২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অ ভি ম ত : জাতির স্বার্থেই নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই

-

রাজনীতি মানে ‘নীতির রাজা’, রাজার নীতি নয়। প্রতিহিংসা ভুলে জনকল্যাণে নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনার নামই রাজনীতি। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে দেশী-বিদেশী চক্রান্তের ফলে আজ অবধি জাতীয় ঐক্যের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। পৃথিবীর প্রায় সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই শক্তিশালী বিরোধী দল রয়েছে, যাদের সংসদে যথাযথ ভূমিকা থাকে। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশই এর ব্যতিক্রম। খেলার মাঠে উভয় দলের খেলোয়াড়দের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে খেলা তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে ওঠে। জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সরকার এবং বিরোধী দলগুলোর জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্বার্থে পারস্পরিক সমঝোতা ছাড়া সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতার সুরক্ষা অসম্ভব। ইতঃপূর্বে যারা আমাদের দেশে সরকার গঠন করেছেন, তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে খেয়াল-খুশি মতো ব্যবহার করে জনগণকে ধোঁকা দিয়েছেন। জনসাধারণ স্বৈরাচারীদের পছন্দ করে না। তারা চায় প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একটি কল্যাণমুখী ও গণতন্ত্রী সরকার। মনে রাখা বাঞ্ছনীয়, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়; সবার ক্ষেত্রেই অস্থায়ী। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে প্রত্যেককেই একসময় বিদায় নিতে হয় ইহজীবন থেকে। তখন পৃথিবীর কোনো শক্তিই তাকে রক্ষা করতে পারে না। বৃদ্ধ বয়সে মা-বাবা সন্তানদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। সেভাবে প্রবীণ রাজনীতিবিদদেরও জনগণের কষ্টের কথা বিবেচনা করে সময়োপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। প্রতিহিংসার রাজনীতি কারো মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। হিংসা ও মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়, আর প্রীতি ও সত্য মানুষকে মুক্তি দেয়। একবিংশ শতাব্দীতে যেসব দেশ উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছেছে; তাদের সবার বৈশিষ্ট্য হলো পরিশ্রম, সততা, পরমতসহিষ্ণুতা, দেশপ্রেম ও আন্তরিকতা। অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা সাধারণ জনগণ, অকুণ্ঠচিত্তে বলতে চাই, দেশ ও জাতির স্বার্থেই নির্বাচন কমিশনকে সব রাজনৈতিক দলের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এতে কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে এবং দেশে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।
মো: নাজমুল আলম
ঢাকা, বাংলাদেশ


আরো সংবাদ



premium cement