২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ম র ণ : হাকীম হাবীবুর রহমান

-

আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি। উপমহাদেশ খ্যাত চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ এবং ঢাকার কৃতী সন্তান হাকীম হাবীবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৪৭ সালের এ দিনে তিনি ৬৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ১৮৮১ সালের ২৩ মার্চ ঢাকার ছোট কাটরা মহল্লার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে হাবীবুর রহমানের জন্ম। তার বাবা ছিলেন বর্তমান পাকিস্তানের সীমান্ত প্রদেশের পাঠান। কার্যোপলক্ষে তিনি ঢাকায় এসে এখানেই বসতি স্থাপন করেন। তাদের বংশ পদবি ‘আখুনজাদা’।
হাবীবুর রহমানের প্রাথমিক শিক্ষা বাড়িতেই। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই তিনি উত্তর ভারতের কানপুর গিয়ে সেখানে দারুল উলুম মাদরাসায় ভর্তি হন। ওই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন শেষে লক্ষেèৗতে প্রসিদ্ধ ইউনানি চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ হাকীম আগা হুসাইন এবং দিল্লিতে হাকীম আবদুল মজীদের কাছে উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করেছিলেন। ১৮৯৯ সালে যান আগ্রায়। সেখানেও অধ্যয়ন করেন ইউনানি চিকিৎসা বিষয়ে। এভাবে বছরের পর বছর এ বিষয়ে পড়াশোনা করে ঢাকায় ফিরে এসে ১৯০৪ সালে আত্মনিয়োগ করেন চিকিৎসা পেশায়। ১৯৩০ সালে হাবীবুর রহমান তিব্বিয়া হাবিবিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। আজো এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা লাভ করে প্রতি বছর অনেক ইউনানি চিকিৎসক বেরিয়ে আসছেন। বিশেষত পূর্ববঙ্গের মানুষকে চিকিৎসাসেবা প্রদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৯ সালে তাকে শেফাউল মুলক বা দেশসেরা চিকিৎসক খেতাবে ভূষিত করে। চিকিৎসা, রাজনীতি ও সমাজকর্মের ব্যস্ত জীবনেও হাবীবুর রহমান সাহিত্যচর্চায় কম সাধনা ও মেধার পরিচয় দেননি। লিখেছেন প্রচুর। ১৯০৬ সালে প্রকাশ করেন ঢাকার প্রথম উর্দু মাসিকপত্র আল মাশরিক (প্রাচ্য)। পরে এটি সাপ্তাহিক হিসেবেও প্রকাশ হয়েছিল। ১৯২৪ সালে খাজা আদেলের সাথে যুগ্মভাবে উর্দু মাসিক জাদু বের করেন। হাবীবুর রহমান প্রায় সময়ে লিখতেন ‘আহসান’ ছদ্মনামে।
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে আছেÑ আসুদেগান-ই-ঢাকা, শুকতারা-ই-ঢাকা, মসজিদ-ই-ঢাকা, হায়াত-ই-সুকরাত, আল ফারিক এবং বহুলালোচিত ঢাকা পঁচাশ বরস পহলে (পঞ্চাশ বছর আগের ঢাকা)। এই বইতে তার সময়ে ঢাকা শহরের অধিবাসীদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনের প্রাঞ্জল বর্ণনা বিদ্যমান। তৎকালীন বাঙালি মুসলিম সমাজের অভিজাত পরিবারের ভাষা ছিল উর্দু। তা ছাড়া, হাবীবুর রহমান ছিলেন পশতুভাষী পিতার সন্তান। তার সব লেখা তাই উর্দুতে হওয়া অস্বাভাবিক মনে করা যায় না। পাণ্ডুলিপি, মুদ্রা, যুদ্ধাস্ত্র প্রভৃতির সংগ্রাহক হিসেবেও তার খ্যাতি ছিল। ১৯৩৬ সালে তিনি ঢাকা জাদুঘরকে ২৩১টি প্রাচীন স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রা দান করেন। তার বেশির ভাগ রচনা ও সংগ্রহ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিতে। হ

 


আরো সংবাদ



premium cement
শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নীলফামারীতে তিন হাজার ১৭০ চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু উজ্জ্বল হত্যার বিচার দাবিতে সরিষাবাড়ীতে মানববন্ধন পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২১ খাবারের সন্ধানে বসতবাড়িতে হরিণ, মহামায়ায় অবমুক্ত সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফিরোজ মাহমুদের লাশ দেশে ফিরেছে ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে: ড. সুকোমল বড়ুয়া

সকল