১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিসরের প্রেসিডেন্টের ‘অমরত্ব’ অর্জন

-

মিসরের ভোটাররা প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিকে ‘২০৩০ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে ভোট দিয়েছেন’। নির্বাচন কমিশন বলেছে ৪৪.৩৩ শতাংশ বৈধ ভোটার ভোট দিয়েছেন। জেনারেল সিসি ২০১৩ সালে মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে বন্দী করে ক্যুর মাধ্যমে অন্যায়ভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। মুসলিম ব্রাদারহুডের কর্মী ও সাধারণ ইসলামপ্রেমীরা বিক্ষোভ করায় শত শত মানুষকে হত্যা ও গ্রেফতার করা হয়েছিল তখন। প্রহসনের বিচারে তাদের মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়াসহ বহু সরকারি কর্মকর্তাকে অবসর গ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে। ২০১১ সালে মিসরে গণ-আন্দোলন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পর দীর্ঘ দিনের কাক্সিক্ষত স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন সার্থক হয়েছিল। তবে সিসি পুনরায় জনশাসন ও গণতন্ত্রকে নির্বাসন দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য কিছু দেশ গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী হয়েও মিসরে সেনাশাসনকে সহায়তা দিয়ে পরিপুষ্টি লাভে সহায়তা করছে।
সেনাশাসক সিসিও ‘বিশেষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়’ নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য ‘গণতন্ত্রের ক্যাপসুল’ ব্যবহার করছেন। সে এক অদ্ভুত গণতন্ত্র। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এই বিশেষ প্রক্রিয়ার তীব্র নিন্দা করেছে। তবে শক্তিধর গণতান্ত্রিক দেশগুলো সিসির পক্ষে থাকায় তার তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তার বিরোধীদের যাঁতাকলে নিষ্পিষ্ট করার ক্ষেত্রে নির্মম পেষণতত্ত্ব কাজ করছে। সে অবস্থায় ‘ফ্রি ও ফেয়ার’ নির্বাচন অসম্ভব বিষয় বলে সংস্থাগুলো বলে আসছে। যেসব বিধিনিষেধ মিসরে প্রণীত হয়েছে, তাতে বিবেক ও মানসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকাই একটা সমস্যা, ভোট তো দূরের কথা।
মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার মানবাধিকার বিষয়ক পরিচালক মাইকেল পেজ বলেছেন, ২০১৩ সালের পর মিসরে বড় ধরনের ধস নামে। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকলেও বিরোধী দলের বিরুদ্ধে দমননীতি পরিচালিত হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে ৬০ হাজার মানুষকে জেলে ঢুকানো হয়েছে। জেলখানায় কয়েক শ’ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে।
নিজ পছন্দের ভোটের পর সিসি তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘খুব সুন্দর ভোট হয়েছে। মিসরের ইতিহাসে গর্বের গাঁথা হিসেবে এই কাহিনী লিপিবদ্ধ থাকবে।’ সাংবিধানিক এই পরিবর্তনের পর প্রেসিডেন্ট পদে তার চার বছরের মেয়াদ ছয় বছরে উন্নীত হয়েছে এবং তিনি আরো একবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন। এ অর্থ দাঁড়ায়, ২০৩০ সাল পর্যন্ত তিনি ক্ষমতার শীর্ষে থাকবেন। তার বশংবদরা বলেছেন, এই সব পরিবর্তন মিসরের স্থায়িত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সরকারপন্থী মিডিয়া, ব্যবসায়ী ও আইনজীবীরা সিসির পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দেয়ার জন্য কাজ করেছেন। ভোটারদের বশে আনার জন্য ‘বকশিশ’ ‘পুরস্কার’ ‘খাবারের প্যাকেট’ অকাতরে বিলি করা হয়েছে। ভোট না দিতে চাইলে দেখানো হয়েছে ভয়ভীতি। যেসব ওয়েবসাইট ‘না’ ভোট দেয়ার প্রচারণা চালায়, সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একটি নিরপেক্ষ দৈনিক পত্রিকা ওই সব সংবাদ প্রকাশ করেছে।
৯০ শতাংশ ভোটার সংবিধানের সংশোধনী আনার জন্য ভোট দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের মিসরীয় সংবিধান ৮৮.৮৩ শতাংশ ভোটে গৃহীত হয়েছে। গত এপ্রিলে পরিবর্তনের জন্য এবং দুটি ধারা সংযোজনের জন্য ওই ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। পরিবর্তনের মূল কথা হলোÑ প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর থেকে ছয় বছর করা। ফলে সিসি ২০২৪ সালে আরো এক মেয়াদের জন্য নির্বাচন করবেন। সংসদে বা সিনেটের অনুমোদনের জন্য সিসি চাইলেই এক-তৃতীয়াংশ সমর্থন যেকোনো সময় আদায় করতে পারেন। নতুন পরিবর্তনে সামরিক বাহিনীকে বিপুল ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এবং প্রেসিডেন্টকে বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ, বিচারক নিয়োগ ও তাদের পদোন্নতিÑ এসব ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সিসির পক্ষের লোকজন, সরকারি-আধাসরকারি যারা আছেন, মিডিয়া, ব্যবসায়ী, আইনপ্রণেতাদের মধ্যে সুবিধাভোগী গোষ্ঠীরা বলতে গেলে আনন্দোৎসব করে সিসিকে ভোট দেন। ভোটের আগে ও ভোটের দিন ‘হ্যাঁ’ ভোট দেয়ার জন্য জোর প্রচারণা, পছন্দমতো খাবার খাওয়া, গাড়ি করে বেড়ানোর জন্য ভোটারদের মনোহর কুপন দেয়া হয়। খাবারের ব্যাগে ভোজ্যতেল, পেস্তা, চিনি ও চা দেয়া হয়েছে। মিসরে খাবারের দামের ঊর্র্ধ্বগতির মধ্যে গরিব লোকজনের কাছে তাই এই ব্যাগ বেশ লোভনীয় প্রমাণ হয়েছে। লোকজনের অনেকে একটি ব্যাগের জন্য ভোটকেন্দ্রে গেছে। বিরোধী দলের যে দু-একজন রয়েছেন, তাদের গলার জোর বা রাজনৈতিক প্রতিপত্তি তেমন নেই। সংসদে ও বাইরে সিসির লোকজনের চিৎকারে বিরোধীরা তলিয়ে গেছেন। স্থানীয় মিডিয়াগুলো গরম পয়সার দাপটে সরকারবিরোধী কথা বলছে না। শত শত ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং নতুন ওয়েবসাইটের ওপর করা হচ্ছে নজরদারি।
২০১৩ সালে সামরিক ক্যুর পর এর নেতারা পরিশ্রম করছেন পুরো মিসরকে এক ধরনের ক্যান্টনমেন্টে রূপান্তর করার জন্য। একই সাথে সেনাবাহিনীতে প্রচুর লোক ভর্তি করা হয়। মানুষজন বেকারত্ব মোচনের জন্য, চাকরির আশায় এবং পরিবারের উন্নত ভরণপোষণের জন্য সেনাবাহিনীর চাকরিতে যোগদান করতে থাকে। এদের নিয়ে গঠিত হয়েছে, ‘সাকা ফোর্স’ যাকে থান্ডারবোল্ট ফোর্স নামেও ডাকা হয়। ওই বাহিনীর মাধ্যমে সিসি জনগণকে ডাণ্ডাপেটা করছেন।
গত মে মাসে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সেনাবাহিনীকে সহায়তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে। সন্ত্রাস দমন, যার পোশাকি নাম ‘কাউন্টার টেররিজম’-এর নামে অহরহ অভিযান চালানো হচ্ছে। এর ফলে সিনাই এলাকায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। সিনাই নিয়ে মিসর-ইসরাইলের বড় পরিকল্পনা আছে। সিনাইয়ে সন্ত্রাস দমনে উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আমেরিকার তৈরি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার ব্যবহার করে মিসরের সেনাবাহিনী মেক্সিকান ট্যুরিস্টদের গুলি করেছে। অ্যামনেস্টি জানায়, গত জুন মাসে বেপরোয়া গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিছু সেক্যুলারপন্থী লোক ও একজন সাবেক এমপিকে জেলে ঢুকানো হয়েছে। মানবসেবার কোনো আচরণ সেনাবাহিনীতে এখন অবশিষ্ট নেই। প্রভুদের খুশি রাখার জন্য মিসরের সেনাবাহিনী যেন নির্যাতনের রেকর্ড করতে চায়। সিসিকে এখন সমালোচকরা বলছেন ‘২ নং মোবারক’। বাস্তবে মোবারকের আমলের নির্যাতনকেও ছাড়িয়ে গেছেন সিসি।
সামরিক বাহিনীর কাজ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার সাথে সম্পৃক্ত। সেনাবাহিনী যখন রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে সিভিল ইনস্টিটিউশনের কাজ করে, তখন সবসময় সুফল আসে না। এটা নির্ভর করে সেনাবাহিনীর নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের ওপর। অতীতে শাসক মোহাম্মদ আলীর সময় মিসরের সেনাবাহিনী যথেষ্ট উন্নতি করলেও তার মৃত্যুর পর জনগণের বিরাট ঋণের বোঝা পরবর্তী সরকারকে টানতে হয়েছে। আমাদের অবশ্যই অসামরিক সরকারের অধীনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং সামরিক বাহিনীর অধীনে জনগণের রাজনৈতিক জীবনধারার মধ্যে ফারাকটা বুঝতে হবে। ব্রিটিশরা ১৮৮২ সালের পরও মিসরে থেকে যায় নিজেদের বিনিয়োগ তুলে নেয়ার জন্য। ব্রিটিশ দখলদারিত্বের সময় বিনিয়োগ বাড়ে, সুদের হার কমে ও বন্ড প্রাইস বেড়ে যায়। অনেকে মনে করেন ব্রিটিশদের চাপ মিসরে মূলত কোনো উপকারে আসেনি, বরং নতুন নতুন সঙ্কটের জন্ম দিয়েছে। এই ধারা পরবর্তী সামরিক শাসকরাও রপ্ত করতে শেখেন। ব্রিটিশ সরকার প্রচার করেছিল, মিসরে তাদের সেনাদের অবস্থান অল্প ক’দিনের জন্য। মিসরের অর্থনীতির উদ্ধার, জাতীয়তাবাদী চেতনাধারীদের কাছ থেকে মিসরের রাজনীতি ‘নিরাপদে’ রাখা কিংবা বিদ্রোহ দমন করার পর ব্রিটিশরা মিসর ছাড়াবে। দেড় শ’ বছরের সে ডকট্রিন এখনো জীবিত। এখনো একই ধারায় সেনাবাহিনীর কাছে তা লালিত হচ্ছে। ইম্পেরিয়াল ব্রিটিশ শাসনে জনগণের কোনো তোয়াক্কা করা হয়নি এবং এখনো সেনা শাসনে জনগণ মিসরে কোনো বিষয় নয়। জামাল আবদেল নাসেরের মৃত্যুর পরও জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কোনো ভিত্তি তৈরি হয়নি। ফলে মিসরের রাষ্ট্রব্যবস্থার অবনতি ঘটে। এদিকে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র একনায়কতন্ত্রের সহায়তা হিসেবে নানা কর্মসূচি দিতে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্র মিসরের সেনাবাহিনীকে বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন মনে করে, মিসরের সেনাবাহিনীকে সামরিক সহায়তা দেয়া অনেকটা তার কর্তব্যের পর্যায়ে। ১৯৭০ থেকে যুক্তরাষ্ট্র মিসরকে বিশেষ সহায়ত দিয়ে আসছে, বিশেষত মিসর-ইসরাইল শান্তি চুক্তির আওতায়। ক্যাম্প ডেভিডে এর বীজ বপন করা হয়েছিল। ১৯৪৬ থেকে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র মিসরকে ৮৩ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে বিদেশী সহায়তা হিসেবে। শুধু ২০১৯ সালেই মিসরকে ১.৩০৭ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এত সাহায্য সত্ত্বেও ২০১৩ সালের সহিংসতা রোধে ওয়াশিংটন কিছু করেনি, বরং সৌদি আরব ও আমিরাত তখন এতে সরাসরি সহায়তা করে মর্মে জানা যায়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেক্রেটারি অব স্টেট জন কেরি বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের’ প্রক্রিয়া চলছে। আসলে তা ছিল গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্র হত্যার জন্য মিসরের সেনাবাহিনীর এক নারকীয় অভিযান।
বিশ্বকে দেখানোর জন্য ফরেন অ্যাসিস্টেন্স অ্যাক্টের আওতায় কিছু সহায়তা বন্ধ করা হয়েছে মর্মে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা ২০১৩ সালের ৩ জুলাই সংঘটিত সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলকে ক্যু হিসেবে আখ্যায়িত করেননি। এর পরই মিসরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হতে থাকে। ওবামা বলেছিলেন, ‘মুরসি সরকারের কার্যক্রম সব মিসরবাসীর বক্তব্যের প্রতিফলন নয়।’ এমনকি ভয়াবহ রাবা হত্যাযজ্ঞের পরও ওবামা সরকার মিসরের সেনাবাহিনীর জন্য সহায়তা কর্তন করেনি। অবশ্য বিশ্বকে দেখানোর জন্য মাত্র কয়েক মিলিয়ন ডলার স্থগিত করা হয়। এরপরও মিসর ২০১৩ সালে ১.২ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১৪ সালে ১.৩ বিলিয়ন সহায়তা পেয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কখনো মনোমালিন্য শুরু হলে মিসরে দুর্দিন নামতে পারে। সেনাবাহিনীর অস্ত্রের যেন কোনো ঘাটতি সৃষ্টি না হয়, তাই সিসি ফ্রান্স ও রাশিয়া থেকেও বিপুল অস্ত্র কিনছেন। যদি কোনো সমস্যা হয়েই যায়, সিসি আমেরিকার অস্ত্র বাদ দিয়ে রাশিয়ার অস্ত্রে সেনাবাহিনীকে সজ্জিত করতে প্রস্তুত।
সংবিধান পরিবর্তন করে সিসি ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্বিঘেœ বিশেষ ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়’ ক্ষমতায় থাকছেন। তখন তার বয়স হবে ৮০ বছরের বেশি। মিসরীয়দের গড় আয়ু ৭১.৪৮ বছর। সিসি হিসাব করেই ক্ষমতায় থাকার সময় ঠিক করেছেন। তখন তার স্বাস্থ্য ভালো থাকলে হয়তো আরো কিছুদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য নিয়ন্ত্রিত ভোটের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেবেন। ইতিহাসে দেখা যায়, নিপীড়ক শাসকরা অন্যদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না। আবদেল ফাত্তাহ সিসি সাবেক স্বৈরাচারী মুবারকের মতোই পথ চলে ‘২ নং মুবারক’ নাম পেয়েছেন। বিরোধী দলকে হত্যা ও নিঃশেষ করে চলছেন যাতে তার সিংহাসন নিরাপদ থাকে। এমনকি, ফেরাউনের দরবারে যুক্তি, বুদ্ধিবৃত্তি ও ন্যায়বিচার কাজ করত, কিন্তু সিসির দরবারে সেগুলোও নেই। সিংহাসন নিষ্কণ্টক করার জন্য শিশু মূসা আ: যাতে বাঁচতে না পারেন, সে জন্য ফেরাউনের সৈন্যরা মাসব্যাপী হাজার হাজার শিশুকে হত্যা করেছিল। কিন্তু ফেরাউনের ঘরেই মূসা আ: শিশু অবস্থা থেকে লালিত-পালিত হয়ে যৌবনে পৌঁছে ফেরাউনের সেনাবাহিনীর অধিনায়কে পরিণত হয়েছিলেন। ইতিহাসের এই ঘটনা মিসরের শাসকদের মনে থাকার কথা। হ
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ
সরকার ও গ্রন্থকার

 


আরো সংবাদ



premium cement