২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

স্ম র ণ : খন্দকার আবদুল হামিদ

-

আজ ২৩ অক্টোবর। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের অন্যতম প্রধান প্রবক্তা, বিশিষ্ট সাংবাদিক, প্রখ্যাত কলামিস্ট ও রাজনীতিক খন্দকার আবদুল হামিদের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৩ সালের এই দিনে তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তিনি প্রায় চার দশক ধরে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক ও ‘লিডার রাইটার’ ছিলেন। তার জন্ম ১ মার্চ, ১৯১৮ সালে বর্তমান শেরপুর জেলা শহরে। ১৯৪০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর কলকাতায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে শুরু হয় কর্মজীবন। তিনি ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকার (আবুল মনসুর আহমদ সম্পাদিত) সহকারী সম্পাদক এবং ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত অধুনা লুপ্ত দৈনিক মিল্লাত পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি মাওলানা আকরম খাঁর প্রতিষ্ঠিত দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক নিয্ক্তু হন। এ ছাড়া তিনি ময়মনসিংহের সুপরিচিত চাষী পত্রিকার সাথেও জড়িত ছিলেন। ১৯৭৬ সালে লন্ডন থেকে সাপ্তাহিক বাংলাদেশ প্রকাশ করেন। খন্দকার আবদুল হামিদ ১৯৫৩ সালে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। পঞ্চাশের দশকে আওয়ামী লীগ; ষাটের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী মুসলিম লীগ (কাউন্সিল); সত্তর ও আশির দশকে যথাক্রমে ডেমোক্র্যাটিক লীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনীতির সাথে তিনি সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে এবং ১৯৬৫ সালে বিরোধী জোট ‘কপ’ভুক্ত মুসলিম লীগের (কাউন্সিল) মনোনয়নে তদানীন্তন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালে তিনি পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব নিযুক্ত হলেও সেই পদে যোগ দেননি। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত প্রাদেশিক পরিষদে কোয়ালিশন পার্লামেন্টারি পার্টির সেক্রেটারি ছিলেন। ১৯৫৪ সালে মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মীর্জা গভর্নর হিসেবে ৯২-ক ধারার আওতায় জরুরি শাসন জারি করলে আবদুল হামিদ কারারুদ্ধ হন। ১৯৭৬ সালে ব্রিটিশ সরকারের আমন্ত্রণে ব্রিটেন সফর করেন। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। তিনি প্রথমে যুব উন্নয়ন মন্ত্রী, পরে বিচারপতি আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং শ্রম, জনশক্তি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মন্ত্রিপরিষদে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকতায় ফিরে এসেছিলেন এবং শহীদ জিয়া প্রতিষ্ঠিত দৈনিক দেশ পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ছিলেন। এতে ‘স্পষ্টভাষীর কলাম’ শিরোনামে উপসম্পাদকীয় লিখতেন। একসময় তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র লিডার রাইটার ও কলামিস্ট ছিলেন এবং পরে ‘স্পষ্টভাষী’ ছদ্মনামে ওই পত্রিকায় জনপ্রিয় ‘মঞ্চে-নেপথ্যে’ কলাম লিখেছেন। পাশাপাশি ‘মর্দেমুমীন’ নামে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় উপসম্পাদকীয় লিখতেন। এটাও ছিল বেশ জনপ্রিয় হ

 


আরো সংবাদ



premium cement