২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দৃষ্টিপাত : প্রবীণ পেনশনারদের হয়রানি

-

সরকার শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের ক্ষেত্রে অবসরের ১৫ বছর পর পেনশন পুনঃস্থাপন করে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। এতে প্রবীণ ও বৃদ্ধ পেনশনভোগীরা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে উপকৃত হবেন। পেনশনারদের যেভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, তাতে আদৌ পেনশন পুনঃস্থাপন হবে কি না সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। অবসর গ্রহণের পর পেনশন-সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র সার্ভিস বুকসহ জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে জমা দিয়েছি। এর ওপর ভিত্তি করে তারা শুরুতে শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের চিকিৎসাভাতা মাসিক ৩০০ টাকা হারে প্রদান করেছেন। বর্তমানে এ ভাতা মাসিক দুই হাজার ৫০০ টাকা হারে দেয়া হয়। বিগত বছরগুলোতে ইনক্রিমেন্টসহ উৎসবভাতা ও বৈশাখী ভাতা প্রদান করা হয়েছে।
১৫ বছর আগে অবসর গ্রহণকারীদের মাসিক পেনশন পুনঃস্থাপনের জন্য জেলা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে একটি ফরমে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। তথ্যগুলো হলোÑ জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, নিজের নাম, মা-বাবার নাম, বিবাহিত না অবিবাহিত, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল নম্বর (যদি থাকে), বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, শেষ কর্মস্থল, মন্ত্রণালয়ের নাম, পদবি, অবসর গ্রহণের তারিখ, পিপিও নম্বর ও ইস্যুর তারিখ, অবসরের সময় মূল বেতন, স্কেল ও গ্রেড, এককালীন আনুতোষিক হিসেবে সমর্পিত টাকার অঙ্ক, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ব্যাংকের ঠিকানা, রাউটিং নম্বর, উত্তরাধিকারীর নাম এবং তার সাথে সম্পর্ক, নাম, পেশা, বয়স ইত্যাদি। এসব তথ্যের সাথে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একটি চেকের খালি পাতার ফটোকপি সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরের সাথে রাউটিং নম্বর ও চেকের খালি পাতার ফটোকপি দেয়ার প্রয়োজন কেন হলো, তা বোধগম্য নয়। ফরমের অন্য সব তথ্য প্রদান করা গেলেও অবসরের সময় অনেকের মূল বেতন, স্কেল ও গ্রেড জানা নেই। তা জানার কথাও নয়। অর্থাৎ, তাদের অযথা হয়রানির কারণ সৃষ্টি হচ্ছে। এসব তথ্য জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসেই আছে। যদি তা না থাকত, তাহলে আমরা ১৫ বছর ধরে কিসের ভিত্তিতে চিকিৎসা-ভাতা এবং চালু হওয়ার পর থেকে পাঁচ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্টসহ উৎসবভাতা ও বৈশাখীভাতা বিগত বছরগুলোতে পেয়েছি? আগামীতেও এসব ভাতা পাবো, ইনশা আল্লাহ।
শতভাগ সমর্পণকারীদের ১৫ বছর পর পেনশন পুনঃস্থাপন করে সরকার তাদের দুর্দশা লাঘবের ক্ষেত্রে মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এখন কেন তথ্য ফরমে এসব তথ্য চেয়ে বৃদ্ধ বয়সে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে? এটা বন্ধ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পেনশন পুনঃস্থাপনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় গত ৮ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পয়লা জুলাই ২০১৭ থেকে এ সুবিধা কার্যকর হওয়ার কথা; কিন্তু অদ্যাবধি এ সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত রয়ে গেছি। হ
জনৈক পেনশনার, নারায়ণগঞ্জ


আরো সংবাদ



premium cement