২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এক সূত্রে গাঁথা সব সংস্কৃতি ও ভাষা

-

টিভি সংবাদে বলা হলো সৈয়দ আশরাফ ‘মারা’ গেছেন। কানে লাগল ‘মারা গেছেন’ কথাটা। মানুষের মৃত্যুর ক্ষেত্রে সাধারণত ‘ইন্তেকাল’ করেছেন বা ‘পরলোক গমন’ করেছেন বলা হয়। এর মধ্যে ‘পরলোক গমন করেছেন’ কথাটি বেশি শুনেছি বলে মনে হয়। সম্ভবত ‘পরলোক গমন’ কথাটা অধিক ব্যবহৃত হয়ে থাকবে আমাদের মিডিয়াতে। এটা ‘সেক্যুলার’ থাকার চেষ্টা হতে পারে। কিন্তু সেটিও বাদ দিয়ে বলা হচ্ছে ‘মারা গেছেন’। ধারণা হতে পারে, পরকাল বলে কিছু নেই বোঝাতেই এটা করা হচ্ছে এবং অতি সচেতনভাবেই। হয়তো নাস্তিকতা এখন বেশ ভালোভাবেই গেড়ে বসেছে আমাদের জাতীয় জীবনে। এমন দুনিয়াদারি সর্বস্ব জীবনের কথা আমাদের বিদগ্ধ কিছু বুদ্ধিজীবী বলে আসছিলেন বহু দিন ধরে। তারা নিজেদের ‘সব ধর্মের ঊর্ধ্বে’ গণ্য করে থাকেন। তাই গণ-মানুষকেও তারা নিতে চান ধর্ম পরিচয়ের বাইরে। অনেকের মতে, সৈয়দ আশরাফও ছিলেন তাদের একজন। তার কোনো রাখঢাক ছিল না। তিনি প্রকাশ্যেই নিজেকে মুসলিম বা হিন্দু কোনোটাই নন বলে ঘোষণা করেছিলেন। সে কারণেই কি তার মৃত্যুকে ‘মারা গেছেন’ বলে প্রচার করা হয়েছে। অর্থাৎ এদের ধারণা মতে, মরণের পর তিনি মিলিয়ে গেছেন মাটির সাথে, শেষ হয়ে গেছে তার জীবন। তাকে আর দেখা যাবে না কখনো, কোথাও।
বস্তুত মাটির সাথে চিরতরে মিশে যাওয়ার বস্তুগত ধারণা সাধারণভাবে পশু-পাখিসহ প্রাণীর জন্য প্রযোজ্য বলে ভাবা হয়। মানুষের জন্যে ‘পরলোক গমন’ আর পশু-পাখির ক্ষেত্রে ‘মারা যাওয়া’র এই বিষয়গুলো জগতের সৃষ্টিকালীন বিধিবিধান তথা ইউনিভার্সাল পলিসির অন্তর্ভুক্ত। সে অনুযায়ী মৃত্যুর পর মানুষকে অবশ্যই শুরু করতে হবে আরেক জীবন। কিন্তু পশু-পাখিরা মরণের পর মিলিয়ে যাবে মাটির সাথে, তাদের জন্যে থাকবে না কোনো হিসাব-নিকাশ অথবা অন্য পরবর্তী জীবনের ঠিকানা। সৃষ্টির শুরু থেকেই পরম স্রষ্টা মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর এই পলিসির কথা বলে এসেছেন তাঁর নির্বাচিত ধর্ম পবিত্র ইসলামের মাধ্যমে। তাই এ ধারণাকে পাল্টানো নিতান্তই অসম্ভব। সে কারণেই মানুষের মৃত্যুকে নেহায়েত ‘মারা গেছেন’ বলা খুবই অযৌক্তিক ও অনৈতিক। সে চেষ্টা করা হলে অবশ্যই প্রশ্ন উঠবে, কেন সম্মানিত মানুষকে এভাবে অবমানিত করা হচ্ছে। বস্তুত অযৌক্তিক অবিশ্বাসের সাথে জড়িয়ে গেলে মানুষ নিজেকে নিজেই যে কিভাবে পদে পদে অপদস্থ করতে থাকবে, এটা তারই প্রমাণ। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্বের কোনো সম্মানই তার আর তখন অবশিষ্ট থাকে না।
পৃথিবীর হাজার হাজার প্রজাতির পশু-পাখির ভাষা যেমন তাদের নিজেদের সৃষ্টি নয়, তেমনি আমাদের মুখের ভাষাও আসলে আমাদের তৈরি করা নয়। এমনকি আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী তা বিকশিত হয় না। হিব্রুর মতো সুবিখ্যাত ভাষা এখনো মৃতপ্রায়। ইসরাইলের সর্বাত্মক দাপটের পরও সেটিকে আর যেন টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। অথচ পশু-পাখিদের ভাষাগুলো চেষ্টা-তদবির ছাড়াই দুনিয়াজুড়ে টিকে আছে সৃষ্টির আদি থেকে একইভাবে। যে ঘুঘুটা দিনরাত ডেকে ডেকে আমাদের লস এঞ্জেলেসের পাড়াটাকে সম্মোহিত করে রাখে তার সেই স্বর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামের ঘুঘুদের মতো একই, যদিও তারা কখনো দেখেনি একে অন্যকে। এটা প্রমাণ করে যে, ভাষা হলো বিশ্বজনীন মহা ব্যবস্থাপনারই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ যা সর্ব স্রষ্টা কর্তৃক সৃষ্ট ও নিয়ন্ত্রিত। এটা খাদ্যশস্য উৎপাদন অথবা জামাকাপড় তৈরির মতোই একটা বিশ্বজনীন প্রক্রিয়ার বিষয়। মানুষের গড়া দেশ, রাজত্ব বা জাতীয়তার সীমানা মেনে মাঠের ফসল উৎপন্ন হয় না। এ জন্য প্রয়োজনীয় মাটি-পানি বা জলবায়ু মূলত বিশ্বসম্পদ। সেগুলোর সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটলে পাল্টে যায় ফলনের অঞ্চল। আবার পরনের কাপড় তৈরি করতেও দরকার হয় বিভিন্ন অঞ্চলের তুলা, সুতা, রং, যন্ত্রপাতি ও কারিগর। একইভাবে মানুষের ভাষাগুলো এমন নয় যা কি না অন্য ভাষার সাহায্য ছাড়া এককভাবে চলতে পারে।
বাংলা ভাষার টেবিল, চেয়ার, ফরাস বা কোর্ট-কাচারির মতো শব্দগুলো আসলে বিদেশী শব্দ। যখন বলা হয় ‘আওয়ামী লীগের মালেক সাহেব হাইকোর্টের উকিল ছিলেন’, তখন সেখানে শুধু ‘ছিলেন’ শব্দটা ছাড়া অন্য সবই বিদেশী শব্দ। হাইকোর্টকে বাংলা করতে যে ‘আদালত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় সেটাও বিদেশী শব্দ। আরবি ‘আদল’ বা ‘আদিল’ই হলো ‘আদালত’ শব্দের মূল। ইংরেজি ‘আপিল’ শব্দটাও আসলে এই ‘আদিল’-এরই ভিন দেশী উচ্চারণ মাত্র। আমেরিকার ভাষাগুলোতেও রয়েছে বিশ্বজনীন আন্তঃমিল। আমাদের অঞ্চলের পারিবারিক উপাধি ‘হক’ নেটিভ আমেরিকান ইন্ডিয়ানরাও ব্যবহার করে থাকে তাদের উপাধি হিসেবে। তাদের ‘হক’ (Hawk)-এর বানান ভিন্ন হলেও উচ্চারণ এক। ‘হক’-ও খাঁটি আরবি শব্দ। এভাবে খোঁজ করলে দেখা যাবে, বিশ্বের কোনো ভাষারই বস্তুত সামর্থ্য নেই এককভাবে বেঁচে থাকার। তবে আরবি বোধ করি একমাত্র ভাষা যার রয়েছে এককভাবে টিকে থাকার অনন্য শক্তি। এ থেকে ধারণা করা যায়, এটি সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ভাষা এবং বিশ্বের অন্য সব ভাষার উৎপত্তি হয়তো আরবি থেকে। যা হোক, অতি আবেগে জাত্যাভিমানের ধাক্কায় আরবি-ফারসি-ইংরেজি শব্দগুলোকে ঝেঁটিয়ে বের করতে গেলে সম্ভবত আমাদের প্রিয় বাংলা ভাষাকেই দরিদ্র করে ফেলব চিরতরে। লোম বাছতে কম্বল খোয়ানোর মতো পরিস্থিতি কারোই কাম্য নয়।
ভাষার মতো বিভিন্ন দেশের বিবিধ সংস্কৃতিও গড়ে উঠেছে বস্তুত সৃষ্টির পরম সত্যগুলোর একক কাঠামোর ওপর। তাই সব সংস্কৃতির মধ্যেই দেখা যায় সার্বজনীন সত্যগুলোর আন্তঃমিল। পাপ-পুণ্য, ইহকাল-পরকাল, স্বর্গ-মর্ত্য, গুরু-শিষ্য কিংবা আল্লাহ-খোদা, বিধাতা বা শান্তি হলো সেসব চিরন্তন সত্যভিত্তিক আন্তঃমিলেরই উদাহরণ। কিন্তু অতি জাতীয়তাবাদীরা নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির ধুয়া তুলে প্রথমেই বাদ দেয়ার চেষ্টা করেন বিশ্বজনীন সত্যগুলোকে। এ গুলোকে তারা গুলিয়ে ফেলেন অন্যান্য মেকি বা ধারণাভিত্তিক বিষয়ের সাথে। বাদশাহ আকবরের দ্বীন-ই-ইলাহি ছিল সে রকম উদ্ভট উদাহরণ। কিন্তু নিখাদ সত্য ছাড়া কোনো কিছুই টিকতে পারে না এই মহা বিশ্বে। তাই দ্বীন-ই-ইলাহি টেকেনি। অতিমাত্রিক জাতীয়তাবাদও হালে পানি পায় না কখনোই। তারপরও মাত্রারিক্ত জাতীয়তাবাদী চেতনা নিয়মিতই হানা দেয় দেশে দেশে। তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক কিংবা ইরানের রেজা শাহ পাহলভীরা ছিলেন সে রকম অতি জাতীয়তাবাদী। কথিত আধুনিক সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধুয়া তুলে তারা বস্তুত অস্বীকার করতে চেয়েছিলেন পারস্পরিক লেনদেনের সহজাত ও সদা চলমান বিশ্বজনীন নিয়ম-পদ্ধতি। রীতিমতো যেন যুদ্ধ করেছিলেন সেগুলোর সাথে নিজেদের আলাদা ও অমুখাপেক্ষী জাতিসত্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। বিশেষ করে, কামাল আতাতুর্কের কারিশমা ছিল চোখে পড়ার মতো। তার অতি চটকদার জাতীয়তাবাদ আলোড়ন তুলেছিল বিশ্বজুড়ে। তাদের সেই চমক শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হয়েছে নিতান্তই মরীচিকা হিসেবে।
উগ্র জাতীয়তাবাদী উন্মাদনার এ সময়ের শিরোমণি উত্তর কোরিয়া। বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এ দেশের মানুষের কথা ভাবতে গেলে গা শিউরে ওঠে। একসময় জাপানের অবস্থাও ছিল এমনই। দীর্ঘ চার শ’ বছর জাপান বিচ্ছিন্ন ছিল বহির্বিশ্ব থেকে। ভাষা ও সংস্কৃতিকে তারা এতটাই সুরক্ষিত রেখেছিল যে, সেগুলোকে এখন আর সবার জন্যে গ্রহণযোগ্য করা যাচ্ছে না। সেই ক্ষতি এখনো তারা বয়ে চলেছে। বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে তাদের ভাষাই এখন প্রধান প্রতিবন্ধক। তাদের কালচারও এতটাই দুরূহ যে, দেশের বাইরে জাপানিরা সাধারণত বেশি দিন থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা শুরু করেছেন নব্বইয়ের দশক থেকে। এ সময় তারা বিদেশী ছাত্রদের ব্যাপক হারে টানতে শুরু করেন স্কলারশিপ দিয়ে, ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের আদলে চালু হলো জনপ্রিয় জে-লিগ এবং দেশব্যাপী পাবলিক প্লেসের সাইনবোর্ডগুলোতে শুরু করা হলো ইংরেজি সাব-টাইটেল লিখার চর্চা। তারপরও বিশ্বায়নের পথে তারা এখনো আমেরিকা, ব্রিটেন বা কানাডার চেয়ে বহু দূরে। ফ্রান্স ও জার্মানিও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে আমেরিকা ও ব্রিটেনের থেকে।
বস্তুত আমেরিকা, কানাডা ও ব্রিটেনের মতো যারা যত তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করেছেন বিশ্বজনীন ভাষা ও সংস্কৃতির স্বাভাবিক প্রবাহের সাথে তাল মিলিয়ে চলার আবশ্যকতা, তারাই লাভবান হয়েছেন তত বেশি। এই দেশগুলো জগতের সৃষ্টিগত চিরন্তন সত্যগুলোকে জানে ও মানে এবং লালনও করে থাকে। তাই তারা তাদের জাতিসত্তা গড়েছে বিশ্বের সবাইকে নিয়ে। সবার সব সত্য মত ও পথই হলো তাদের জাতীয়তার ভিত্তি। আর এ কারণেই হলিউডের মতো মনোহারী গণমাধ্যমের সরব উপস্থিতির পরও অসুস্থ সংস্কৃতি এখানে এখনো সর্বগ্রাসী হয়ে উঠতে পারেনি। নাস্তিকতার মিথ্যাচারও পেরে ওঠে না সত্যনিষ্ঠ সংস্কৃতিগুলোর শক্ত অবস্থানের কারণে। সে জন্যই যুক্তরাষ্ট্রে মক্কা, গুরু, শরিফ, কর্ম-কারমা বা আভাটারের মতো শত-সহস্র বিদেশী শব্দ মূলধারার মিডিয়া ও সাহিত্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে নির্দ্বিধায় ও নিয়মিত। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না অথবা হীনম্মন্যতায় ভোগে না বরং আরো সমৃদ্ধ হয় প্রতিদিন। জগতের সব ভাব ও ভাষার মধ্যে এমন সতত আদান-প্রদান এবং সংযোজন-বিয়োজনের ধারাবাহিক প্রবাহই মানব সংস্কৃতির মূল কাঠামো। পরম সত্যগুলোই শুধু শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে মূল কাঠামোতে। অসত্য ও অসুস্থ চেতনা বা ধারণা সেখানে ক্ষণে ক্ষণে হানা দেয় ঠিকই, কিন্তু শেষতক ঝরে পড়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এ কারণেই মানুষের সব ভাষা ও সংস্কৃতিতে দেখা যায় পরম সত্যগুলোর সার্বজনীন স্বীকৃতি ও উপস্থিতি। এটা বস্তুত মুসলিম ধারা, যা ইসলামের চিরন্তন ও প্রাকৃতিক ধর্ম হওয়ার অন্যতম অকাট্য প্রমাণও বটে।
সাংস্কৃতিক বিবর্তনের এই প্রক্রিয়া উপর থেকে চাপিয়ে দেয়া যায় না। জোর করে থামিয়েও দেয়া যায় না। তেমন চেষ্টা খুব ক্ষতিকর। হিন্দির প্রতি আমাদের বিরূপ মনোভাব তার সেরা উদাহরণ। এটাকে আমাদের উপর চাপানোর প্রয়াস বহু দিনের। ঘরে ঘরে হিন্দিসহ ভিনদেশী সিরিয়াল ঢুকানো হয়েছে সে লক্ষ্যেই। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো, মানুষের বিরক্তি বেড়েছে আরো। মুখ ঘুরিয়ে মানুষ এখন ছুটছে প্রকৃত সত্য ও শান্তির সন্ধানে। কুরআনের ছায়ায় খুঁজে পাচ্ছে সেই সুখ আর হিজাবে পাচ্ছে নিরাপত্তা। তাই দেশজুড়ে ঘটে চলেছে কুরআনি শিক্ষা আর হিজাব বিপ্লব। অতএব সেক্যুলারিজমের মোড়কে নাস্তিকতাকে চাপিয়ে দেয়া সম্ভব হবে না। ভাষা ও সংস্কৃতির স্বাভাবিক সত্যনিষ্ঠ বিবর্তনের পথে বাধা সৃষ্টির চেষ্টাও কখনো সফল হবে না। কোনো মুসলিমপ্রধান দেশে অন্তত এটা কাম্য হতে পারে না। এ রকম বাস্তবতাবর্জিত জাত্যাভিমান নিয়ে যে আল্লাহর দুনিয়ায় টিকে থাকা যায় না; তা মুসলমানদের চেয়ে অন্য কারো বেশি জানার কথা নয়। হ
লেখকের বই পেতে : Search ÔMainul AhsanÕ at Ôamazon.com


আরো সংবাদ



premium cement
ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি তীব্র গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সকল