২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দৃষ্টিপাত : শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ

-

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষাই দেশ, সমাজ ও জাতিকে উন্নত করে। কিন্তু মানুষ শিক্ষা অর্জন করে যদি দেশ ও সমাজের কাজে না আসতে পারে তাহলে সে শিক্ষার মূল্য নেই। তবে বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজ দেশকে কিছু দেয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে। কোনো ত্রুটি রাখে না এ চেষ্টায়। কিন্তু সরকারি মাধ্যমগুলো এই চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়। চাকরির জন্য হাজার চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হয়ে পরিশেষে তাদের অন্তরে শিক্ষার প্রতি অনাস্থা তৈরি হয়। তেমনি একটি সরকারি মাধ্যম হলো এনটিআরসিএ। শিক্ষক নিয়োগের অন্যতম মাধ্যম এটি। শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করতে হলে নিবন্ধন পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে সনদ অর্জন করা বাধ্যতামূলক। এরই মধ্যে ১৪টি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েক লাখ শিক্ষার্থী কৃতকার্যের সনদ নিয়ে বেকারত্বের জীবন যাপন করছে। বিভিন্ন অজুহাতে দীর্ঘ দিন নিয়োগপ্রক্রিয়া বন্ধ রেখে সমালোচনার পাত্র হয়েছে এনটিআরসিএ। এ ছাড়া নকল সনদ দিয়েও অনেক সমালোচনায় ছিল এই প্রতিষ্ঠানটি। অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে নিয়োগপ্রক্রিয়ার একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। এ বিজ্ঞপ্তিতেও জটিলতার শেষ নেই। মেরিট লিস্ট অনুযায়ী নিয়োগপ্রক্রিয়ার কথা হাইকোর্ট থেকে বলা হলেও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে অন্যভাবে। সনদ অনুযায়ী যে যত প্রতিষ্ঠানে ইচ্ছা আবেদন করতে পারবে। এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে এনটিআরসিএ জুয়া খেলাকেও হার মানিয়েছে। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মহা কৌশলের ফাঁদে পড়েছে অসহায় নিবন্ধিতরা। বাধ্য হয়েই এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের জুয়ায় খেলতে নেমেছে দেশের নিবন্ধিত এই শিক্ষিত সমাজ। তবে সব কথার শেষ কথাÑ সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় যেন নিবন্ধিত শিক্ষার্থীরা নিয়োগ পায়। জটিলতার কোনো ছোঁয়া যেন লাগে না এবারের নিয়োগে। তাহলেই এনটিআরসিএ নামের প্রতিষ্ঠানটির সুনাম বাড়বে। শিক্ষকদের ভরসার প্রতীক এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রাখতে অব্যাহত রাখতে হবে এর সুষ্ঠু কার্যক্রম।
মো: আজিনুর রহমান লিমন
ধুরহঁৎষরসড়হ@মসধরষ.পড়স


আরো সংবাদ



premium cement