২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ম র ণ : সুফি জুলফিকার হায়দার

-

কবি সুফি জুলফিকার হায়দারের জন্ম বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ভাতুরিয়া গ্রামে ১৪ অগ্রহায়ণ ১৩০৬ বঙ্গাব্দে (১৮৯৯)। স্থানীয় শিবপুর মাইনর স্কুল থেকে মধ্য ইংরেজি পরীক্ষায় পাস করে বিদ্যাকোট উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি ম্যাট্রিক পরীক্ষার কিছু দিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে কলকাতায় চলে যান ১৯১৭ সালে। অতঃপর সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। বোম্বাইয়ে ট্রেনিং গ্রহণের পর প্রথম মহাযুদ্ধে (১৯১৪-১৯১৮) অংশগ্রহণের জন্য গেলেন বাগদাদ। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বাগদাদে ব্রিটিশ বাহিনী ভেঙে দেয়া হলে কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন। এরপর ব্রিটিশ মালিকানাধীন ম্যাকিনন ম্যাকেঞ্জি অ্যান্ড কোম্পানিতে ট্রাভেলিং সুপারভাইজার পদে চাকরি নেন। কার্যোপলক্ষে উপমহাদেশের বিভিন্ন শহর, মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশ এবং শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমার ভ্রমণ করেন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের তিনি ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। ১৯৪২ সালের ১০ জুলাই কবি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে জুলফিকার হায়দার রুগ্ণ কবির চিকিৎসা এবং তার পরিবার-পরিজন দেখাশোনার দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি কলকাতা ত্যাগ করে ঢাকায় চলে আসেন।
একপর্যায়ে আধ্যাত্মিক সাধনায় সুদীর্ঘ চৌদ্দ বছর নিয়োজিত থাকার পর ১৯৬২ সালে সমাজজীবনে প্রত্যাবর্তন করেন জুলফিকার হায়দার। চট্টগ্রামের শাহ সুফি মাওলানা অলি আহমদ নিজামপুরী পীর সাহেবের কাছে থেকে ‘সুফি’ আখ্যা লাভ করেন তিনি। মুসলিম জাতীয়তাবাদী ভাবাদর্শের প্রতি গভীর অনুরাগ পোষণ করতেন। ‘রবীন্দ্রসঙ্গীত পাকিস্তানের আদর্শের পরিপন্থী’Ñ এ বক্তব্য উপস্থাপন করে পাকিস্তান সরকার রেডিও ও টেলিভিশন থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে (জুন, ১৯৬৭) সরকারের সে পদক্ষেপের প্রতি আরো অনেকের সাথে তিনিও সমর্থন জ্ঞাপন করেন।
জুলফিকার হায়দার একজন বিশিষ্ট কবি এবং কাব্যসাধনার দিক থেকে নজরুলের ভাবশিষ্য। সামাজিক অন্যায়-অবিচার ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ তার কবিতায় রূপায়িত হয়েছে।
ইসলামী আদর্শের রূপায়ণ তার কবিতার অপর গুণ। ভাঙ্গা তলোয়ার (১৯৪৫), ফের বানাও মুসলমান (১৯৫৯), বিপ্লব বিপ্লব দ্বিতীয় বিপ্লব (১৯৭৫) প্রভৃতি সুফি জুলফিকার হায়দারের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। নজরুল গবেষণায় এবং নজরুলবিষয়ক স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ রচনায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তার রচিত নজরুল জীবনের শেষ অধ্যায় (১৯৬৪) গ্রন্থখানি নজরুলের জীবনীসংক্রান্ত গ্রন্থগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রচনা। নজরুল প্রতিভার পরিচয় ও জাতীয় কবি নজরুল তার অপর দু’খানি নজরুলবিষয়ক গ্রন্থ। পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ‘সিতারা-ই-খিদমত’ উপাধি, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘একুশের পদক’ (১৯৭৮) ও নজরুল ইনস্টিটিউট কর্তৃক ‘নজরুল স্মৃতি পুরস্কারে’ (১৯৮৫) ভূষিত হয়েছিলেন। ইন্তেকাল করেন ঢাকায় ২৩ এপ্রিল, ১৯৮৭ সালে। হ


আরো সংবাদ



premium cement
দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত তেঁতুলিয়া নদীর তীরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার নওগাঁ সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত বান্দরবানে কেএনএফের তৎপরতার প্রতিবাদে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

সকল