল ব্যবস্থার ফলে চাষিদের পিঠের ওপর বিভিন্ন প্রকারের পরগাছা শোষকদের একটা বিরাট পিরামিড চাপিয়ে বসে। এই পিরামিডের শীর্ষদেশে রহিল ইংরেজ বণিকরাজ, তার নিচে রহিল বিভিন্ন প্রকার উপস্বত্বভোগীর দলসহ জমিদারগোষ্ঠী। এই বিরাট পিরামিডের চাপে বাংলা ও বিহারের অসহায় কৃষক সর্বস্বান্ত হয়ে অনিবার্য ধ্বংসের মুখে এসে দাঁড়াল (সূত্র : ভারতের কৃষক বিদ্রোহ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পৃ-১০)।’ প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে জমিদারিপ্রথা বিলুপ্ত হলেও জমিদারি বিলুপ্ত হয়নি বরং পদ্ধতি ও নামের পরিবর্তন হয়েছে মাত্র, কিন্তু জমিদারি এখনো রয়েছে বিদ্যমান, যাদের প্রধান খাদ্য জনগণের রক্ত বললে অত্যুক্তি হবে না। জমিদারি চরিত্রে ব্যতিক্রম যা ছিল, তা সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে দেখার মতো।
মাঝে মাঝে ‘প্রকৃতি’ সত্যকে প্রকাশ করে দেয়। সীমা যখন লঙ্ঘিত হতে থাকে তখন সৃষ্টিকে রক্ষার জন্য ‘প্রকৃতি’ সত্যকে প্রকাশ করে সমাজের ভারসাম্য (ঈযবপশ ্ ইধষধহপব) রক্ষা করে, নতুবা বহু আগেই সামাজিক ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়ে যেত। এমনি একটি অতীব সত্য প্রকাশ পেয়েছে মহামান্য হাইকোর্টের বক্তব্যে। বিচারপতি মো: মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ ৯ জুলাই ২০১৯ তারিখে পুলিশ কর্মকর্তা ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিনের শুনানিতে মন্তব্য করে বলেন, ‘কিছু কিছু ওসি-ডিসি নিজেদের জমিদার মনে করে’ (সূত্র : জাতীয় পত্রিকা ১০ জুলাই ২০১৯)। বিচারপতিদ্বয়ের এ মন্তব্য যেন শুধু বিচার বিভাগের উপলব্ধি নয়, বরং এটা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের বোবাকান্নার বহিঃপ্রকাশ। ব্রিটিশের আদলে সৃষ্ট ডিসি-এসপি এবং ওসি পদধারীদের আইনের দৃষ্টিতে ক্ষমতা ‘অপরিসীম’। জমিদারেরা জমিদারি চালাত নায়েব (ঈড়ষষবপঃড়ৎ) ও লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে। ব্রিটিশ আমলে জেলা পর্যায়ে প্রধান কর্মকর্তাদের নাম ছিল উরংঃৎরপঃ ঈড়ষষবপঃড়ৎ, পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যে নামের রূপান্তর ঘটানো হলো। জেলা প্রশাসকই জেলার রাজস্ব আদায়ের প্রধান কর্মকর্তা অর্থাৎ ডিস্ট্র্রিক কালেকটর এবং সে পদ এখনো বিদ্যমান রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর সংবিধানের ৭(১) অনুচ্ছেদ মোতাবেক জনগণকে রাষ্ট্রের মালিক এবং ২১(২) অনুচ্ছেদ মোতাবেক ‘সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য’ বলে বিধান সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে বর্তমানে সেবার পরিবর্তে চলছে অপশাসন। জনগণের অর্থে লালিত রাজকর্মচারীরা এখন শুধু সেবা করে একতরফা নির্বাচিত এমপি, মন্ত্রী ও তাদের দোসরদের। তাদের মনোরঞ্জন করাই যেন আমলাদের প্রধান ও মুখ্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। বিচার বিভাগের ওপর সরকারের অনেক প্রভাব (বিশেষ করে রাজনৈতিক মোকদ্দমায়) এখন শুধু অনুমান নয় বরং অভিযোগ আকারে প্রকাশিত হচ্ছে। এ অভিযোগ শুধু সরকারের প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নয়, বরং গোটা সমাজের। তার পরও হাইকোর্ট আছে বলেই সরকারের প্রতিপক্ষরা নিঃশ্বাস নিতে পারছেন, নতুবা সরকারবিরোধীদের বিরুদ্ধে এমন আইন পাস করা হতো, যাতে বিরোধীরা নিঃশ্বাস নিতে না পারেন এবং এ জনবিরোধী আইন কার্যকর করার দায়িত্ব নিতেন ডিসি, এসপি, ওসিসহ রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় আমলারা এবং জনবিরোধী আইনের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে গান গাইতেন এ দেশের বকধর্মী বুদ্ধিজীবী সমাজ, যারা ভাড়ায় খাটেন নির্দ্বিধায়।
জনগণ-এর যে সংজ্ঞা, আমলাদের দৃষ্টিতে সর্বস্তরের গণমানুষ সে আওতায় আসে না। আমলাদের প্রমোশন ও লোভনীয় স্থানে পোস্টিং যাদের ওপর নির্ভর করে, ছলে বলে কৌশলে তাদের আজ্ঞাবহ থাকাটাই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। জয়পুরহাটে গত ১৩ জুলাই গণফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতারা যথার্থই বলেছেন, ‘বর্তমান আমলারা নিজেদের অনিয়ম, দুর্নীতি ঢাকতেই বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে ব্যবসা শুরু করেছে। তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী না হয়ে দলীয় কর্মচারী হিসাবে কাজ করছে’ (সূত্র জাতীয় পত্রিকা, ১৪ জুলাই ২০১৯)। অনেকের অভিযোগ, আমলারা সর্বকালের সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ সুবিধাবাদী ও সুবিধাভোগী এবং তারা এ দেশের গণমানুষকে আজ্ঞাবহ মনে করে, যেমনটি মনে করা হতো ব্রিটিশ আমলে।
সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সালের ১৪ নং আইন) এর ১২নং ধারা বলে সংবিধানে ১৮ক অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত করা হয়েছে যাতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্য প্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করবেন।’ সংবিধানে জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য স্পষ্ট বিধান থাকলেও কিছু ভূমিদস্যু রাজধানীর আশপাশে বিশেষ করে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ফসলি জমি ও জলাভূমি আবাসন প্রকল্পের জন্য প্রকৃত মালিকদের কাছ থেকে ক্রয় না করেই বালু দিয়ে ভরে ফেলছে। জেলা প্রশাসক, এসপি, ওসিদের কাছে জনগণ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়েও পাচ্ছে না।
উপায়ন্তর না দেখে নিজস্ব ফসলি জমি ও জলাধার রক্ষার্থে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে উচ্চ আদালত জেলা প্রশাসককে প্রতিকারের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিলেও কৃষকদের পক্ষে তিনি ভূমিকা গ্রহণ না করে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন। আইন লঙ্ঘন করা যেমন অপরাধ, দায়িত্বের প্রতি অবহেলাও অনুরূপ। আমলারা যখন দায়িত্বে অবহেলা করেন, তখন সাধারণত কোনো জবাবদিহিতার আওতায় পড়েন না বিধায় তাদের অনেকেই বিনা বাধায় স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যেতে পারেন।
আমলাদের কাছে জনগণের পাশাপাশি সরকারও বহু ক্ষেত্রে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ দিকে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব কিছু আমলাদের মাধ্যমে করাচ্ছে। তারা সরকারের সব অপকর্মেরও দোসর হয়ে একদিকে অপশাসনের প্রয়োগ ঘটান, অন্য দিকে নিজেদের আখের গোছানোর কাজ সারিয়ে নেয়া হয়। ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার জন্য সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে আমলাদের নানা অন্যায় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে জনগণের অসহায়ত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে তারাই সুখে আছে যারা আমলাদের দৃষ্টিতে সরকারের বিশেষ ঘরানার পায়বন্দ বা খয়ের খা।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ১৫ জুলাই জলাশয় ভরাট না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সে নির্দেশও কার্যকর করছেন না জেলা প্রশাসকরা। এতে প্রতীয়মান হয় যে, ওসি ডিসিদের অনেকে নিজেদের এক শ্রেণীর জমিদার মনে করেন বলে হাইকোর্টের মন্তব্য অবাস্তব নয়।
আগেই বলেছি যে, ‘প্রকৃতি’ ভারসাম্য রক্ষা করে বলেই শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সমাজ টিকে আছে। দেশ ও জাতি যখন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে, যখন দেশের গণমানুষ সরকারের কাছে সাংবিধানিক কোনো আশ্রয় পায় না, সরকার নিজেই যখন জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নেয়, সুশিক্ষিত জনগণের কণ্ঠরোধ করে, তখন গণমানুষ বুদ্ধিজীবী তথা সুশীল সমাজের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু বকধর্মী বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যাধিক্য থাকার কারণে এখন তাদের সমালোচনাও করা যায় না। তারা মুখে বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি না বা সরকারি দল করি না।’ কিন্তু সরকারের অবৈধ কাজকে বৈধ করার জন্য যতটুকু স্তব-স্তুতি করার প্রয়োজন তার চেয়ে একটু বেশি করে ফেলেন। এর বিনিময়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া ছাড়াও বিভিন্ন পদপদবি দখল করার সুযোগ রয়েছে। বুদ্ধিজীবীসহ সুশীলদের জনগণের সমস্যা নিয়ে সাধারণত কথা বলতে দেখা যায় না। বরং ‘গভীর রাতের নির্বাচন’কে বৈধ করার জন্য যথাসাধ্য প্রচারণায় নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ধর্মহীনতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মানুষকে ধর্ম সম্পর্কে বিরূপ ধারণা দিচ্ছেন। বহুবার চরিত্র বিধ্বংসী ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের বিরুদ্ধে জনগণ সরব হলেও বুদ্ধিজীবীদের কোনো রা নেই, বরং যারা আগ্রাসনবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে বা কলম ধরে তাদের বিরুদ্ধে এক হয়ে যান। কোনো অন্যায় বিচার বা স্বৈরতন্ত্রের কার্যকর প্রতিবাদ নেই। জাতি যেন দিনে দিনে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীতে পরিণত হচ্ছে।
এমতাবস্থায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘সুশীল সমাজ সরকারের চামচাগিরি ও মীরজাফরি করছে।’ বর্তমান সমাজব্যবস্থায় সত্যকে প্রকাশ করা যায় না। অধ্যাপক চৌধুরী শুধু সত্যকে প্রকাশ করেননি, তিনি বাস্তবসম্মত একটি কঠিন কথা উচ্চারণ করেছেন, যা দীর্ঘদিন এ দেশের অসহায় মানুষ মনেপ্রাণে লালন করছে, তাই অভিনন্দন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে। তিনি সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন, অকপটে জনমানুষের হৃদয় নিংড়ানো অব্যক্ত ভাষাকে প্রকাশ করেছেন। দেশের প্রকৃত জমিদার ওসি ডিসিদের কর্মকাণ্ড ও ভূমিকা সম্পর্কে হাইকোর্টের উপলব্ধি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদ্বয়কেও সশ্রদ্ধ সালাম। বিচার বিভাগ বিশেষ করে উচ্চ আদালতের দিকে জাতি তাকিয়ে থাকে। তারা যখন হতাশ হয়, তখন শেষ আশ্রয় খুঁজে পাওয়ার কোনো স্থান বা অবস্থান থাকে না। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে কঠিন সত্য কথা শুনতে পেলেও ক্ষতবিক্ষত এ জাতির মনে অবশ্যই আশার সঞ্চার হয়। আশাহত না হয়ে আশান্বিত হওয়ার সংস্কৃতি যেন অব্যাহত থাকে। হ
লেখক : কলামিস্ট ও আইনজীবী
(অ্যাপিলেট ডিভিশন)
ঃধরসঁৎধষধসশযধহফধশবৎ@মসধরষ.পড়স


আরো সংবাদ



premium cement

সকল