২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দৃষ্টিপাত : পয়লা বৈশাখের আনন্দ : কিছু কথা

-

যেমন পয়লা বৈশাখের আনন্দ-উল্লাসের শেষ নেই, তেমনি এ উৎসব নিয়ে রয়েছে নানা কথা। ‘ডিএমপির’ বিধিনিষেধ, শৃঙ্খলার জন্য বিধিনিষেধ মানতেই হবে, না হয় বিপদ অনিবার্য। এ দিকে অজ্ঞতার কারণে অর্থহীন বিষয়কেও সাদরে আমন্ত্রণ জানানো হয়। যাচাই করে উন্নত পন্থা চালু হলে উৎসবটি আরো সার্থক ও সর্বজনীন হবে।
সম্রাট আকবরের খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে পয়লা বৈশাখ সূচিত। অসাম্প্রদায়িক দাবি করা হোক না হোক কোনো মুসলমান আসলে ইসলামবিরোধী কাজ করতে পারেন না। তাদের বিবেচনা করতে হয় কুরআন এবং সুন্নাহ দিয়ে। অপর পক্ষে, মুসলিম অমুসলিম সবার জন্যই নববর্ষের উৎসব যেন স্বস্তিকর ও গ্রহণীয় হয়, সেটাও দেখতে হবে। বর্তমান আচারে মুসলমানদের ধর্মনিষ্ঠ কিছু আপত্তি আছে। এর আধুনিকায়ন করলে সমাধান হয়ে যায়।
আকবর নিজ মর্জিমতো ‘দ্বীনে এলাহি’ প্রবর্তন করায় মুজাদ্দিদে আলফেসানি রহ: তার বিরুদ্ধে কঠোর সংগ্রাম করেছিলেন। আকবরের চেয়ে আরো অনেক বেশি প্রজাবৎসল সম্রাট ছিলেন, তারা ‘গ্রেট’ হতে পারেননি। নিঃসন্দেহে বলা যায়, পয়লা বৈশাখে কিছু আনন্দ উল্লাস করা মানে, আকবরের ‘দ্বীনে এলাহি’র অনুসারী হয়ে যাওয়া নয়। সারা বছরের বিড়ম্বনার মধ্যে একদিন যদি আনন্দ করা যায়, তবে শরীর ও মনে বড় ধরনের স্বস্তি আসে। পয়লা বৈশাখের দিনটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এখন প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দিনটিকে বিতর্কমুক্ত করা হোক। যথেচ্ছভাবে উৎসব পালন করলে তা কল্যাণে পথে বাধা হতে পারে। বছরের প্রথম দিন উদযাপন অনেক দেশেই হয়। এটা মনে করা অনুচিত যে, প্রথম দিন ভালো খেলে, ভালো থাকলে, সারা বছর ভালো যাবে। না হয় খারাপ যাবে। অবাধে মেলামেশা, আপত্তিকর চলাফেরা, যা নারী নির্যাতনকে উসকিয়ে দেয়, এটি মুসলিম-অমুসলিম কেউই আশা করেন না। যেসব ছবি নিয়ে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ করা হয় এগুলোর মঙ্গল বা অমঙ্গল করার কোনো ক্ষমতা আছে কি? এ ক্ষেত্রে অপ্রাণীর ছবি কি ব্যবহার করা যায় না।
এ কে এম সিদ্দিক উল্লাহ
৩৯৫, কনকর্ড, মাতুয়াইল, ডেমরা, ঢাকা

 


আরো সংবাদ



premium cement