২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পোড়া মবিল সন্ত্রাস!

সুশাসন
-

সড়ক পরিবহন শ্রমিকেরা তাদের আট দফা দাবির সমর্থনে গত ২৬ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে ২৮ অক্টোবর সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়ে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যান্ত্রিক পরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। ধর্মঘটের সময় এরা বিভিন্ন সড়কের সংযোগস্থল, যাত্রী ওঠানামার স্থান এবং বাস স্টেশনের সামনে লাঠি, পোড়া মবিল ও কালি নিয়ে মারমুখী অবস্থানে সমবেত হয়ে তাদের দাবির পক্ষে সেøাগান দেয় এবং অপরাপর যান্ত্রিক যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। অনেক যান্ত্রিক যানবাহন চালকের মুখে তারা পোড়া মবিল ও কালি লেপে দেয়। আবার তাদের নিক্ষিপ্ত পোড়া মবিল ও কালিতে অনেক যানবাহনের যাত্রীর পোশাক নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে এবং অনেক যানবাহনের বহিরাঙ্গন ও অভ্যন্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিবহন শ্রমিকদের নিক্ষিপ্ত পোড়া মবিল ও কালি থেকে যান্ত্রিক যানের চালক, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ কেউ রেহাই পায়নি। পরিবহন শ্রমিকেরা অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে বাধা দিলে হাসপাতালগামী এক মুমূর্ষু শিশুর মৃত্যুর সংবাদ দেশের গণমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত হয়। ধর্মঘটের দিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত থাকায় অনেক ভর্তি ইচ্ছুক পরীক্ষায় অংশ নিতে ব্যর্থ হয়, অনেকে বিলম্বে কেন্দ্রে পৌঁছায়, আবার অনেকে পথিমধ্যে বিভিন্নভাবে পরিবহন শ্রমিকদের হাতে নাজেহাল হয়।
যেকোনো বৈধ সংগঠনের সদস্যদের সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের অধিকার দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানে স্বীকৃত; তবে তা জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের জন্য হানিকর হতে পারবে না। এ বিষয়ে সংবিধানে উল্লেখ রয়েছেÑ জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের মাধ্যমে আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধসাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।
২০০৬ সালের বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুসারে নিবন্ধনকৃত ট্রেড ইউনিয়ন সদস্যদের ধর্মঘটে যাওয়ার অধিকার দিয়েছে; তবে ধর্মঘটে যাওয়ার আগে তাদের অবশ্যই কর্তৃপক্ষ বরাবর অন্যূন সাত দিন ও অনধিক ১৪ দিনের মধ্যে লিখিত নোটিশ দিয়ে অবহিত করতে হবে কোন তারিখ থেকে ধর্মঘট শুরু হবে।
সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষ থেকে যে আট দফা দাবি দেয়া হয়েছে, তা হলোÑ ০১. সড়ক দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখে সব মামলায় জামিনযোগ্য বিধান চালু; ০২. শ্রমিকের অর্থদণ্ডে পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান চালু; ০৩. সড়ক দুর্ঘটনার জটিলতর মামলার তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তকরণ; ০৪. ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণীর স্থলে পঞ্চম শ্রেণী নির্ধারণ; ০৫. কাগজপত্র চেকিংয়ের নামে সড়কে পুলিশের অহেতুক হয়রানি বন্ধ করা; ০৬. ওজন স্কেলে জরিমানার পরিমাণ কমানো ও কারাদণ্ডের বিধান বাতিল করা; ০৭. পরিবহন আইনের সেসব ধারায় অর্থদণ্ডের পরিমাণের উল্লেখ না থাকায় জটিলতা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, এমন সব ধারার সংশোধন এবং ০৮. আলোচনার মাধ্যমে অন্যান্য আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া।
আমাদের এ উপমহাদেশ ব্রিটিশ শাসনাধীন থাকাবস্থায় ১৮৬০ সালে দণ্ডবিধি প্রণীত হয়। দণ্ডবিধি প্রণয়নকালীন অবহেলাজনিত মৃত্যুর জন্য কোনোরূপ শাস্তির বিধান ছিল না। দণ্ডবিধি প্রবর্তনের ১০ বছর পর ১৮৭০ সালে দণ্ডবিধিতে সংশোধন করে অবহেলার ফলে ঘটিত মৃত্যুর জন্য শাস্তির বিধান করে ধারা ৩০৪ (ক) সন্নিবেশিত হয়। ওই ধারায় বেপরোয়া বা তাচ্ছিল্যপূর্ণ কাজের ফলে মৃত্যু ঘটানোর সাজা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড নির্ধারণ করা হয়। বেপরোয়া যানবাহন চালিয়ে মৃত্যু ঘটানোর জন্য ১৯৮২ সাল অবধি দণ্ডবিধিতে কোনো পৃথক ধারা ছিল না। ১৯৮২ সালে দণ্ডবিধিতে বেপরোয়া যান বা অশ্ব চালনার ফলে মৃত্যু ঘটানোর জন্য শাস্তির বিধান করে ধারা ৩০৪ (খ) সন্নিবেশিত হয়। নব সন্নিবেশিত ধারাটি প্রণয়নকালীন বেপরোয়া যান চালিয়ে মৃত্যু ঘটানোর জন্য সর্বোচ্চ সাত বছর সাজার বিধান করে এটিকে জামিন অযোগ্য অপরাধ এবং দায়রা আদালতে বিচার করা হয়।
ধারা ৩০৪ (খ) সন্নিবেশন পরবর্তী পরিবহন শ্রমিকেরা (চালক ও তার সহযোগী) ধর্মঘটের ডাক দিয়ে সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা অনেকটা অচল করে দিলে প্রথমত ১৯৮৪ সালে ধারা ৩০৪ (খ) ও ফৌজদারি কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলে সংশোধনী আনয়নপূর্বক এটিকে জামিনযোগ্য করে দায়রা আদালতের পরিবর্তে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিচার করা হয়। ধারাটির সাজা জামিনযোগ্য এবং বিচার্য আদালতের পরিবর্তনবিষয়ক সংশোধনীটি পরিবহন শ্রমিকদের স্বার্থের অনুকূলে হওয়া সত্ত্বেও তারা পুনঃসাজার সর্বোচ্চ মেয়াদ কমানোর জন্য আন্দোলনে লিপ্ত হয়ে সড়ক পরিবহন চালনায় পুনঃব্যাঘাত সৃষ্টি করে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটালে ১৯৮৫ সালে সর্বোচ্চ সাজার মেয়াদ সাত বছর থেকে কমিয়ে তিন বছর করা হয়।
সম্প্রতি প্রণীত সড়ক পরিবহন ২০১৮ আইনে দুর্ঘটনাসংক্রান্ত অপরাধ বিষয়ে যে বিধান করা হয়েছে, তাতে উল্লেখ রয়েছেÑ এ আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, মোটরযানের কোনো দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে কোনো ব্যক্তি আহত হলে বা তার প্রাণহানি ঘটলে, তদসংক্রান্ত অপরাধগুলো দণ্ডবিধি, ১৮৬০ সালের এ-সংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী অপরাধ বলে গণ্য হবে; তবে শর্ত থাকে যে, দণ্ডবিধির ধারা ৩০৪ (খ) এ যা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত হলে বা তার প্রাণহানি ঘটলে, ওই ব্যক্তি অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সড়ক পরিবহন আইনের উপরের ধারাটি দণ্ডবিধির ধারা ৩০৪ (খ)-এর সমরূপ; তবে দণ্ডবিধির ধারাটির সাথে এটির পার্থক্য হলো দণ্ডবিধিতে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের পরিমাণ সর্বোচ্চ তিন বছর ও ১০ হাজার টাকা। অন্য দিকে এ আইনে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের পরিমাণ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর ও পাঁচ লাখ টাকা।
নব প্রবর্তিত আইনে কারাদণ্ডের পরিমাণ পাঁচ বছর করা হলেও তা দণ্ডবিধিতে ধারা ৩০৪ (খ) সন্নিবেশনকালীন কারাদণ্ডের পরিমাণ সাত বছর থেকে নি¤œতর। দণ্ডবিধিতে ধারা ৩০৪ (খ) সন্নিবেশনকালীন এটি জামিন অযোগ্য ছিল। পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে এটিকে জামিনযোগ্য করা হয়। বর্তমান পরিবহন আইনে দুর্ঘটনাসংক্রান্ত অপরাধ জামিন অযোগ্য করার বিধান দণ্ডবিধিতে ৩০৪ (খ) সন্নিবেশনকালীন এ-সংক্রান্ত বিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং পরিবহন শ্রমিকদের কোনো ধরনের দাবি বা চাপের মুখে আগের মতো এ ধারাটি সংশোধন করে জামিনযোগ্য করা হলে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এ ধারায় কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান করে এটিকে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে, তা ব্যাহত হবে।
পরিবহন শ্রমিকদের দাবি মোতাবেক তদন্ত কমিটিতে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা তদন্তের বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতাকে ক্ষুণœ ও প্রভাবিত করবে। সুতরাং এ দাবি একেবারেই অযৌক্তিক।
অপরাপর দাবিগুলোর মধ্যে একমাত্র পুলিশি হয়রানির দাবিটি যৌক্তিক মর্মে বিবেচিত এবং এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে পরিবহন শ্রমিকেরা অহেতুক হয়রানি থেকে নিস্তার পাবে।
পরিবহন শ্রমিকেরা তাদের ধর্মঘট চলাকালে যেসব যানবাহন চালক ও যাত্রীদের মুখে পোড়া মবিল ও কালি লেপন করেছে, নিক্ষিপ্ত পোড়া মবিল ও কালিতে যানবাহনের যাত্রীর পোশাক বিনষ্ট করে ব্যবহারের অযোগ্য করেছে এবং যানবাহনের বহিরাঙ্গন ও অভ্যন্তর ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তা এ দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এর আগে অপর কোনো শ্রেণী-পেশার মানুষ কর্তৃক ধর্মঘট চলাকালে এমন উচ্ছৃঙ্খলতায় ঢালাওভাবে সাধারণ জনমানুষকে এভাবে হয়রানি ও নাজেহালের মুখোমুখি হতে হয়নি। পরিবহন শ্রমিকদের এসব কাজ আমাদের মূল দণ্ড আইন দণ্ডবিধির ধারা ৩৫৫ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধারাটিতে বলা হয়েছেÑ আকস্মিক উত্তেজনা ছাড়া যদি কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে অপমান করার অভিপ্রায়ে আক্রমণ করে বা বলপ্রয়োগে হয়রানি বা নাজেহাল করে, তবে ওই ব্যক্তি অনধিক দুই বছর মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ডে অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবে। তা ছাড়া এ ধরনের আক্রমণ দণ্ডবিধিতে বর্ণিত স্বেচ্ছাকৃতভাবে বিপজ্জনক, অস্ত্র অথবা পন্থায় আঘাত দানের অন্তর্ভুক্ত। একজন ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় বিপজ্জনক, অস্ত্র অথবা অন্য পন্থায় আঘাত বা আক্রমণ করলে পুলিশ গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া তাকে আটক করে বিচারের জন্য সোপর্দ করতে পারে। পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে সাধারণ জনমানুষ পরিবহন শ্রমিকদের হাতে বিপজ্জনকভাবে পোড়া মবিল ও কালি দিয়ে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এর প্রতিবিধানে দেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অনেকটা নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিল।
দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য আইন মেনে চলা কর্তব্য। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া এবং আইন না মেনে চলা উভয়ই অপরাধ। পরিবহন শ্রমিকেরা তাদের ধর্মঘট চলাকালে যে অপরাধ করেছে, তাদের এ ধরনের অপরাধ করা থেকে নিবৃত্ত করা না গেলে ভবিষ্যতে তারা আরো বড় ধরনের অপরাধ করে সারা দেশের মানুষকে জিম্মি করে ফেলবে। পরিবহন শ্রমিকদের নেপথ্য থেকে যারা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করছেন, এ হামলার দায় তারা কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। পরিবহন শ্রমিকদের নেপথ্য নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তিরা প্রতিদিন এ খাত থেকে যে পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপাজন করেন তা দিয়ে তারা দেশ ও সমাজে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। নেপথ্য নিয়ন্ত্রণকারীদের আইনের আওতায় এনে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলার প্রবর্তন জরুরি হয়ে পড়েছে। আর নতুন পরিবহন আইন প্রবর্তনের পরও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে নৈরাজ্য দূর করা না গেলে তা ভবিষ্যতে আরো ভয়াবহ ও বিপর্যয়কর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটাবে। হ

লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com

 


আরো সংবাদ



premium cement
জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ক্যাম্পে ডাক পেলেন ১৭ ক্রিকেটার, নেই সাকিব-মোস্তাফিজ উত্তর গাজায় আবারো ইসরাইলের গোলাবর্ষণ ধামরাইয়ে তাপদাহে জনজীবন কাহিল, ডায়রিয়াসহ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশী কেএনএফ সন্দেহে ছাত্রলীগ নেতাসহ কারাগারে ৭ স্থিতিশীল সরকার থাকায় দেশে উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল রাজশাহীর পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ শিশুর মৃত্যু দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক দুমকিতে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সভাপতির নির্দেশে ক্লাস চালু সিদ্ধিরগঞ্জে দেশীয় অস্ত্রসহ ৩ ডাকাত গ্রেফতার

সকল