২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দৃষ্টিপাত : পড়ালেখায় ভাটা

-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাঙ্গনে পড়ালেখায় বাধা দেয়া হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের প্রথম কয়েক মাস পড়ালেখা থেকে দূরে রাখা হয়। তাদের রিডিং রুমে পড়তে দেয়া হয় না। বিশেষ করে স্যার এফ রহমান হলে এখনো রিডিং রুমে পড়ালেখার সুযোগ দেয়া হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর ছেলেদের রাতে পড়তে দেয়া হয় না। গেস্ট রুমের নাম করে সারা রাত বসিয়ে রেখে সময় নষ্ট করা হয়। প্রথম দিকের এ অবস্থা দেখেই তারা পড়ালেখায় উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। ওদের শিক্ষাঙ্গনে সব সময় ভয়ের সাথে থাকতে হয়। ‘সালাম’ নামের যে পদ্ধতি তার মধ্যে সালামের যে মূল শিক্ষা, তার কিছুই নেই। বরং এটা রাজনৈতিক গোলামির শিকলে বাঁধার একটা প্রক্রিয়া। যে বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের কর্ণধার মনে করা হয়, সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার এত দুর্গতি হলে দেশের অবস্থা কী হবে তা বিরাজমান পরিস্থিতি লক্ষ করলেই বোঝা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক সময় রাতে দেরিতে ঘুমানোর কারণে সকালের ক্লাস করা থেকে বঞ্চিত হয়। এমনকি রাত দেড়টা-দুইটার দিকে সামান্য কারণেও ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন স্বায়ত্তশাসিত হওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অবস্থাও ‘স্বায়ত্তশাসিত’ হয়ে গেছে। দলীয় প্রোগ্রামের কারণে ছেলেদের ক্লাস মিস করতে বাধ্য করা হয়। হলের প্রভোস্টরাও যেন এ ক্ষেত্রে কিছু বলার অধিকার রাখেন না। তারা শুধু বিভিন্ন কাগজপত্রের স্বাক্ষর দেয়ার জন্য দায়িত্বে আছেন বলে মনে হয়। তারা অন্য কোনো কাজেই অংশ নিতে পারেন না। কয়েকটি হল ছাড়া সব হলেই রিডিং রুমে যথেষ্ট সিটের অভাব রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এগুলো দেখার মতো বর্তমানে কেউ আছে বলে মনে হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, বিশ্ব এগিয়ে যাওয়ার বর্তমান সময়ে যদি এ বিষয়গুলোর প্রতি সুনজর দেয়া না হয়, পড়ালেখার পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হবে। একটি দেশের মানদণ্ড দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ওপর নির্ভর করে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্থানে যদি এগুলো ঠিক না করা হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছু দিন পরই জ্ঞানী-গুণী ছাত্র পাওয়া মুশকিল হবে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।
মু. হামিদুর রশিদ জামিল
আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


আরো সংবাদ



premium cement